নরসিংদীর রায়পুরায় জহির মিয়া নামে এক মাটি ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে একটি সরকারি খালের মাটি বিক্রি ও রাস্তার ঢাল কাটার অভিযোগ উঠেছে। খননযন্ত্র দিয়ে তোলা মাটি ট্রাক্টরে করে বিক্রি করা হচ্ছে বাসাবাড়ি ও ইটভাটায়। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায়, উপজেলার মরজাল ইউনিয়নের ব্রাহ্মণেরটেক এলাকার রামগঙ্গা খাল খননের পর পাড়ে রাখা মাটি ও পাশের উর্বর জমি থেকে মাটি একটি খননযন্ত্র দিয়ে কেটে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ী জহির মিয়া। ট্রাক্টর দিয়ে মাটি নেওয়ার জন্য পাশের সরকারি রাস্তার ঢাল কাটার অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে। গাড়ি প্রতি মাটি (ট্রাক্টর প্রতি) আড়াই হাজার টাকায় স্থানীয় ব্যক্তি ও ইটভাটার মালিকদের কাছে বিক্রি করছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সরকারি খালের মাটি লুট হলেও প্রভাবশালী ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কেউ সরাসরি প্রতিবাদ জানাতে সাহস পায় নি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, খালের পাড়ে রাখা মাটি কেটে সমতল জমিতে রূপান্তর করে দিয়েছে জহির মিয়া। এছাড়া খালের পাড় ঘেঁষে থাকা জমি থেকেও কেটে নেওয়া হচ্ছে মাটি। তবে এসব মাটি ট্রাক্টরে করে নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকারি রাস্তা কেটে তৈরি করা হয়েছে বিশাল ঢাল।
ট্রাক্টরচালক নুর আলম বলেন, পাশের গ্রামে এক ব্যক্তির বাড়িতে মাটি পৌঁছে দিচ্ছি। আমিসহ আরও কয়েকজন ট্রাক্টরচালক এখানে কাজ করছেন। এ ব্যাপারে এর বেশি বলতে পারব না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই ব্যক্তি বলেন, দুই বছর আগে খননের সময় রামগঙ্গা খালের মাটি দিয়ে পাড় নির্মাণ করা হয়েছিল। সেই মাটি লুট করে বিক্রি করে দিচ্ছে জহির মিয়া। গাড়িতে করে মাটি নেওয়ার জন্য সরকারি রাস্তার ঢাল কেটে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। এই ঘটনায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপসহ জড়িত ব্যক্তির বিচার দাবি জানিয়েছেন তারা।
জমির মাটি বিক্রির বিষয়ে জহির মিয়া বলেন, প্রায় ১ মাস আগে জমির মালিক আফসার উদ্দিনের সাথে পার্শ্ববর্তী জমির সঙ্গে মিল রেখে মাটি কাটার চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী জমির মালিককে জমি উর্বরতা বাড়তে সার ও বীজ দেওয়ার চুক্তি হয় বলে জানান তিনি।
রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, বিষয়টি আমরা আপনাদের কাছ থেকে জেনেছি। ঘটনা প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।