যা যা রয়েছে প্রকল্পে
প্রস্তাবিত এই প্রকল্পের মধ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চার নেতার ব্রোঞ্জের ভাস্কর্য, মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণের ব্রোঞ্জের ভাস্কর্য, শেখ হাসিনা মঞ্চ, মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাসংবলিত ডিওরোমা নির্মাণের কথা বলা হয়েছে। প্রকল্পের কাজের মধ্যে আরো রয়েছে ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলির বিবরণ সম্পর্কিত ইতিহাস পরিক্রমা নির্মাণ, ভাস্কর্য উদ্যান নির্মাণ এবং ম্যুরাল ও পেইন্টিং স্থাপন ইত্যাদি। স্কুল, প্লে গ্রাউন্ড, সুইমিং পুল, পার্কিংসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতের কথাও বলা হয়েছে প্রকল্পে।
ঐতিহাসিক মুজিবনগরের বর্তমান অবস্থা
প্রায় দুই যুগ আগে ৭২ একর জমি অধিগ্রহণ করে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বৈদ্যনাথতলায় নির্মাণ করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কেন্দ্র। তবে সমালোচনা রয়েছে, নির্মিত বেশ কিছু স্থাপনায় ইতিহাস ঠিকঠাকভাবে উঠে আসেনি। গার্ড অব অনারের ভাস্কর্যে ১২ জন আনসার সদস্যর বিপরীতে দেখানো হয়েছে আটজনকে। মেহেরপুরের গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শম্ভু রাম পাল বলেন, মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে এবার জাদুঘর ও রাস্তা সংস্কার, রং করা, কমপ্লেক্স চত্বর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নসহ প্রায় ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ ধরে সংস্কারকাজ করা হয়েছে।
কোনো স্থাপনাই আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়নি
১১টি মন্ত্রণালয়ের প্রায় ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দে গড়ে উঠেছে মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কেন্দ্র। এর মধ্যে পর্যটক মোটেল, শপিং মল, ডাকঘর, হেলিপ্যাড, টেলিফোন এক্সচেঞ্জ, ছয় দফাভিত্তিক মনোরম গোলাপ বাগান ইত্যাদির কাজ শেষ হলেও এখনো কোন স্থাপনাই আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়নি।
পরিচর্যার অভাবে মারা গেছে ১০০ আমগাছ
মুজিবনগরের ঐতিহাসিক আম্রকাননে বর্তমানে এক হাজার ১০০টি গাছ বেঁচে রয়েছে। পরিচর্যার অভাবে এরই মধ্যে শতাধিক গাছ মারা গেছে।