ঢাকা , বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এখানে কেউ কারো ওপর জোর করছে না

বাঙালী কন্ঠ ডেস্কঃ ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। আসছে নতুন বছর ও ভালোবাসা দিবসের নাটকের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এরইমধ্যে ‘এ সুইট লাভ স্টোরি’, ‘লাভ রিঅ্যাক্ট’, ‘কাজিন’, ‘সি লাভ মি’সহ  কয়েকটি নাটকের শুটিং শেষ করেছেন বলে জানান তিনি। অপূর্ব বলেন, নতুন বছর ও ভালোবাসা দিবসের নাটকের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত আছি। আমাদের দিবস কেন্দ্রিক নাটকের একটা ট্রেন্ড আছে। যদিও সারা বছরই নাটক নির্মাণ হয়। তবে অনেক নির্মাতাই এসব নাটক বিশেষ দিবসে প্রচার করতে আগ্রহী। একক নাটকের বাইরে এ অভিনেতার ধারাবাহিক নাটকেও ব্যস্ততা আছে। তার হাতে রয়েছে দুটি ধারাবাহিক নাটক। এগুলো হচ্ছে আবু হায়াত মাহমুদের ‘প্রিয় প্রতিবেশী’ ও সৈয়দ শাকিলের ‘নীল ঘূর্ণি’।  চলতি বছর শেষের দিকে। এ বছরটি অপূর্বর জন্য কেমন ছিলো? তিনি বলেন, প্রায় প্রতিদিনই শুটিং করেছি। ক্যামেরা-লাইটের সঙ্গে সখ্যতা আমার। নিজের জন্য বেশি সময় বের করতে পারিনি। আজ এক সেটে তো কাল অন্য সেটে শুটিং করতে হয়েছে। এভাবেই ব্যস্ততার মধ্যে নিজেকে বন্দি রেখেছি। নতুন বছরেও এভাবেই ব্যস্ত থাকতে হবে। তবুও এরমধ্যে নিজের জন্য কিছু সময় বের করার চেষ্টা করবো। এই সময়ে একটি গুঞ্জন রয়েছে যে, কতিপয় শিল্পীর কাছে একটি নাটকের বাজেটের বিশাল অংশ চলে যাচ্ছে। অর্থাৎ একটি নাটকের প্রধান দুজন শিল্পীর কাছেই বাজেটের সিংহভাগ চলে যায়। এ কারণে অনেক নির্মাতাকেই নাটক নির্মাণের ক্ষেত্রে সংকটে পড়তে হয়। বিষয়টিকে অপূর্ব কিভাবে দেখছেন? তিনি বলেন, এটি নিয়ে আমার বলার বিশেষ কিছু নেই। আমি মনে করি,  প্রত্যেক শিল্পী তার যোগ্যতানুযায়ী সম্মানী নিচ্ছেন। এখানে কেউ কারো ওপর জোর করছে না। আমাদের অনেক নির্মাতা আছেন, যারা এখন ভালো বাজেট নিয়েই নাটক নির্মাণ করছেন। এখন আমাদের বাজার ছোট না। শুধু টেলিভিশনের জন্যই নাটক নির্মাণ হচ্ছে না। ইউটিউবের জন্যও হচ্ছে। চলতি বছরে অপূর্বর বিপরীতে অধিকাংশ নাটকে ছিলেন মেহজাবিন চৌধুরী ও তানজিন তিশা। নায়িকা নির্বাচনে কি এ অভিনেতার কোনো ভূমিকা থাকে? অপূর্বর সহজ উত্তর, না। তিনি আরো বলেন, গল্পের প্রয়োজনে আমি যে কারো সঙ্গে অভিনয় করতে পারি। চলতি বছরে এ দুজনের বাইরে আরো অনেকের সঙ্গে অভিনয় করেছি। কিন্তু দর্শক এ দুজনের সঙ্গের নাটকগুলো বেশি পছন্দ করেছেন। হয়তো