ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ওয়াইফাইয়ের গতি সচল রাখার উপায়

দ্রুত ও নিখুঁত ইন্টারনেট পরিষেবা পেতে ওয়াইফাই কানেকশন জরুরি। কিন্তু অনেক সময়েই গতি হারিয়ে সমস্যা সৃষ্টি করে এই বেতার সংযোগ। কী কারণে শ্লথ হয় ওয়াইফাই সংযোগ এবং এর সমাধানই বা কী? তা নিয়ে চিন্তিত থাকেন অনেকে। তবে একটু সচেতন হলেই আপনি এসব সমস্যা এড়িয়ে চলতে পারেন। ডেটা ট্রান্সফার করতে ২টি রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির সাহায্য নেয় ওয়াইফাই। এগুলো হল ২.৪ গিগাহাট্‌জ এবং ৫ গিগাহাট্‌জ। বেশির ভাগ আধুনিক রাউটার এই দুই ফ্রিকোয়েন্সির মধ্যে ঘোরাফেরায় স্বচ্ছন্দ। এই দুই ফ্রিকোয়েন্সির মধ্যে রয়েছে একাধিক চ্যানেল- ২.৪ গিগাহাট্‌জে ১৪টি এবং ৫ গিগাহাট্‌জে ৩০টি। ওয়াইফাই হঠাত্‍ ধীরে চলার পিছনে নানান কারণ থাকতে পারে। দেখে নেওয়া যাক এমন ১০টি কারণ ও তার সমাধান। ১) রাউটার প্লাগ ইন করার সময় জায়গা নির্বাচন নিয়ে বেশির ভাগ মানুষই ভাবেন না। অনেক সময় মেঝের ওপর বা কোনো কিছুর আড়ালে প্লাগ থাকার দরুণ সেখানেই রাউটারের ঠাঁই হয়। মনে রাখতে হবে, রাউটার যত উঁচুতে রাখা যায় তত রেডিও ওয়েভ সম্প্রচারের পরিধি ছড়িয়ে পড়ে এবং দ্রুততম ইন্টারনেট পরিষেবা পাওয়া যায়। একইসঙ্গে, উঁচু অবস্থানের জন্য অবাঞ্চিত যেকোনো বাধাও এড়ানো যায়। ২) কংক্রিট ও ধাতু আংশিকভাবে ওয়াইফাই তরঙ্গ রোধ করে। তবে এই দুই পদার্থ ছাড়াও কোন বৈদ্যুতিক যন্ত্র রেডিও তরঙ্গ রুখে দিতে বা শ্লথ করে দিতে পারে। রাউটার বসানোর সময় তাই দেখে নিতে হবে, তরঙ্গ সম্প্রচারের পথে কোন আড়াল যেন না থাকে। পাশাপাশি, বাড়ির বেসমেন্টে কখনও রাউটার রাখা চলবে না কারণ এই এলাকাটি কংক্রিটে আবদ্ধ থাকে যা ভেদ করতে ব্যর্থ হয় ওয়াইফাই সিগন্যাল। ৩) মনে রাখা দরকার, রাউটার থেকে যত দূরে যাওয়া যাবে, ওয়াইফাই সিগন্যাল ততই দুর্বল হবে। এই কারণে ডিভাইসের কাছাকাছি রাউটার থাকা দরকার। রাউটার থেকে ওয়াইফাই সিগন্যাল ৩৬০ ডিগ্রি পরিধিতে ছড়িয়ে পড়ে। তাই বাড়ির মধ্যস্থলে রাউটার বসাতে হবে। তবে বাড়ি যদি বিশাল হয় এবং ওয়াইফাই স্পিড কম হয় তাহলে ওয়াইফাই এক্সটেন্ডার বা রিপিটার ব্যবহার করতে হবে। ৪) মাইক্রোওয়েভ ওভেনও ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে বাধা সৃষ্টি করে। বিশেষ করে পুরনো রাউটারের ক্ষেত্রে এই সমস্যা ঘটে। মাইক্রোওয়েভ ওভেনের ফ্রিকোয়েন্সি ওয়াইফাই ফ্রিকোয়েন্সিকে অনেক সময় ওভারল্যাপ করে বলেই সমস্যা হয়। তাই মাইক্রোওয়েভের থেকে রাউটার দূরে রাখা দরকার। ৫) একই সমস্যা দেখা দেয় ব্লু টুথ নিয়ে। সাধারণত মাইক্রোওয়েভ ওভেন বা ব্লু টুথ ডিভাইস ঢেকে রাখার জন্য সঠিক ধাতব চাদর ব্যবহার করে নির্মাতা সংস্থা। কিন্তু অনেক সময় তাতে খুঁত থাকলেই মুশকিল। এই কারণে এই সমস্ত ডিভাইসের থেকে রাউটার দূরে রাখাই নিরাপদ। ৬) মানুষের শরীরের ৬০ শতাংশ পানি। রেডিও তরঙ্গের গতিরোধ করে পানি। তাই চেষ্টা করতে হবে, রাউটারের কাছে যেন বেশি মানুষ ভিড় না জমান। সামান্য হলেও তাতে ওয়াইফাই স্পিড বাড়বে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

