হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মীর ইদ্রিস নদভী বলেছেন, ‘অর্ন্তবর্তী সরকারের উপদেষ্টা চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী শাহবাগী নাস্তিক্যবাদের দোসর। হেফাজতে ইসলামের প্রয়াত আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে “তেঁতুল হুজুর” বলে ব্যঙ্গ করে চরম ধৃষ্টতা দেখিছেন ফারুকী। তাকে ক্ষমা করা যায় না। অবিলম্বে তাকে অপসারণ করতে হবে।’
আজ রবিবার দুপুরে চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর সদর কমিউনিটি সেন্টারে হেফাজতে ইসলাম উপজেলা শাখার আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সরকার আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসনের চেষ্টা চালাচ্ছে। দেশের সন্তানেরা জীবন দিয়ে ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করেছে। তাদের পুনর্বাসনের চেষ্টা চালালে দেশের আপামর তৌহিদি জনতা সরকারকে ক্ষমা করবে না। ছাত্র সমাজ আপনাদেরকে ক্ষমতা থেকে টেনে নামাতে পিছপা হবে না।’
উপজেলা হেফাজত নেতা মাওলানা আতাউল্লাহ্র আল হোসাইনীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আনোয়ার হোসাইন রব্বানী, মাওলানা মোস্তাক আহমদ, মাওলানা হাবিবুল্লাহ চৌধুরী, নুরুল ইসলাম জিহাদী, মাওলানা দ্বীন মুহাম্মদ রব্বানী, মাওলানা আক্তারুজ্জামান, মাওলানা নাছির উদ্দিন, মাওলানা, আজগর আলী মাওলানা আবু সুফিয়ান, মাওলানা ফয়জুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ।
সভা শেষে উপজেলা ও পৌরসভার দুটি আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন হেফাজত ইসলাম কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মীর ইদ্রিস নদভী। এতে মাওলানা আতাউল্লাহ্র আল হোসাইনীকে আহ্বায়ক ও মাওলানা মোস্তাক আহমদকে সদস্য সচিব করে ১০১ সদস্যবিশিষ্ট উপজেলা কমিটি ও মাওলানা মাহমুদ উল্লাহ জমিরাবাদীকে আহ্বায়ক ও নুরুল ইসলাম জিহাদীকে সদস্য সচিব করে ১০১ সদস্যবিশিষ্ট পৃথক দুটি কমিটি আগামী ছয় মাসের মধ্যেই ঘোষণা করা হয়।