বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ কিশোরগঞ্জে সবজিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সাধারন মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচাবাজারে সবজির দাম অন্তত ২৫ ভাগ বেড়েছে। এসব কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা, বিশেষ করে নিম্ন আয়ের লোকজন। ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজার দর নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের কোনো নজরদারি নেই। ফলে বিক্রেতারা নিজেদের মতো করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ার কারণেই এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
শহরের বড় বাজারে বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩৫-৪০ টাকা । ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়, যা গেল সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ২৫-৩০ টাকায়; দেশি পেঁয়াজ ৬০ টাকা, যা আগে ছিল ৪৫ টাকা। ঝিঙ্গা ৫০ টাকা, শিম ১২০ টাকা, টমেটো ১৪০ টাকা ও ঢেঁড়স কেজি প্রতি ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বড় বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী বিল্লাল মিয়া বলেন, ‘সব সবজির দামই গত সপ্তাহের তুলনায় ১৫ থেকে ২০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।’ আরেক ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম জানান, ৮-১০ দিনের ব্যবধানে প্রতিটি সবজিই বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। কারণ পাইকারিতে এগুলোর দাম অনেক বেড়েছে। এখানে আমাদের কিছু করার নেই।
মাছের বাজারেও একই অবস্থা। চাষের কৈ মাছ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১২০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১০০-১১০ টাকা। তেলাপিয়া মাছ ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা আগে বিক্রি হয়েছে ৯০-৯৫ টাকায়। তবে ইলিশ মাছের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমেছে।
ইলিশ প্রসঙ্গে মাছ ব্যবসায়ী মো. শহীদুল্লাহ বলেন, ‘এক কেজি ওজনের একটি ইলিশ এক হাজার টাকা দরে বিক্রি করছি, আগের সপ্তাহে এটা ছিল এক হাজার দুই’শ টাকা। ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৫০০ টাকায় ছেড়ে দিচ্ছি, গত সপ্তাহে এর দাম ছিল ৭০০ টাকা।
পোলট্রি মুরগির দাম প্রতি কেজিতে দশ টাকা বেড়েছে। এক কেজি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০ থেকে ১২৫ টাকা।
পাইকারি ব্যাবসায়ীরাও আগের থেকে বেশি দামে পণ্য কিনছেন বলে দাবি করেছেন। বড় বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী মনজুরুল হক মজনু বলেন, খুচরা বাজারে দেশি জাতের পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি, যা গত সপ্তাহে বিক্রি করেছিলাম ৩৮-৪০ টাকা। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা করে, আগে ছিল ২৫-৩০ টাকা; রসুন বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকা ও আদা ৮০ টাকায়। অকাল বন্যা ও বৃষ্টিপাতের কারণে দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়েছে বলে মনে করেন পাইকারি ব্যাবসায়ীরা।