বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ বিশ্বব্যাপী গত ১ ডিসেম্বর রণবীর কাপুরের ‘অ্যানিমেল’ মুক্তির পর দর্শকমহলে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে। রেসের ঘোড়ার মতো বলিউড বক্স অফিসে ছুটছে ছবিটি। শুধু ভারতের ৪ হাজার পর্দায় প্রদর্শিত হচ্ছে এটি। মুক্তির প্রথম দিনে সবচেয়ে বেশি আয় করা বলিউড সিনেমার তালিকায় ‘অ্যানিমেল’ তৃতীয় অবস্থানে।
রণবীর কাপুরের অভিনয় থেকে শুরু করে সিনেমার বিভিন্ন দৃশ্য ও কাহিনি নিয়ে আলোচনা-সমালেচনার বন্যা বয়ে যাচ্ছে। সিনেমাটির বেশ কয়েকটি বিতর্কিত দৃশ্যের মধ্যে ‘বাসর রাতের’ একটি দৃশ্য রয়েছে। ওই দৃশ্যে অভিনয় করেছেন মানসী তক্ষক ও ববি দেওল। ওই দৃশ্যকে ‘বৈবাহিক ধর্ষণ’ বলেও অভিহিত করেছেন অনেকে।
মানসী সিনেমায় ববি দেওলের তিন স্ত্রীর একজনের ছিলেন। জুম এন্টারটেইনমেন্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই বিশেষ দৃশ্য নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেছেন মানসী।
মানসীর ভাষায়, ববি ওই দৃশ্যে যে চরিত্র রূপায়ণ করেছেন, তাতে তার ‘পশুত্ব’ ফুটে উঠেছে। অ্যানিমেল সিনেমায় ‘পুরুষত্ব এবং নারীর বিরুদ্ধে যে ধরনের আচরণ দেখানো হয়েছে’ তা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে এমন মন্তব্য করলেন এই অভিনেত্রী।
সিনেমার একপর্যায়ে দেখানো হয়, বাসর রাতে ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পান ববি দেওল, যিনি আবরার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এর প্রতিক্রিয়ায় ববি যে আচরণ করেন, তার পক্ষে সাফাই গেয়ে মানসী বলেন, সেটা তো অবশ্যই হজম করার মতো ছিল না।
এই অভিনেত্রী বলেন, কেউই চায় না তার বিয়ের দিন এ ধরনের কিছু ঘটুক। বিয়ের সিক্যুয়েন্স যেভাবে শুরু হয়েছে, সেটা যদি আপনি খেয়াল করেন, তাহলে দেখবেন, যেভাবে আলোকসজ্জা এবং অন্যান্য সাজসজ্জা করা হয়েছিল, তা খুবই সুন্দর। যে মিউজিক বাজছিল, তা ইনস্টাগ্রামে ভাইরাল হয়ে গেছে। এটা দারুণ একটি সমাপ্তির দিকে এগোচ্ছিল এবং তখনই আপনি এমন কিছু ঘটতে দেখেন।
ওই দৃশ্যের সাফাইয়ে ২৫ বছর বয়সী মানসী বলেন, এটা দর্শককে বোঝানো হচ্ছিল যে একটি প্রাণী আসছে। আপনি যদি দেখেন রণবীর যে অবস্থায় আছে, তাহলে ভিলেনকে তো তার চেয়েও ভীতিকর হতে হবে। ববির চরিত্রের রূপায়ন এবং সহিংসতাকে বাইরে আনার জন্য এই সিক্যুয়েন্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলেও জানান তিনি।
এই অভিনেত্রী আরও বলেন, আমার বিয়েতে এমন কিছু ঘটুক তা আমি কখনই চাই না! তবে দর্শকদের এমন নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ায় অবাকও হননি তিনি।
তার ভাষায়, আমি দর্শকদের জায়গাটা বুঝতে পারছি, কিন্তু কোনো ধরনের নিপীড়ন ঘটছে, এই দৃশ্যের এমন কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। এটা হয়েছে যে, ববি স্যার তার বিয়ের দিন ভাইয়ের মৃত্যুর খবর কখনও আশা করেননি। এখানেই তিনি (আবরার) খেই হারিয়ে ফেলেন, যে ঠিকমতো আর কিছুই ভাবতে পারছিল না।