বেশিরভাগ মানুষই চায়ে দুধ-চিনি মিশিয়ে খান। এতে কোনো উপকারই হয় না। তাই চা থেকে উপকার পেতে চাইলে চায়ে এক চামচ ঘি মিশিয়ে খান। ঘি মেশানো চা স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। চলুন জেনে নেওয়া যাক ঘি মেশানো চা খেলে শরীরে কী-কী উপকারিতা পাওয়া যায়।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
ঠিকমতো পেট পরিষ্কার হয় না, মাঝেমধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন- এ ধরনের সমস্যা দূর করতে কাজ করে ঘি। বয়েল মুভমেন্টকে ঠিক রাখতে ঘি মেশানো চা দারুণভাবে উপকারী। এই পানীয়তে ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা অন্ত্রের জ্বালাপোড়া কমায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের হাত থেকে বাঁচতে যদি ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে চায়ে ঘি মিশিয়ে খেতে পারেন।
ওজন হ্রাস করে
চা বা ঘি আলাদাভাবে খেয়ে ওজন কমানো সম্ভব নয়। কিন্তু চায়ের সঙ্গে ঘি মিশিয়ে খেলে ওজন কমবে। এতে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এই পানীয় খিদে কমাতেও উপযোগী। পাশাপাশি মেটাবলিজম উন্নত হয়। ঘি মেশানো চা ক্যালরি পোড়াতেও অনেক সাহায্য করে। তাই ঘি মেশানো চা খেলে ওজন কমে।
স্ট্যামিনা বাড়াতে সাহায্য করে
ঘি মেশানো চা খেলে শরীরে কাজ করার শক্তি পাওয়া যায়। সারাদিন ক্লান্তবোধ করে কাজ করার শক্তি না পান, তাহলে ঘি মেশানো চা খান। সকালে ঘি মেশানো চা খেলে সারাদিন ফুরফুরে থাকবেন, কাজ করার শক্তি পাবেন।
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নত করে
ঘিয়ের মধ্যে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড কগনিটিভ ফাংশন উন্নত করতে সাহায্য করে। এতে স্মৃতিশক্তি ধরে রাখার ক্ষমতা আরও বেড়ে যায়। এছাড়াও ঘি মেশানো চা খেলে মনোযোগ বাড়ে।
মেন্সট্রুয়াল ক্র্যাম্প কমাতে সাহায্য করে
ঘিয়ের মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ঋতুস্রাবের সময় হওয়া শারীরিক ব্যথা-যন্ত্রণা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও পিরিয়ডের সময় হওয়া তলপেটের যন্ত্রণা, কোমরে-পায়ে ব্যথা, পেটের ফোলাভাব ইত্যাদি কমাতে সাহায্য করে।