ওয়াইফাইয়ের গতি সচল রাখার উপায়

আপডেট টাইম : ০৪:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ মে ২০১৬

দ্রুত ও নিখুঁত ইন্টারনেট পরিষেবা পেতে ওয়াইফাই কানেকশন জরুরি। কিন্তু অনেক সময়েই গতি হারিয়ে সমস্যা সৃষ্টি করে এই বেতার সংযোগ। কী কারণে শ্লথ হয় ওয়াইফাই সংযোগ এবং এর সমাধানই বা কী? তা নিয়ে চিন্তিত থাকেন অনেকে। তবে একটু সচেতন হলেই আপনি এসব সমস্যা এড়িয়ে চলতে পারেন। ডেটা ট্রান্সফার করতে ২টি রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির সাহায্য নেয় ওয়াইফাই। এগুলো হল ২.৪ গিগাহাট্‌জ এবং ৫ গিগাহাট্‌জ। বেশির ভাগ আধুনিক রাউটার এই দুই ফ্রিকোয়েন্সির মধ্যে ঘোরাফেরায় স্বচ্ছন্দ। এই দুই ফ্রিকোয়েন্সির মধ্যে রয়েছে একাধিক চ্যানেল- ২.৪ গিগাহাট্‌জে ১৪টি এবং ৫ গিগাহাট্‌জে ৩০টি। ওয়াইফাই হঠাত্‍ ধীরে চলার পিছনে নানান কারণ থাকতে পারে। দেখে নেওয়া যাক এমন ১০টি কারণ ও তার সমাধান। ১) রাউটার প্লাগ ইন করার সময় জায়গা নির্বাচন নিয়ে বেশির ভাগ মানুষই ভাবেন না। অনেক সময় মেঝের ওপর বা কোনো কিছুর আড়ালে প্লাগ থাকার দরুণ সেখানেই রাউটারের ঠাঁই হয়। মনে রাখতে হবে, রাউটার যত উঁচুতে রাখা যায় তত রেডিও ওয়েভ সম্প্রচারের পরিধি ছড়িয়ে পড়ে এবং দ্রুততম ইন্টারনেট পরিষেবা পাওয়া যায়। একইসঙ্গে, উঁচু অবস্থানের জন্য অবাঞ্চিত যেকোনো বাধাও এড়ানো যায়। ২) কংক্রিট ও ধাতু আংশিকভাবে ওয়াইফাই তরঙ্গ রোধ করে। তবে এই দুই পদার্থ ছাড়াও কোন বৈদ্যুতিক যন্ত্র রেডিও তরঙ্গ রুখে দিতে বা শ্লথ করে দিতে পারে। রাউটার বসানোর সময় তাই দেখে নিতে হবে, তরঙ্গ সম্প্রচারের পথে কোন আড়াল যেন না থাকে। পাশাপাশি, বাড়ির বেসমেন্টে কখনও রাউটার রাখা চলবে না কারণ এই এলাকাটি কংক্রিটে আবদ্ধ থাকে যা ভেদ করতে ব্যর্থ হয় ওয়াইফাই সিগন্যাল। ৩) মনে রাখা দরকার, রাউটার থেকে যত দূরে যাওয়া যাবে, ওয়াইফাই সিগন্যাল ততই দুর্বল হবে। এই কারণে ডিভাইসের কাছাকাছি রাউটার থাকা দরকার। রাউটার থেকে ওয়াইফাই সিগন্যাল ৩৬০ ডিগ্রি পরিধিতে ছড়িয়ে পড়ে। তাই বাড়ির মধ্যস্থলে রাউটার বসাতে হবে। তবে বাড়ি যদি বিশাল হয় এবং ওয়াইফাই স্পিড কম হয় তাহলে ওয়াইফাই এক্সটেন্ডার বা রিপিটার ব্যবহার করতে হবে। ৪) মাইক্রোওয়েভ ওভেনও ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে বাধা সৃষ্টি করে। বিশেষ করে পুরনো রাউটারের ক্ষেত্রে এই সমস্যা ঘটে। মাইক্রোওয়েভ ওভেনের ফ্রিকোয়েন্সি ওয়াইফাই ফ্রিকোয়েন্সিকে অনেক সময় ওভারল্যাপ করে বলেই সমস্যা হয়। তাই মাইক্রোওয়েভের থেকে রাউটার দূরে রাখা দরকার। ৫) একই সমস্যা দেখা দেয় ব্লু টুথ নিয়ে। সাধারণত মাইক্রোওয়েভ ওভেন বা ব্লু টুথ ডিভাইস ঢেকে রাখার জন্য সঠিক ধাতব চাদর ব্যবহার করে নির্মাতা সংস্থা। কিন্তু অনেক সময় তাতে খুঁত থাকলেই মুশকিল। এই কারণে এই সমস্ত ডিভাইসের থেকে রাউটার দূরে রাখাই নিরাপদ। ৬) মানুষের শরীরের ৬০ শতাংশ পানি। রেডিও তরঙ্গের গতিরোধ করে পানি। তাই চেষ্টা করতে হবে, রাউটারের কাছে যেন বেশি মানুষ ভিড় না জমান। সামান্য হলেও তাতে ওয়াইফাই স্পিড বাড়বে।