জামিনে মুক্তির পর জেল গেইট থেকে আবার গ্রেপ্তার হয়েছেন রাজশাহী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ।
বুধবার রাত ৮টার দিকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তির পর তাকে আটক করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নেওয়া হয় বলে জানান জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম।
আবুল কালামের জামিনের খবর এলাকায় জানাজানি হলে বিকাল থেকে কারাগারের বাইরের সড়কে অবস্থান নেন ছাত্রদল, যুবদল, মহিলা দল ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা। তাদের হাতে লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল দেখা যায়। তবে বাইরে সতর্ক অবস্থায় ছিল পুলিশ।
রাতে জেলে গেইট থেকে আবুল কালাম বের হওয়ার সময় তার ওপর হামলার চেষ্টা করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, আবুল কালাম আজাদতে মোহনপুর থানা পোড়ানোর নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গত বছরের ৩ অগাস্ট সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় থানায় হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
তিনি বলেন, আবুল কালামের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি মামলা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার ঘটনায়। আর অপর মামলাটি দুর্নীতি দমন কমিশনের। উচ্চ আদালত থেকে তিনি সব মামলার জামনি নেন।
রাত ৮টার দিকে কারাগারের ভেতরের প্রধান ফটক থেকে বের হন আবুল কালাম আজাদ। পরে ডিবি পুলিশের সঙ্গে হেঁটে কারাগারের বাইরের প্রধান ফটকের কাছে যান তিনি। এরপর বাইরে রাখা ডিবি পুলিশের গাড়িতে তাকে তুলে নেওয়া হয়। গাড়িতে তোলার সময় ছাত্রদল, যুবদল ও মহিলা দলের নেতাকর্মীরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন।
এ সময় ডিবি পুলিশের এক সদস্য বলতে থাকেন, ‘এটা পুলিশের গাড়ি, পুলিশের গাড়ি।’ আবুল কালামকে পুলিশের গাড়িতে তোলার পর সেটি আটকে দেওয়ার চেষ্টা করেন নেতাকর্মীরা। অনেকে গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে যান। দু-একজন ইটপাটকেলও ছোড়েন।
এ সময় বাইরে থাকা পুলিশ সদস্যরা নেতাকর্মীদের সরিয়ে দিলে গাড়িটি ডিবি কার্যালয়ে চলে যায়।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার সংসদ সদস্য হয়েছিলেন আবুল কালাম আজাদ। ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। গত বছরের ২ অক্টোবর রাতে রাজধানীর মিরপুরের শেওড়াপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছিল র্যাব। এরপর থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন