ঢাকা , রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
প্রতারণার অভিযোগ আদালতে শাহরুখ-অজয়-টাইগার, সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ফুটপাতের ঈদ বাজার: ‘চানরাইত পর্যন্ত দেহন লাগব ঈদে মুক্তি পাচ্ছে মোশাররফ করিমের ‘চক্কর ৩০২ বাউফলে তেঁতুলিয়া নদীতে তরমুজে বোঝাই ট্রলার ডাকাতি, আহত ৯ ৪ দিনের সফর শেষে জাতিসংঘ মহাসচিবের ঢাকা ত্যাগ ঈদের পর দেশে ফিরতে পারেন খালেদা জিয়া রোহিঙ্গা শনাক্তে জাতিসংঘের ডেটাবেইস ব্যবহার করতে চায় ইসি ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন চট্টগ্রাম-২ আসনে আলোচনায় বিএনপির কাদের জামায়াতের নুরুল অপতথ্য মোকাবেলায় জাতিসংঘ মহাসচিবের সহায়তা কামনা প্রধান উপদেষ্টার কুয়েতের বিজ্ঞান কেন্দ্রের তথ্য সৌদিতে ২৯ রমজানে উঠবে ঈদের চাঁদ, বাংলাদেশে কবে

খালেদা জিয়ার ৮ মামলা বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

২০১৫ সালে রাজধানীর দারুস সালাম ও যাত্রাবাড়ী থানায় বাস পোড়ানোর অভিযোগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা আট মামলার কার্যক্রম বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হয়েছে। আজ শনিবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে পৃথকভাবে এ রায় প্রকাশিত হয়।

এর আগে, ২০২৪ সালের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল মঞ্জুর করে রায় দেন। রায়ে মামলাগুলো বাতিল করা হয়।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ প্রমুখ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার ও রাসেল আহমেদ, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. গিয়াস উদ্দিন গাজী, শামীমা আক্তার বানু, লাবণী আক্তার ও কাজী মোহাম্মদ মনরিুজ্জামান।

বাস পোড়ানোর অভিযোগে ২০১৫ সালের ২৯ জানুয়ারি, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০ ফেব্রুয়ারি, ১ মার্চ, ৩ মার্চ দারুস সালাম থানায় এবং ২৪ জানুয়ারি, ২৩ জানুয়ারি ও ২৪ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানায় এসব মামলা দায়ের করা হয়। পরে এসব মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

২০১৭ সালে পৃথকভাবে মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। তখন হাইকোর্ট রুল জারি করে মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেন। সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত বছরের অক্টোবরে রুল মঞ্জুর করে রায় দেন হাইকোর্ট।

রায়ের পর জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা বলেছিলেন, আদালত ওইসব মামলায় রুল অ্যাসলিউট করেছেন। এর অর্থ হলো মামলাগুলো বাতিল হয়ে গেল। এই মামলাগুলো আর থাকল না। অর্থাৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে দায়ের করা এসব মামলা থেকে খালেদা জিয়ারকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রতারণার অভিযোগ আদালতে শাহরুখ-অজয়-টাইগার, সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার ঝড়

খালেদা জিয়ার ৮ মামলা বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

আপডেট টাইম : ১২:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

২০১৫ সালে রাজধানীর দারুস সালাম ও যাত্রাবাড়ী থানায় বাস পোড়ানোর অভিযোগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা আট মামলার কার্যক্রম বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হয়েছে। আজ শনিবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে পৃথকভাবে এ রায় প্রকাশিত হয়।

এর আগে, ২০২৪ সালের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল মঞ্জুর করে রায় দেন। রায়ে মামলাগুলো বাতিল করা হয়।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ প্রমুখ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার ও রাসেল আহমেদ, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. গিয়াস উদ্দিন গাজী, শামীমা আক্তার বানু, লাবণী আক্তার ও কাজী মোহাম্মদ মনরিুজ্জামান।

বাস পোড়ানোর অভিযোগে ২০১৫ সালের ২৯ জানুয়ারি, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০ ফেব্রুয়ারি, ১ মার্চ, ৩ মার্চ দারুস সালাম থানায় এবং ২৪ জানুয়ারি, ২৩ জানুয়ারি ও ২৪ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানায় এসব মামলা দায়ের করা হয়। পরে এসব মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

২০১৭ সালে পৃথকভাবে মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। তখন হাইকোর্ট রুল জারি করে মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেন। সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত বছরের অক্টোবরে রুল মঞ্জুর করে রায় দেন হাইকোর্ট।

রায়ের পর জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা বলেছিলেন, আদালত ওইসব মামলায় রুল অ্যাসলিউট করেছেন। এর অর্থ হলো মামলাগুলো বাতিল হয়ে গেল। এই মামলাগুলো আর থাকল না। অর্থাৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে দায়ের করা এসব মামলা থেকে খালেদা জিয়ারকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।