যশোরের আলোচিত সন্ত্রাসী আনিসুর রহমান লিটন ওরফে ফিঙে লিটন জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে আজ সোমবার বেলা ১টা ৩০ মিনিটের দিকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হয়ে যান তিনি।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার শরিফুল আলম।
লিটন যশোর শহরের বারান্দি মোল্লাপাড়ার বদর উদ্দিনের ছেলে। যশোরর জেলার শরিফুল আলম বলেন, ‘উচ্চ আদালত থেকে রায়ের কপি যশোর আদালতের মাধ্যমে সোমবার কারাগারে আসে। এদিনই দুপুরে জামিনে মুক্ত হয়ে তিনি বের হয়ে যান।’
১৯৯৯ সালে অস্ত্র আইনের একটি মামলায় লিটনের ১০ বছরের সাজা হয়। এরপর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।
কারাগার, থানা ও স্থানীয় সূত্র বলছে, তিনি ভারত, নেপাল, আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, কাতারসহ বিভিন্ন দেশে অবস্থান করেছেন। অস্ত্র, হত্যা, চাঁদাবাজিসহ ২০ থেকে ২২টি মামলা মাথায় নিয়ে প্রায় ২৫ বছর আত্মগোপনে ছিলেন তিনি।
দেশের বাইরে থাকলেও যশোরের মানুষের কাছে আতংকের নাম ‘ফিঙে লিটন’। দেশের বাইরে থেকেই নিয়ন্ত্রণ করতেন যশোরের নানা সিন্ডিকেট। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, চাঁদাবাজি ও একাধিক খুনের ঘটনায় ফিঙে লিটনের নাম জড়িয়েছেন তাঁর অনুসারীরা।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর বদলে গেছে দেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপট। এই সুযোগে দীর্ঘদিন পর দেশে ফেরেন লিটন। গত ৪ সেপ্টেম্বর সকালে গোপনে যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফারজানা ইয়াসমিনের আদালতে অস্ত্র মামলায় আত্মসমর্পণ করেন।
এদিন বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তবে আসামির পক্ষের আইনজীবীরা গতকাল রোববার উচ্চ আদালতে জামিন আবেদন করলে তাঁর জামিন মঞ্জুর হয়। অর্থাৎ ৫৩ দিন সাজাভোগ করে গতকাল জামিনে মুক্ত হলেন যশোরের আলোচিত এই সন্ত্রাসী।