নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের ২৮ ট্যাব ও ৩ ল্যাপটপ চুরির অভিযোগে মো. মোস্তাফিজ (২৭) নামের এক সাবেক আনসার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চুরি হওয়া ২৩ ট্যাব ও ৩ ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় আসামিকে নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হস্তান্তর করা হয়। পরে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে, গত শুক্রবার রাতে সুবর্ণচর উপজেলা সংলগ্ন একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মোস্তাফিজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাদুউর ইউনিয়নের মান্দাপুর গ্রামের মনুদ্দির বাড়ির বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, গত ১৬ আগস্ট রাতে সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের কক্ষে চুরির ঘটনা ঘটে। রাত্রিকালীন ডিউটি করার সময় আনসার সদস্য মোস্তাফিজ উপজেলা পরসিংখ্যান কার্যালয় কর্তৃক চলমান অর্থনৈতিক শুমারি তালিকাকারীদের ২৮টি ট্যাব ও তিনটি ল্যাপটপ চুরি করেন। পরে চোরাই ট্যাবগুলো অনলাইনে নোয়াখালী সেল বাজার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সেল বাজারের মাধ্যমে নোয়াখালী, ফেনী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করেন তিনি।
পুলিশ আরও জানায়, ঘটনার কিছু দিন পর চাকরি ছেড়ে দেন ওই আনসার সদস্য। এরপর সুবর্ণচর উপজেলার একটি বাড়িতে ঘর ভাড়া নিয়ে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালানো শুরু করেন। গত শুক্রবার রাতে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় পুলিশ তার থেকে একটি চোরাই ট্যাব ও তিনটি ল্যাপটপ উদ্ধার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যে আরও ২২টি ট্যাব উদ্ধার করে পুলিশ।
চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন মিয়া বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা নেওয়া হয়েছে। ওই মামলায় মোস্তাফিজকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।