ঢাকা , রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অপকৌশলের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন হয়েছে বর্তমান সরকার

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, “ক্ষমতার অবৈধ দখলদারিত্ব যেন শাসক গোষ্ঠীকে স্বেচ্ছাচারিতার অবাধ ছাড়পত্র দিয়েছে। তারা দেশকে এক অসভ্যতার অন্ধকারে ডুবিয়ে দিচ্ছে।

আজ বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন।

খালেদা জিয়া বলেন, “আইনের শাসনকে পদদলিত করে দেশে পেশীশক্তি-নির্ভর এক বর্বর দুঃশাসন চাপিয়ে দেয়ার বেপরোয়া ও ধারাবাহিক অপপ্রয়াসে সচেতন নাগরিক সমাজ আজ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।” “জনগণের ভোটের অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে জবরদস্তি ও অপকৌশলের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন হয়েছে বর্তমান অবৈধ সরকার। এই শাসকদের সরাসরি মদদ ও আস্কারায় তাদের চ্যালা-চামুন্ডারা দেশজুড়ে উচ্ছৃঙ্খলতা ও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। নির্লজ্জ দলীয়করণ ও যথেচ্ছ অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রশাসন ও আইন-শৃংখলা বাহিনীগুলোর আইনসম্মত পন্থায় স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনার কোনো অবকাশ এরা রাখেনি। তারপরেও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা প্রশাসন, পুলিশ, সীমান্তরক্ষীসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর দৈহিক হামলা ও সশস্ত্র আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, “অন্যায় আবদার রক্ষা ও বেআইনি নির্দেশ পালন এবং বিধিবহির্ভূত সম্মান ও সুযোগ দিতে অস্বীকার করলেই রাষ্ট্রীয় কর্তব্য পালনে নিয়োজিত কর্মকর্তারা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হাতে হেনস্তা ও নিপ্রহের শিকার হচ্ছেন। মাঠ প্রশাসন পর্যায়ে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

অপকৌশলের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন হয়েছে বর্তমান সরকার

আপডেট টাইম : ০৫:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ মে ২০১৬

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, “ক্ষমতার অবৈধ দখলদারিত্ব যেন শাসক গোষ্ঠীকে স্বেচ্ছাচারিতার অবাধ ছাড়পত্র দিয়েছে। তারা দেশকে এক অসভ্যতার অন্ধকারে ডুবিয়ে দিচ্ছে।

আজ বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন।

খালেদা জিয়া বলেন, “আইনের শাসনকে পদদলিত করে দেশে পেশীশক্তি-নির্ভর এক বর্বর দুঃশাসন চাপিয়ে দেয়ার বেপরোয়া ও ধারাবাহিক অপপ্রয়াসে সচেতন নাগরিক সমাজ আজ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।” “জনগণের ভোটের অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে জবরদস্তি ও অপকৌশলের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন হয়েছে বর্তমান অবৈধ সরকার। এই শাসকদের সরাসরি মদদ ও আস্কারায় তাদের চ্যালা-চামুন্ডারা দেশজুড়ে উচ্ছৃঙ্খলতা ও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। নির্লজ্জ দলীয়করণ ও যথেচ্ছ অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রশাসন ও আইন-শৃংখলা বাহিনীগুলোর আইনসম্মত পন্থায় স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনার কোনো অবকাশ এরা রাখেনি। তারপরেও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা প্রশাসন, পুলিশ, সীমান্তরক্ষীসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর দৈহিক হামলা ও সশস্ত্র আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, “অন্যায় আবদার রক্ষা ও বেআইনি নির্দেশ পালন এবং বিধিবহির্ভূত সম্মান ও সুযোগ দিতে অস্বীকার করলেই রাষ্ট্রীয় কর্তব্য পালনে নিয়োজিত কর্মকর্তারা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হাতে হেনস্তা ও নিপ্রহের শিকার হচ্ছেন। মাঠ প্রশাসন পর্যায়ে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।