ঢাকা , রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ভারতে ১৩ বাংলাদেশি নাগরিক গ্রেপ্তার কবরের পাশে দিন-রাত বসে থাকি, ছেলে ফিরে আসে না সংস্কার না করলে শহীদদের রক্তের সঙ্গে অন্যায় করা হবে : উপদেষ্টা সাখাওয়াত কাকে ‘ননসেন্স’ বললেন বুবলী ভোটার হওয়ার ন্যূনতম বয়সসীমা প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে আপত্তি বিএনপি মহাসচিবের সচিবালয়ে প্রবেশে অস্থায়ী পাসের ব্যাপারে বিশেষ সেল গঠন জর্জিনাকে ‘স্ত্রী’ সম্বোধন, তবে কি বিয়েটা সেরেই ফেলেছেন রোনালদো ৩১ ডিসেম্বর আসছে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণা মহাখালীতে আবাসিক ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২ ইউনিট ভোটার হওয়ার ন্যূনতম বয়সসীমা প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে আপত্তি বিএনপি মহাসচিবের

রায়ে দ্বিমত থাকলেও আদালতের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল: আইনমন্ত্রী

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের প্রতি দ্বিমত থাকলেও আদালতের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। তিনি বলেন, এ রায় গ্রহণযোগ্য না, কিন্তু আমরা এর প্রতি শ্রদ্ধাশীল। শ্রদ্ধেয় আপিল বিভাগ যে যুক্তিতে তা বাতিল করেছেন তা যুক্তিযুক্ত না।  এ সংসদের অভিপ্রায় ছিল না কোনও সংশোধনী দ্বারা কারও বিরুদ্ধে কিছু করার। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই বিচার বিভাগ ও সংসদ কোনও পাওয়ার কনটেস্টে নামেনি।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের ৯ দিন পর এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানালেন আইনমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে নয়, আমরা এই আইনগতভাবে মোকাবিলা করবো। রায়ে আমরা সংক্ষুব্ধ। খুঁটিনাটি বিষয়গুলো পরীক্ষানিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। রিভিউয়ের বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।’

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ষোড়শ সংশোধনীর দ্বারা চাকরির নিশ্চয়তা রক্ষা করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে সুদৃঢ় করার চেষ্টাই হয়েছে।

বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের কাছ থেকে জাতীয় সংসদের সদস্যদের হাতে দিয়ে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী পাস হয় ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর। যে বিধানটি ১৯৭২ সালের সংবিধানেও ছিল।

সংবিধানের এই সংশোধন মৌল কাঠামোতে পরিবর্তন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করবে- এমন যুক্তিতে ওই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একই বছরের ৫ নভেম্বর হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়।

ওই রিটের ওপর প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০১৪ সালের ৯ নভেম্বর রুল জারি করেন। ২০১৬ সালের ১০ মার্চ মামলাটির চূড়ান্ত শুনানি শেষে ৫ মে রায় দেন আদালত। রায়ে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করা হয়। চলতি বছরের ৩ জুলাই ওই রায় বহাল রাখে আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের সেই পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয় ১ আগস্ট।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

ভারতে ১৩ বাংলাদেশি নাগরিক গ্রেপ্তার

রায়ে দ্বিমত থাকলেও আদালতের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল: আইনমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অগাস্ট ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের প্রতি দ্বিমত থাকলেও আদালতের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। তিনি বলেন, এ রায় গ্রহণযোগ্য না, কিন্তু আমরা এর প্রতি শ্রদ্ধাশীল। শ্রদ্ধেয় আপিল বিভাগ যে যুক্তিতে তা বাতিল করেছেন তা যুক্তিযুক্ত না।  এ সংসদের অভিপ্রায় ছিল না কোনও সংশোধনী দ্বারা কারও বিরুদ্ধে কিছু করার। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই বিচার বিভাগ ও সংসদ কোনও পাওয়ার কনটেস্টে নামেনি।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের ৯ দিন পর এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানালেন আইনমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে নয়, আমরা এই আইনগতভাবে মোকাবিলা করবো। রায়ে আমরা সংক্ষুব্ধ। খুঁটিনাটি বিষয়গুলো পরীক্ষানিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। রিভিউয়ের বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।’

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ষোড়শ সংশোধনীর দ্বারা চাকরির নিশ্চয়তা রক্ষা করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে সুদৃঢ় করার চেষ্টাই হয়েছে।

বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের কাছ থেকে জাতীয় সংসদের সদস্যদের হাতে দিয়ে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী পাস হয় ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর। যে বিধানটি ১৯৭২ সালের সংবিধানেও ছিল।

সংবিধানের এই সংশোধন মৌল কাঠামোতে পরিবর্তন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করবে- এমন যুক্তিতে ওই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একই বছরের ৫ নভেম্বর হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়।

ওই রিটের ওপর প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০১৪ সালের ৯ নভেম্বর রুল জারি করেন। ২০১৬ সালের ১০ মার্চ মামলাটির চূড়ান্ত শুনানি শেষে ৫ মে রায় দেন আদালত। রায়ে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করা হয়। চলতি বছরের ৩ জুলাই ওই রায় বহাল রাখে আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের সেই পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয় ১ আগস্ট।