নির্মাতারা সেই কারণে আমাকে তাদের সঙ্গে বেশি ভাবেন। ২০১৫ সালে ‘গ্যাংস্টার রিটার্নস’ নামে একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি। এরপর এখন পর্যন্ত নতুন কোনো চলচ্চিত্রের খবরে নেই তিনি। জনপ্রিয়তার এমন শীর্ষে থেকেও চলচ্চিত্র থেকে দূরে কেন? তবে কি বড় পর্দায় ‘বড় ছেলে’খ্যাত এ অভিনেতার আগ্রহ নেই? তিনি বলেন, ছোট পর্দায় আমি নিয়মিত অভিনয় করছি। এর মানে এই নয়, বড় পর্দায় আমার আগ্রহ নেই। চলচ্চিত্রে আমি আবার কাজ করতে চাই। এর জন্য প্রস্তুতও আছি। এরপরেও যে কারণে কাজ করা হচ্ছে না সেটি হলো চলচ্চিত্রে মনের মতো চরিত্র পাচ্ছি না। আমি চাই এমন একটি চরিত্র যেখানে দর্শক আমার মধ্যে নতুন কিছু দেখতে পাবে। আমিও নিজেকে ভাঙার মতো সুযোগ পাবো। এখন আমাদের চলচ্চিত্রের গল্পে পরিবর্তন এসেছে। অপেক্ষায় আছি নতুন কিছুর জন্য। আলাপনে এ অভিনেতা শোবিজ সম্পর্কে নিজের অভিব্যক্তিও প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমি সব সময় পজেটিভ চিন্তা করি। আমরা নিজেই যদি শোবিজ নিয়ে নেতিবাচক কথা বলি তাহলে অন্যরা কি বলবে? সুতরাং আমার বিশ্বাস আমরা নিজেদের জায়গাতে সঠিক থাকলে আমাদের সব কিছুতে ভালো হওয়া সম্ভব।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

এখানে কেউ কারো ওপর জোর করছে না

আপডেট টাইম : ০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯

বাঙালী কন্ঠ ডেস্কঃ ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। আসছে নতুন বছর ও ভালোবাসা দিবসের নাটকের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এরইমধ্যে ‘এ সুইট লাভ স্টোরি’, ‘লাভ রিঅ্যাক্ট’, ‘কাজিন’, ‘সি লাভ মি’সহ  কয়েকটি নাটকের শুটিং শেষ করেছেন বলে জানান তিনি। অপূর্ব বলেন, নতুন বছর ও ভালোবাসা দিবসের নাটকের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত আছি। আমাদের দিবস কেন্দ্রিক নাটকের একটা ট্রেন্ড আছে। যদিও সারা বছরই নাটক নির্মাণ হয়। তবে অনেক নির্মাতাই এসব নাটক বিশেষ দিবসে প্রচার করতে আগ্রহী। একক নাটকের বাইরে এ অভিনেতার ধারাবাহিক নাটকেও ব্যস্ততা আছে। তার হাতে রয়েছে দুটি ধারাবাহিক নাটক। এগুলো হচ্ছে আবু হায়াত মাহমুদের ‘প্রিয় প্রতিবেশী’ ও সৈয়দ শাকিলের ‘নীল ঘূর্ণি’।  