ঢাকা ০৬:২৪:৩০ পিএম, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাংশায় শতভাগ নতুন বই না পেয়ে স্কুলবিমুখ শিক্ষার্থীরা

রাজবাড়ীর পাংশায় শতভাগ নতুন বই না পেয়ে স্কুলবিমুখ হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। যে-সব শিক্ষার্থী স্কুলে আসছেন তারাও দুপুরের আগেই বাড়ি চলে যাচ্ছেন। এতে দুপুরের পরেই শিক্ষার্থীশূণ্য হয়ে পড়ছে স্কুলগুলো। তবে বইয়ের জন্য নয় ক্রীড়া উৎসব চলায় এমন পরিস্থিতি হতে পারে বলে জানিয়েছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।

উপজেলার কয়েকটি বিদ্যালয় সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কোনো বিদ্যালয়ের  শিক্ষার্থীরাই শতভাগ পাঠ্য বই পায়নি। দুইটি বা তিনটি করে বই হাতে পেয়েছে শিক্ষার্থীরা। মূলত বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বই হাতে পেয়েছে তারা। এমন অবস্থায় অনেকটা টেনেটুনে চলছে পড়াশোনা।

ঠিকঠাক ক্লাস হচ্ছে না, বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর উপস্থিতিও কম।শিক্ষার্থীরা জানান, দুই থেকে তিনটি বই পেয়েছেন তারা। হাতে পাওয়া বইগুলোর এখন ক্লাস হচ্ছে। এজন্য দুপুরের পর সবাইকে বাড়িতে চলে যেতে হয়।

স্কুলে আসা একাধিক অভিভাবক বলছেন, বই নেই, স্কুলে ঠিকমতো ক্লাস হচ্ছে না। এ জন্য ছেলে-মেয়েরা স্কুলে আসতে চায় না। দুপুরের আগেই ছেলে-মেয়েদের বাড়ি নিয়ে যেতে হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে ছেলে-মেয়েদের কোন ভাবেই স্কুল মুখি করা যাবে না।পাংশা সরকারি জর্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক মোছা. রাশেদা খাতুন বলেন, একটি-দুইটি করে বই দেওয়া হয়েছে।

মূলত বই না পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার প্রতি মনোযোগ হারাচ্ছে। পাংশা-কালুখালী উপজেলা শিক্ষা কল্যাণ ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক মো. সামসুল আলম বলেন, প্রায় স্কুলেই বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চলছে। এছাড়া বই সংকটও রয়েছে। এজন্য শিক্ষকদের এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, অধিকাংশ বিদ্যালয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চলমান রয়েছে। এ জন্য ক্লাস নাও হতে পারে। আমরা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৩২% বই হাতে পেয়েছি এবং সেগুলো বিতরণ করেছি। শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কক্ষে রাখতে শিক্ষকদের কোন নির্দেশনা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা জাতীয় বিষয়। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন নির্দেশনা পাইনি। নির্দেশনা পেলে তা কার্যকর করা হবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

পাংশায় শতভাগ নতুন বই না পেয়ে স্কুলবিমুখ শিক্ষার্থীরা

আপডেট টাইম : ০১:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫
রাজবাড়ীর পাংশায় শতভাগ নতুন বই না পেয়ে স্কুলবিমুখ হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। যে-সব শিক্ষার্থী স্কুলে আসছেন তারাও দুপুরের আগেই বাড়ি চলে যাচ্ছেন। এতে দুপুরের পরেই শিক্ষার্থীশূণ্য হয়ে পড়ছে স্কুলগুলো। তবে বইয়ের জন্য নয় ক্রীড়া উৎসব চলায় এমন পরিস্থিতি হতে পারে বলে জানিয়েছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।

উপজেলার কয়েকটি বিদ্যালয় সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কোনো বিদ্যালয়ের  শিক্ষার্থীরাই শতভাগ পাঠ্য বই পায়নি। দুইটি বা তিনটি করে বই হাতে পেয়েছে শিক্ষার্থীরা। মূলত বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বই হাতে পেয়েছে তারা। এমন অবস্থায় অনেকটা টেনেটুনে চলছে পড়াশোনা।

ঠিকঠাক ক্লাস হচ্ছে না, বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর উপস্থিতিও কম।শিক্ষার্থীরা জানান, দুই থেকে তিনটি বই পেয়েছেন তারা। হাতে পাওয়া বইগুলোর এখন ক্লাস হচ্ছে। এজন্য দুপুরের পর সবাইকে বাড়িতে চলে যেতে হয়।

স্কুলে আসা একাধিক অভিভাবক বলছেন, বই নেই, স্কুলে ঠিকমতো ক্লাস হচ্ছে না। এ জন্য ছেলে-মেয়েরা স্কুলে আসতে চায় না। দুপুরের আগেই ছেলে-মেয়েদের বাড়ি নিয়ে যেতে হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে ছেলে-মেয়েদের কোন ভাবেই স্কুল মুখি করা যাবে না।পাংশা সরকারি জর্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক মোছা. রাশেদা খাতুন বলেন, একটি-দুইটি করে বই দেওয়া হয়েছে।

মূলত বই না পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার প্রতি মনোযোগ হারাচ্ছে। পাংশা-কালুখালী উপজেলা শিক্ষা কল্যাণ ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক মো. সামসুল আলম বলেন, প্রায় স্কুলেই বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চলছে। এছাড়া বই সংকটও রয়েছে। এজন্য শিক্ষকদের এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, অধিকাংশ বিদ্যালয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চলমান রয়েছে। এ জন্য ক্লাস নাও হতে পারে। আমরা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৩২% বই হাতে পেয়েছি এবং সেগুলো বিতরণ করেছি। শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কক্ষে রাখতে শিক্ষকদের কোন নির্দেশনা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা জাতীয় বিষয়। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন নির্দেশনা পাইনি। নির্দেশনা পেলে তা কার্যকর করা হবে।