ঢাকা , বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝালকাঠিতে ছোট ভাইকে হত্যার দায়ে বড় ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড

ঝালকাঠিতে আপন ছোট ভাইকে হত্যার দায়ে রুহুল আমিন হাওলাদার (৪৮) নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার বিকেলে এ রায় দেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. মাহেব হোসেন। আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী খান শহিদুল ইসলাম।আদালত সূত্রে জানা গেছে, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রুহুল আমিন হাওলাদার জেলার কাঁঠালিয়া উপজেলার চিংড়াখালী গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে। এর আগে তিনি বেসরকারি সংস্থার এক কর্মীকে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করেছেন।

পিপি মো. মাহেব হোসেন জানান, কাঁঠালিয়ার গ্রামীণ ব্যাংকের মাঠকর্মী মজিবুর রহমানকে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি রুহুল আমিন হাওলাদার কারাদণ্ড ভোগ করে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে মুক্তি পান। বাড়িতে ফিরে জমি নিয়ে ভাইবোনদের সঙ্গে মতবিরোধে জড়িয়ে পড়েন তিনি। ওই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর তাঁর এক ভাই ফিরোজ হাওলাদার বসতঘরের টিন খুলতে গেলে রুহুল আমিন বাধা দেন। এ নিয়ে ওই দিন সন্ধ্যায় বসতবাড়ির সামনে বসা অবস্থায় ফিরোজকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যান রুহুল আমিন। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তির পর ওই দিন রাত ১১টায় ফিরোজের মৃত্যু হয়।

ঘটনার পরদিন নিহত ফিরোজ হাওলাদারের স্ত্রী রাণী বেগম বাদী হয়ে কাঁঠালিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ২০২৩ সালের ১২ সেপ্টেম্বর আসামি রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাঁঠালিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কাইউম বাহাদুর গত বছরের ২০ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার রায় দেন আদালত।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

ঝালকাঠিতে ছোট ভাইকে হত্যার দায়ে বড় ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড

আপডেট টাইম : ০৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

ঝালকাঠিতে আপন ছোট ভাইকে হত্যার দায়ে রুহুল আমিন হাওলাদার (৪৮) নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার বিকেলে এ রায় দেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. মাহেব হোসেন। আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী খান শহিদুল ইসলাম।আদালত সূত্রে জানা গেছে, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রুহুল আমিন হাওলাদার জেলার কাঁঠালিয়া উপজেলার চিংড়াখালী গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে। এর আগে তিনি বেসরকারি সংস্থার এক কর্মীকে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করেছেন।

পিপি মো. মাহেব হোসেন জানান, কাঁঠালিয়ার গ্রামীণ ব্যাংকের মাঠকর্মী মজিবুর রহমানকে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি রুহুল আমিন হাওলাদার কারাদণ্ড ভোগ করে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে মুক্তি পান। বাড়িতে ফিরে জমি নিয়ে ভাইবোনদের সঙ্গে মতবিরোধে জড়িয়ে পড়েন তিনি। ওই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর তাঁর এক ভাই ফিরোজ হাওলাদার বসতঘরের টিন খুলতে গেলে রুহুল আমিন বাধা দেন। এ নিয়ে ওই দিন সন্ধ্যায় বসতবাড়ির সামনে বসা অবস্থায় ফিরোজকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যান রুহুল আমিন। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তির পর ওই দিন রাত ১১টায় ফিরোজের মৃত্যু হয়।

ঘটনার পরদিন নিহত ফিরোজ হাওলাদারের স্ত্রী রাণী বেগম বাদী হয়ে কাঁঠালিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ২০২৩ সালের ১২ সেপ্টেম্বর আসামি রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাঁঠালিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কাইউম বাহাদুর গত বছরের ২০ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার রায় দেন আদালত।