ঢাকা , রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

দুই শিক্ষার্থী নিহতের মামলায় শুনানি হবে আগামী ২২ অক্টোবর

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ বাসচাপায় রাজধানীর শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহতের মামলায় ছয় আসামির বিরুদ্ধে চার্জ শুনানি হবে আগামী ২২ অক্টোবর। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েসের আদালতে এ চার্জ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

ক্যান্টনমেন্ট থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মো. আসাদ জানান, মামলাটিতে গত ৭ অক্টোবর পলাতক দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা যায়নি মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। এরপর ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলাম মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন। আগামী ২২ অক্টোবর মামলাটি চার্জ শুনানির জন্য ওই আদালতে ধার্য রয়েছে।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর মামলাটিতে জাবালে নুর বাসের মালিক ও চালকসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন আদালত। দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়। আর ওই দুই আসামি পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

মামলার আসামিরা হলেন জাবালে নূরের মালিক মো. শাহাদাত হোসেন আকন্দ, চালক মাসুম বিল্লাহ, হেল্পার মো. এনায়েত হোসেন, চালক মো. জোবায়ের সুমন, বাসমালিক মো. জাহাঙ্গীর আলম ও হেল্পার মো. আসাদ কাজী। এদের মধ্যে জাবালে নূর মালিক মো. জাহাঙ্গীর আলম ও হেল্পার মো. আসাদ কাজী পলাতক।

আসামিদের মধ্যে শাহদাত হোসেন, মাসুম বিল্লাহ ও জোবায়ের সুমন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

গত ৬ সেপ্টেম্বর ডিবি পুলিশ উত্তর ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের ইন্সপেক্টর কাজী শরীফুল ইসলাম ঢাকা সিএমএম আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটটি বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ২৭৯, ৩২৩, ৩২৫, ৩০৪ ও ৩৪ ধারায় দাখিল করা হয়েছে। চার্জশিটের ধারাগুলোর মধ্যে ৩০৪ ধারার খুন বলে গণ্য নয় এরূপ দণ্ডনীয় নরহত্যার সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

দাখিলকৃত চার্জশিটে মোট ৪১ জনকে সাক্ষী এবং ছয় প্রকার আলামত জব্দ দেখানো হয়। যার মধ্যে ৩টি বাস এবং ৩টি ড্রাইভিং লাইসেন্স।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুলাই কালশী ফ্লাইওভার থেকে নামার মুখে এমইএস বাসস্ট্যান্ডে ১৫/২০ জন শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে ছিলেন। জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস ফ্লাইওভার থেকে নামার সময় মুখেই দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় পেছন থেকে আরেকটি দ্রুত গতিসম্পন্ন জাবালে নূরের বাস ওভারটেক করে সামনে আসতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর উঠে যায়। চাকার নীচে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান দুজন। আহত হন ১৫-২০ জন শিক্ষার্থী।

এ ঘটনায় ২৯ জুলাই দিবাগত রাতে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম মামলা দায়ের করেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

রাজধানীর ১৫টি খাল খননে দূর হবে ৮০ শতাংশ জলাবদ্ধতা

দুই শিক্ষার্থী নিহতের মামলায় শুনানি হবে আগামী ২২ অক্টোবর

আপডেট টাইম : ১১:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ বাসচাপায় রাজধানীর শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহতের মামলায় ছয় আসামির বিরুদ্ধে চার্জ শুনানি হবে আগামী ২২ অক্টোবর। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েসের আদালতে এ চার্জ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

ক্যান্টনমেন্ট থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মো. আসাদ জানান, মামলাটিতে গত ৭ অক্টোবর পলাতক দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা যায়নি মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। এরপর ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলাম মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন। আগামী ২২ অক্টোবর মামলাটি চার্জ শুনানির জন্য ওই আদালতে ধার্য রয়েছে।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর মামলাটিতে জাবালে নুর বাসের মালিক ও চালকসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন আদালত। দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়। আর ওই দুই আসামি পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

মামলার আসামিরা হলেন জাবালে নূরের মালিক মো. শাহাদাত হোসেন আকন্দ, চালক মাসুম বিল্লাহ, হেল্পার মো. এনায়েত হোসেন, চালক মো. জোবায়ের সুমন, বাসমালিক মো. জাহাঙ্গীর আলম ও হেল্পার মো. আসাদ কাজী। এদের মধ্যে জাবালে নূর মালিক মো. জাহাঙ্গীর আলম ও হেল্পার মো. আসাদ কাজী পলাতক।

আসামিদের মধ্যে শাহদাত হোসেন, মাসুম বিল্লাহ ও জোবায়ের সুমন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

গত ৬ সেপ্টেম্বর ডিবি পুলিশ উত্তর ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের ইন্সপেক্টর কাজী শরীফুল ইসলাম ঢাকা সিএমএম আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটটি বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ২৭৯, ৩২৩, ৩২৫, ৩০৪ ও ৩৪ ধারায় দাখিল করা হয়েছে। চার্জশিটের ধারাগুলোর মধ্যে ৩০৪ ধারার খুন বলে গণ্য নয় এরূপ দণ্ডনীয় নরহত্যার সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

দাখিলকৃত চার্জশিটে মোট ৪১ জনকে সাক্ষী এবং ছয় প্রকার আলামত জব্দ দেখানো হয়। যার মধ্যে ৩টি বাস এবং ৩টি ড্রাইভিং লাইসেন্স।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুলাই কালশী ফ্লাইওভার থেকে নামার মুখে এমইএস বাসস্ট্যান্ডে ১৫/২০ জন শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে ছিলেন। জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস ফ্লাইওভার থেকে নামার সময় মুখেই দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় পেছন থেকে আরেকটি দ্রুত গতিসম্পন্ন জাবালে নূরের বাস ওভারটেক করে সামনে আসতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর উঠে যায়। চাকার নীচে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান দুজন। আহত হন ১৫-২০ জন শিক্ষার্থী।

এ ঘটনায় ২৯ জুলাই দিবাগত রাতে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম মামলা দায়ের করেন।