টঙ্গীর ইজতেমার মাঠে দু’পক্ষের মারামারিতে আহত মিজানুর রহমান (৪০) মারা গেছেন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মিজানুর রহমান কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার মাষ্টারপাড়া গ্রামের মো. ছবির উদ্দিনের ছেলে। তিনি এক ছেলে ও দুই মেয়ের জনক ছিলেন।
শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফ আলী তার সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন। সেখানে নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে তিনি উল্লেখ করেছেন, গত ১৮ ডিসেম্বর (২০২৪) রাত আনুমানিক ৩টার দিকে টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন ইজতেমার মাঠে উভয় পক্ষের মারামারিতে মিজানুর রহমান আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানান শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক।
নিহতের বোন জামাই মোসাদ্দেকুল হক জানিয়েছেন, মিজানুর রহমান পেশায় স্টেশনারি ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি তাবলিগ জামাত করলেও কোন গ্রুপের সদস্য ছিলেন তা জানা নেই বলে জানান তিনি।
এদিকে মিজানুরের এক সাথী সোহেল জানিয়েছেন, তারা সাদ অনুসারীর। তিনি বলেন, ‘আমরা ইজতেমার মাঠে ছিলাম, সেখানে ঘুমন্ত অবস্থায় আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। সে সময়ে মিজানুর গুরুতর আহত হয়। ’
উল্লেখ্য, ওইদিন সাদ অনুসারী ও জোবায়ের অনুসারীদের দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছিল।