ঢাকা , রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরিষা ফুলের হলুদ সৌন্দর্য দেখতে ঘুরে আসেন গ্রামে

বাঙ্গালী কন্ঠ ডেস্কঃ সরিষা ফুলের হলুদ সৌন্দর্য দেখার সময় শুরু! এ যেন প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের মিলন উৎসব। এই উৎসবে আপনিও সামিল হতে পারেন। ঘুরে আসতে পারেন হলুদ দুনিয়া থেকে। যারা শহরে থাকেন তাদের বলছি,  মনকাড়া হলুদ সরিষা ক্ষেত দেখে আসুন এই শীতেই।

সম্পর্কিত ছবি

ফুসফুসের উপকার সাধিত হয় সরিষা ফুলের ঘ্রাণে। ঝালকাঠির ধানসিড়ি ইউনিয়নের সাচিলাপুর গ্রামের হলুদে মিশে যান একদিন। শীতে সেখানকার কৃষকরা ব্যস্ত থাকে সরিষার পরিচর্যায়, ভ্রমর মধু খুঁজে ফিরছে ফুলে ফুলে। দেখবেন নানা রঙের প্রজাপতিতে ভরে আছে সরিষা ক্ষেত। রঙ-বেরঙের প্রজাপতি ডানা ঝাপটানো চিত্তে জাগাবে নবতর আনন্দ।সরিষা ক্ষেতে ছবি এর ছবির ফলাফল

ঢাকার সদরঘাট থেকে লঞ্চ বা স্টিমারে রাজাপুর ঘাটে নেমে যেকোনো পরিবহনে সরিষা গ্রামে যাওয়া যায়। ঢাকার সদরঘাট থেকে সন্ধ্যা ছয়টায় বিআইডব্লিউটিএ’র রকেট-স্টিমার ‘পিএস মাহসুদ’, ‘পিএস অস্ট্রিচ’, ‘পিএস লেপচা’ ও ‘পিএস টার্ন’ ছাড়ে। সপ্তাহের দিনগুলোতে পালাক্রমে ছাড়ে স্টিমারগুলো।

সরিষা ক্ষেতে ছবি এর ছবির ফলাফল

সরিষা ফুল

ঝিটকার হলুদ রাজ্য

সরিষা ক্ষেতের জন্য মানিকগঞ্জের ঝিটকা খুবই পরিচিত একটি নাম। কুয়াশায় ধূসর প্রান্তর, তাও চারদিকে হলুদের সমাহার। মনে হয় যেন রূপকথার রাজকুমারীর গায়ে হলুদ। প্রজাপতি, মৌমাছি, হলুদিয়া-নীলরঙা পাখি, পোকামাকড় থেকে শুরু করে অনেক কিছু দেখা যায় এই রাজ্যে! সবাই যেন হুমড়ে পড়ে হলুদের ওপর। এই সময়ে সরিষা ক্ষেতগুলোর অনেক জায়গায় মধুচাষিরা বসেন মধু সংগ্রহের জন্য।

সরিষা ক্ষেতে ছবি এর ছবির ফলাফল

ঝিটকায় যেতে হলে আপনাকে প্রথমে ঢাকার গুলিস্তান থেকে মানিকগঞ্জের বাসে উঠতে হবে। সেখান থেকে আবার লোকাল বাসে চড়ে ঝিটকা, সারাদিনই এ বাস পাওয়া যায়। এ জায়গায় স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণের জন্য নিজস্ব গাড়ি নিয়ে যাওয়া ভালো। যাদের সে ব্যবস্থা নেই তারা ভাড়ায় মাইক্রোবাস কিংবা অন্য কোনো গাড়ি নিয়ে যেতে পারেন।

