ঢাকা , বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অর্থ আত্মসাতের মামলায় ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে আদালতের সমন

গ্রামীণ টেলিকেম ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. মুহম্মদ ইউনূসসহ ওই প্রতিষ্ঠানের ১২ জনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলায় সমন জারি করেছে আদালত। আগামী ২৩ মে জবাব দাখিল করতে বলা হয়েছে। বুধবার ঢাকার দ্বিতীয় যুগ্ম জেলা জজ মো. শাহাদাত হোসেন এ আদেশ দেন।

এর আগে গত ৩০ মার্চ ঢাকার সাভারস্থ মেসার্স তাজ এন্টারপ্রাইজের মালিক ব্যবসায়ী মো. বাহাদুর ইসলাম ইমতিয়াজ এ মামলা করেন।

মামলায় বলা হয়, ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন জিরাবোতে গ্রামীণ টেলিকেম ট্রাস্ট ১৬২ বিঘা জায়গার উপর ‘ঘোষবাগ’ প্রকল্পে আংশিক জায়গায় বালু ভরাটের জন্য বাদীর প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিবাদীদের ৫০ লাখ সিএফটি বালু ভরাটের চুক্তি হয়। বাদীর প্রতিষ্ঠান চুক্তি অনুযায়ী চার কিলোমিটার জুড়ে পাইপ স্থাপন করে জুন ২০১৫ সাল থেকে নভেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত প্রায় প্রায় পাঁচ কোটি টাকার বালু ভরাট করেন। ওই টাকার মধ্যে বিবাদীরা বাদীকে এক কোটি সাত লাখ ৫১ হাজার ৭৮৪ টাকা বিল দেয়। অবশিষ্ট চার কোটি ১৬ লাখ ২৯ হাজার ৪.২৬ টাকা পাওনা হলে বাদী তা দেওয়ার জন্য চারটি বিল সাবমিট করলেও বিবাদীরা দেই দিচ্ছি করে ঘুরাতে থাকেন। পরে বাদী টাকা না দেওয়ায় বালু ভরাট বন্ধ করে দেন। ফলে বাদী ওই টাকা আদায়ের জন্য লিগ্যাল নোটিশ দিলেও বিবাদীরা টাকা দেয়নি। মামলায় চার কোটি ১৬ লাখ ২৯ হাজার ৪.২৬ টাকার সঙ্গে দুই কোটি ৬৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা ডেমারেজ ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে।

বাদীর আইনজীবী ফারুক আলমগীর চৌধুরী জানান, বাদীর প্রতিষ্ঠানের ভরাট করা জায়গার উপর ইতোমধ্যে একটি স্যোসাল কমিউনিটি সেন্টার স্থাপন করেছে বিবাদীদের প্রতিষ্ঠান।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

অর্থ আত্মসাতের মামলায় ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে আদালতের সমন

আপডেট টাইম : ০৫:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০১৭

গ্রামীণ টেলিকেম ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. মুহম্মদ ইউনূসসহ ওই প্রতিষ্ঠানের ১২ জনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলায় সমন জারি করেছে আদালত। আগামী ২৩ মে জবাব দাখিল করতে বলা হয়েছে। বুধবার ঢাকার দ্বিতীয় যুগ্ম জেলা জজ মো. শাহাদাত হোসেন এ আদেশ দেন।

এর আগে গত ৩০ মার্চ ঢাকার সাভারস্থ মেসার্স তাজ এন্টারপ্রাইজের মালিক ব্যবসায়ী মো. বাহাদুর ইসলাম ইমতিয়াজ এ মামলা করেন।

মামলায় বলা হয়, ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন জিরাবোতে গ্রামীণ টেলিকেম ট্রাস্ট ১৬২ বিঘা জায়গার উপর ‘ঘোষবাগ’ প্রকল্পে আংশিক জায়গায় বালু ভরাটের জন্য বাদীর প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিবাদীদের ৫০ লাখ সিএফটি বালু ভরাটের চুক্তি হয়। বাদীর প্রতিষ্ঠান চুক্তি অনুযায়ী চার কিলোমিটার জুড়ে পাইপ স্থাপন করে জুন ২০১৫ সাল থেকে নভেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত প্রায় প্রায় পাঁচ কোটি টাকার বালু ভরাট করেন। ওই টাকার মধ্যে বিবাদীরা বাদীকে এক কোটি সাত লাখ ৫১ হাজার ৭৮৪ টাকা বিল দেয়। অবশিষ্ট চার কোটি ১৬ লাখ ২৯ হাজার ৪.২৬ টাকা পাওনা হলে বাদী তা দেওয়ার জন্য চারটি বিল সাবমিট করলেও বিবাদীরা দেই দিচ্ছি করে ঘুরাতে থাকেন। পরে বাদী টাকা না দেওয়ায় বালু ভরাট বন্ধ করে দেন। ফলে বাদী ওই টাকা আদায়ের জন্য লিগ্যাল নোটিশ দিলেও বিবাদীরা টাকা দেয়নি। মামলায় চার কোটি ১৬ লাখ ২৯ হাজার ৪.২৬ টাকার সঙ্গে দুই কোটি ৬৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা ডেমারেজ ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে।

বাদীর আইনজীবী ফারুক আলমগীর চৌধুরী জানান, বাদীর প্রতিষ্ঠানের ভরাট করা জায়গার উপর ইতোমধ্যে একটি স্যোসাল কমিউনিটি সেন্টার স্থাপন করেছে বিবাদীদের প্রতিষ্ঠান।