ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাউটার কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর

বর্তমানে আমাদের জীবনের এক অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে ওয়াই-ফাই। অনেকেই মনে করেন ওয়াই-ফাইয়ের রাউটার ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকি আছে। রাউটার থেকে নির্গত রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি বিকিরণ মানব শরীরের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করেন অনেকে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিউএইচও, আন্তর্জাতিক ক্যান্সার গবেষণা সংস্থা (আইএআরসি) এবং অন্যান্য বিজ্ঞানী ও গবেষণা সংস্থার মতে, ওয়াই-ফাই রাউটার থেকে নির্গত নন-অয়োনাইজিং বিকিরণ সরাসরি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়। তবে দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চমাত্রার বিকিরণের এক্সপোজার থাকলে কিছু ক্ষতিকর প্রভাব থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মত দেন কিছু গবেষক। বাস্তবে দৈনন্দিন জীবনে ওয়াই-ফাই রাউটারের বিকিরণ মাত্রা অত্যন্ত কম এবং এর মাধ্যমে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তবে এ ব্যাপারে বেশি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে পারেন। যেমন-

দূরত্ব বজায় রাখা: ওয়াই-ফাই রাউটারের থেকে কিছুটা দূরে বসে কাজ করা বা রাউটারকে সরাসরি বিছানার কাছে না রাখা ভালো। এতে বিকিরণের মাত্রা অনেক কমে যায়।

রাতে বন্ধ রাখা: যদি রাউটারের বিকিরণ নিয়ে আপনি উদ্বিগ্ন হন, তাহলে রাতে ঘুমানোর সময় রাউটারটি বন্ধ রাখতে পারেন। এটি বিশেষ করে তখন উপকারী হতে পারে যখন ঘুমের সমস্যা আছে।

দীর্ঘ সময় ধরে এক্সপোজার এড়ানো: যদিও স্বাভাবিক ব্যবহারে তেমন কোনো ক্ষতির প্রমাণ নেই, তারপরও দীর্ঘ সময় ধরে রাউটারের খুব কাছাকাছি না থাকা ভালো।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

রাউটার কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর

আপডেট টাইম : ৫৫ মিনিট আগে

বর্তমানে আমাদের জীবনের এক অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে ওয়াই-ফাই। অনেকেই মনে করেন ওয়াই-ফাইয়ের রাউটার ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকি আছে। রাউটার থেকে নির্গত রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি বিকিরণ মানব শরীরের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করেন অনেকে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিউএইচও, আন্তর্জাতিক ক্যান্সার গবেষণা সংস্থা (আইএআরসি) এবং অন্যান্য বিজ্ঞানী ও গবেষণা সংস্থার মতে, ওয়াই-ফাই রাউটার থেকে নির্গত নন-অয়োনাইজিং বিকিরণ সরাসরি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়। তবে দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চমাত্রার বিকিরণের এক্সপোজার থাকলে কিছু ক্ষতিকর প্রভাব থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মত দেন কিছু গবেষক। বাস্তবে দৈনন্দিন জীবনে ওয়াই-ফাই রাউটারের বিকিরণ মাত্রা অত্যন্ত কম এবং এর মাধ্যমে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তবে এ ব্যাপারে বেশি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে পারেন। যেমন-

দূরত্ব বজায় রাখা: ওয়াই-ফাই রাউটারের থেকে কিছুটা দূরে বসে কাজ করা বা রাউটারকে সরাসরি বিছানার কাছে না রাখা ভালো। এতে বিকিরণের মাত্রা অনেক কমে যায়।

রাতে বন্ধ রাখা: যদি রাউটারের বিকিরণ নিয়ে আপনি উদ্বিগ্ন হন, তাহলে রাতে ঘুমানোর সময় রাউটারটি বন্ধ রাখতে পারেন। এটি বিশেষ করে তখন উপকারী হতে পারে যখন ঘুমের সমস্যা আছে।

দীর্ঘ সময় ধরে এক্সপোজার এড়ানো: যদিও স্বাভাবিক ব্যবহারে তেমন কোনো ক্ষতির প্রমাণ নেই, তারপরও দীর্ঘ সময় ধরে রাউটারের খুব কাছাকাছি না থাকা ভালো।