সম্পর্কিত ছবিসরিষা ক্ষেতে ভ্রমণের সবচেয়ে ভালো সময় খুব সকাল কিংবা বিকেল

মেঘনা তীরের সরিষা ক্ষেত

কুয়াশায় মোড়ানো প্রকৃতি। চারিদিকে বিরাজ করছে শীতের আবহ। মাঠে মাঠে শোভা পাচ্ছে হলুদের বিশাল সমারোহ। কুয়াশা ও ঝলমলে রোদের খেলা এখন দিগন্ত বিস্তৃত হলদে বরণ সরিষার ফুলে ফুলে। দিগন্তজোড়া হলদে রঙের সেই সরিষা ফুলের সৌন্দর্য দেখতে যেতে পারেন আড়াইহাজার। চাইলে আপনার প্রিয় মানুষটিকেও এই ভ্রমণের সফরসঙ্গী করতে পারেন। আর সরিষা ফুলের সঙ্গে বোনাস হিসেবে থাকছে শীতের সকালে খেজুরের রস খাওয়া, মেঘনা নদীতে ঝাপঝাঁপি, আড়াইহাজারের স্থানীয় খাবারের স্বাদ নেয়া ও বিরামহীন ছবি তোলা।

সম্পর্কিত ছবি

কুড়িল বিশ্বরোড থেকে বাসে প্রায় ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই আড়াইহাজার পৌঁছানো সম্ভব। আড়াইহাজার নেমে প্রথমেই খেজুরের রস দিয়ে যাত্রা শুরু করতে পারেন। এরপর অটোতে করে হলুদ ফুলের রাজ্যে প্রবেশ করুন। দুপুরটা কাটিয়ে দিন হলুদের রাজ্যেই। দুপুরের খাবার খেয়ে যেতে পারেন মেঘনা পাড়ে।

সম্পর্কিত ছবি

কাছে কিংবা দূরে, যে দিকেই বেড়াতে যান না কেন সরিষার রাজ্যে ভ্রমণে যেতে নিজস্ব কিংবা ভাড়া করা কোনো গাড়ি নেয়া উচিত। খরচ কমাতে কয়েকজন মিলে একটি গাড়ি ভাড়া করে নিন। তাহলে ইচ্ছেমতো ভালোলাগা যে কোনো জায়গাতেই থেমে যেতে পারবেন। ঘুরতে গিয়ে সরিষা ক্ষেতের যেন কোনো ক্ষতি না হয় সেদিকে অবশ্যই নজর রাখবেন। মনে রাখবেন, সরিষা ক্ষেতে ভ্রমণের সবচেয়ে ভালো সময় খুব সকাল কিংবা বিকেল।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

সরিষা ফুলের হলুদ সৌন্দর্য দেখতে ঘুরে আসেন গ্রামে

আপডেট টাইম : ০৪:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০১৯

বাঙ্গালী কন্ঠ ডেস্কঃ সরিষা ফুলের হলুদ সৌন্দর্য দেখার সময় শুরু! এ যেন প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের মিলন উৎসব। এই উৎসবে আপনিও সামিল হতে পারেন। ঘুরে আসতে পারেন হলুদ দুনিয়া থেকে। যারা শহরে থাকেন তাদের বলছি,  মনকাড়া হলুদ সরিষা ক্ষেত দেখে আসুন এই শীতেই।

সম্পর্কিত ছবি

ফুসফুসের উপকার সাধিত হয় সরিষা ফুলের ঘ্রাণে। ঝালকাঠির ধানসিড়ি ইউনিয়নের সাচিলাপুর গ্রামের হলুদে মিশে যান একদিন। শীতে সেখানকার কৃষকরা ব্যস্ত থাকে সরিষার পরিচর্যায়, ভ্রমর মধু খুঁজে ফিরছে ফুলে ফুলে। দেখবেন নানা রঙের প্রজাপতিতে ভরে আছে সরিষা ক্ষেত। রঙ-বেরঙের প্রজাপতি ডানা ঝাপটানো চিত্তে জাগাবে নবতর আনন্দ।সরিষা ক্ষেতে ছবি এর ছবির ফলাফল

ঢাকার সদরঘাট থেকে লঞ্চ বা স্টিমারে রাজাপুর ঘাটে নেমে যেকোনো পরিবহনে সরিষা গ্রামে যাওয়া যায়। ঢাকার সদরঘাট থেকে সন্ধ্যা ছয়টায় বিআইডব্লিউটিএ’র রকেট-স্টিমার ‘পিএস মাহসুদ’, ‘পিএস অস্ট্রিচ’, ‘পিএস লেপচা’ ও ‘পিএস টার্ন’ ছাড়ে। সপ্তাহের দিনগুলোতে পালাক্রমে ছাড়ে স্টিমারগুলো।

