বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার এম মাহবুবউদ্দিন খোকন বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায় নিয়ে জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছেন বিচারপতি খায়রুল হক। অনেকেই বলছেন, তাকে দেশ ছাড়া করতে হবে, তবে আমি বলছি, তাকে গ্রেফতার করে জনতার আদালতে বিচার করতে হবে। তিনি বলেন, বিচারপতি থাকাকালে তিনি তার রায়ে বলেছেন, বিচারকদের অবসর গ্রহণের পর লাভজনক পদে যোগদান করা উচিত নয়। আর তিনিই অবসরে গিয়ে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হয়েছেন। আর ওই চেয়ারম্যান পদ ধারন করে তিনি প্রধান বিচারপতি ও ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন। যা চাকরিবিধির লঙ্ঘন। ‘বিচারপতি খায়রুল হককে গ্রেপ্তার ও অপসারন, ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে সরকারের মন্ত্রীদের আদালত অবমাননাকর’ মন্তব্যের প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম আয়োজিত সমাবেশে ব্যারিস্টার খোকন এসব কথা বলেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশ শেষে শতাধিক আইনজীবী বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিল হতে বিচারপতি খায়রুল হকের বিরুদ্ধে শোগান দেওয়া হয়।
ব্যারিস্টার খোকন বলেন, ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় ভালোভাবে না পড়েই সরকারের মন্ত্রীরা লাগামহীন বক্তব্য দিচ্ছেন। এইসব বক্তব্য গুরুতর আদালত অবমাননাকর। সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট নিতায় রায় চৌধুরী বলেন, বিচারপতি খায়রুল হক যে সরকারের অনুগত ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে তার বক্তব্যেই প্রমাণ করেছে। অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, এই রায়কে প্রশ্নবিদ্ধ করার কৌশল নিয়েছে সরকার। কিন্তু জনগণ রায়কে গ্রহণ করেছে। জনগণের মনের কথাই রায়ে প্রতিফলিত হয়েছে। বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ষোড়শ সংশোধনীর রায়কে কেন্দ্র করে সরকার যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। তারা রায় ও সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতিদের নিয়ে কটূক্তি করছে। রায় নিয়ে বিচারপতি খায়রুল হক যে আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন তার জন্য তাকে একদিন আইনের আওতায় আনা হবে।
সমাবেশে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরিন মুন্নী, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।