চলতি বছর শেষের দিকে। এ বছরটি অপূর্বর জন্য কেমন ছিলো? তিনি বলেন, প্রায় প্রতিদিনই শুটিং করেছি। ক্যামেরা-লাইটের সঙ্গে সখ্যতা আমার। নিজের জন্য বেশি সময় বের করতে পারিনি। আজ এক সেটে তো কাল অন্য সেটে শুটিং করতে হয়েছে। এভাবেই ব্যস্ততার মধ্যে নিজেকে বন্দি রেখেছি। নতুন বছরেও এভাবেই ব্যস্ত থাকতে হবে। তবুও এরমধ্যে নিজের জন্য কিছু সময় বের করার চেষ্টা করবো। এই সময়ে একটি গুঞ্জন রয়েছে যে, কতিপয় শিল্পীর কাছে একটি নাটকের বাজেটের বিশাল অংশ চলে যাচ্ছে। অর্থাৎ একটি নাটকের প্রধান দুজন শিল্পীর কাছেই বাজেটের সিংহভাগ চলে যায়। এ কারণে অনেক নির্মাতাকেই নাটক নির্মাণের ক্ষেত্রে সংকটে পড়তে হয়। বিষয়টিকে অপূর্ব কিভাবে দেখছেন? তিনি বলেন, এটি নিয়ে আমার বলার বিশেষ কিছু নেই। আমি মনে করি,  প্রত্যেক শিল্পী তার যোগ্যতানুযায়ী সম্মানী নিচ্ছেন। এখানে কেউ কারো ওপর জোর করছে না। আমাদের অনেক নির্মাতা আছেন, যারা এখন ভালো বাজেট নিয়েই নাটক নির্মাণ করছেন। এখন আমাদের বাজার ছোট না। শুধু টেলিভিশনের জন্যই নাটক নির্মাণ হচ্ছে না। ইউটিউবের জন্যও হচ্ছে। চলতি বছরে অপূর্বর বিপরীতে অধিকাংশ নাটকে ছিলেন মেহজাবিন চৌধুরী ও তানজিন তিশা। নায়িকা নির্বাচনে কি এ অভিনেতার কোনো ভূমিকা থাকে? অপূর্বর সহজ উত্তর, না। তিনি আরো বলেন, গল্পের প্রয়োজনে আমি যে কারো সঙ্গে অভিনয় করতে পারি। চলতি বছরে এ দুজনের বাইরে আরো অনেকের সঙ্গে অভিনয় করেছি। কিন্তু দর্শক এ দুজনের সঙ্গের নাটকগুলো বেশি পছন্দ করেছেন। হয়তো নির্মাতারা সেই কারণে আমাকে তাদের সঙ্গে বেশি ভাবেন। ২০১৫ সালে ‘গ্যাংস্টার রিটার্নস’ নামে একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি। এরপর এখন পর্যন্ত নতুন কোনো চলচ্চিত্রের খবরে নেই তিনি। জনপ্রিয়তার এমন শীর্ষে থেকেও চলচ্চিত্র থেকে দূরে কেন? তবে কি বড় পর্দায় ‘বড় ছেলে’খ্যাত এ অভিনেতার আগ্রহ নেই? তিনি বলেন, ছোট পর্দায় আমি নিয়মিত অভিনয় করছি। এর মানে এই নয়, বড় পর্দায় আমার আগ্রহ নেই। চলচ্চিত্রে আমি আবার কাজ করতে চাই। এর জন্য প্রস্তুতও আছি। এরপরেও যে কারণে কাজ করা হচ্ছে না সেটি হলো চলচ্চিত্রে মনের মতো চরিত্র পাচ্ছি না। আমি চাই এমন একটি চরিত্র যেখানে দর্শক আমার মধ্যে নতুন কিছু দেখতে পাবে। আমিও নিজেকে ভাঙার মতো সুযোগ পাবো। এখন আমাদের চলচ্চিত্রের গল্পে পরিবর্তন এসেছে। অপেক্ষায় আছি নতুন কিছুর জন্য। আলাপনে এ অভিনেতা শোবিজ সম্পর্কে নিজের অভিব্যক্তিও প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমি সব সময় পজেটিভ চিন্তা করি। আমরা নিজেই যদি শোবিজ নিয়ে নেতিবাচক কথা বলি তাহলে অন্যরা কি বলবে? সুতরাং আমার বিশ্বাস আমরা নিজেদের জায়গাতে সঠিক থাকলে আমাদের সব কিছুতে ভালো হওয়া সম্ভব।