সরিষা ক্ষেতে ছবি এর ছবির ফলাফল

সরিষা ফুল

ঝিটকার হলুদ রাজ্য

সরিষা ক্ষেতের জন্য মানিকগঞ্জের ঝিটকা খুবই পরিচিত একটি নাম। কুয়াশায় ধূসর প্রান্তর, তাও চারদিকে হলুদের সমাহার। মনে হয় যেন রূপকথার রাজকুমারীর গায়ে হলুদ। প্রজাপতি, মৌমাছি, হলুদিয়া-নীলরঙা পাখি, পোকামাকড় থেকে শুরু করে অনেক কিছু দেখা যায় এই রাজ্যে! সবাই যেন হুমড়ে পড়ে হলুদের ওপর। এই সময়ে সরিষা ক্ষেতগুলোর অনেক জায়গায় মধুচাষিরা বসেন মধু সংগ্রহের জন্য।

সরিষা ক্ষেতে ছবি এর ছবির ফলাফল

ঝিটকায় যেতে হলে আপনাকে প্রথমে ঢাকার গুলিস্তান থেকে মানিকগঞ্জের বাসে উঠতে হবে। সেখান থেকে আবার লোকাল বাসে চড়ে ঝিটকা, সারাদিনই এ বাস পাওয়া যায়। এ জায়গায় স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণের জন্য নিজস্ব গাড়ি নিয়ে যাওয়া ভালো। যাদের সে ব্যবস্থা নেই তারা ভাড়ায় মাইক্রোবাস কিংবা অন্য কোনো গাড়ি নিয়ে যেতে পারেন।

সম্পর্কিত ছবিসরিষা ক্ষেতে ভ্রমণের সবচেয়ে ভালো সময় খুব সকাল কিংবা বিকেল

মেঘনা তীরের সরিষা ক্ষেত

কুয়াশায় মোড়ানো প্রকৃতি। চারিদিকে বিরাজ করছে শীতের আবহ। মাঠে মাঠে শোভা পাচ্ছে হলুদের বিশাল সমারোহ। কুয়াশা ও ঝলমলে রোদের খেলা এখন দিগন্ত বিস্তৃত হলদে বরণ সরিষার ফুলে ফুলে। দিগন্তজোড়া হলদে রঙের সেই সরিষা ফুলের সৌন্দর্য দেখতে যেতে পারেন আড়াইহাজার। চাইলে আপনার প্রিয় মানুষটিকেও এই ভ্রমণের সফরসঙ্গী করতে পারেন। আর সরিষা ফুলের সঙ্গে বোনাস হিসেবে থাকছে শীতের সকালে খেজুরের রস খাওয়া, মেঘনা নদীতে ঝাপঝাঁপি, আড়াইহাজারের স্থানীয় খাবারের স্বাদ নেয়া ও বিরামহীন ছবি তোলা।

সম্পর্কিত ছবি

কুড়িল বিশ্বরোড থেকে বাসে প্রায় ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই আড়াইহাজার পৌঁছানো সম্ভব। আড়াইহাজার নেমে প্রথমেই খেজুরের রস দিয়ে যাত্রা শুরু করতে পারেন। এরপর অটোতে করে হলুদ ফুলের রাজ্যে প্রবেশ করুন। দুপুরটা কাটিয়ে দিন হলুদের রাজ্যেই। দুপুরের খাবার খেয়ে যেতে পারেন মেঘনা পাড়ে।

সম্পর্কিত ছবি

কাছে কিংবা দূরে, যে দিকেই বেড়াতে যান না কেন সরিষার রাজ্যে ভ্রমণে যেতে নিজস্ব কিংবা ভাড়া করা কোনো গাড়ি নেয়া উচিত। খরচ কমাতে কয়েকজন মিলে একটি গাড়ি ভাড়া করে নিন। তাহলে ইচ্ছেমতো ভালোলাগা যে কোনো জায়গাতেই থেমে যেতে পারবেন। ঘুরতে গিয়ে সরিষা ক্ষেতের যেন কোনো ক্ষতি না হয় সেদিকে অবশ্যই নজর রাখবেন। মনে রাখবেন, সরিষা ক্ষেতে ভ্রমণের সবচেয়ে ভালো সময় খুব সকাল কিংবা বিকেল।