ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জীবনে স্বনামধন্য হতে হলে অধ্যবসায় ও পড়া লেখার বিকল্প নেই

ড. গোলসান আরা বেগমঃ শুধু ভালো ফলাফল নয়,জীবনে প্রতিষ্টা পেতে,মানুষের মত মানুষ,জ্ঞান তাপস, জীবন যুদ্ধে জয়ী হতে হলে পড়া লেখার বিকল্প নেই। যে যত তথ্য উপাত্ত জানবে,মাথার কম্পিউটারে যুক্ত করতে পারবে বুদ্ধি, মেধা,  সে তত বেশী কাজে কর্মে, মানব সেবায়, দক্ষ প্রশাসক,বহুবিধ গুনাবলির অধিকারী, জ্ঞানের প্রসার,জীবন মান উন্নত করতে পারবে। এর জন্য প্রয়োজন চিন্তা চেতনার মস্তিষ্কে প্রগতিশীল বিজ্ঞান ভিত্তিক ধ্যান ধারনার সঞ্চয়ন গঠানো। তা সম্ভব নিজস্ব বুদ্ধি, মেধাকে নিয়মিত অধ্যবসায় দ্বারা বাস্তবমুখী প্রায়োগিক, অনুধাবনমূলক বুদ্ধিবৃত্তিক উচ্চতর দক্ষতা অর্জন।
কেউ মায়ের পেট থেকে মানব সেবক, কবি, লেখক,মহামানব হয়ে জন্মায় না। যারাই হয়েছে স্মরণীয়, বরণীয়, সভ্যতাকে দেখিয়েছে আলোর দিশারী তারাই আত্মোলদ্ধির বাস্তব প্রয়োগ দ্ধারা তা করেছে বাস্তবায়ন। চেস্টা সাধনার সমন্নয়ই পারে সফলতার পালক বয়ে আনতে জীবনে। দারিদ্রতা, কুসংস্কার,শারিরীক দূর্বলতা কোনটাই প্রতিবদ্ধকতার দেয়াল তুলে দিতে পারে না। পরের উপকার করে সস্বনামধন্য হতে হলে নিজস্ব চেষ্টা, অধ্যবসায় ও অন্তরিকতার বিন্যাস প্রয়োজন।
অর্ন্তররগত তাড়না থেকেই জন্ম হয়েছিল সমাজ সভ্যতা বির্নিমানের কারিগর- ইলামিত্র,বেগম রোকেয়া, মাদার থেরেসা, হিলারি ক্লিনটন, সেতারা বেগম, ইন্দিরা গান্ধী, শেখ হাসিনা, বেগম সুফিয়া কামাল, মাদাম কুরি, জোয়ান অফ অর্ক, রাণী এলিজাবেথ, এঞ্জেলা, নাইট এঙ্গেল, ইত্যাদি আরো বহু মানবতাবাদী নারীর। নারীর ক্ষতায়নে অগ্রণী ভুমিকা রাখায় বর্তমান নারীরা ক্ষমতায়নের চাকা ঘুরিয়ে নিজেরাও হচ্ছে বন্দিদশার দেয়াল ভেঙ্গে উন্নয় ও ক্ষমতার অংশিদার।
বিশ্ববিখ্যাত ধনী ব্যক্তিত্ব বিল গেটসসহ ভুরি ভুরি স্বনাম ধন্য প্রতিষ্টিত  গবর্ময় মানুষ রয়েছে পৃথিবী ব্যপি, যারা নিজেদের বিচক্ষনতাকে কাজে লাগিয়ে খ্যাতির শীর্ষ পর্যায়ে আরোহণ করছে। চায়ের দোকানে কর্মরত মোদি কি করে বিশ্বের বৃহত রাষ্ট্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলো? অজপাড়া গায়ে জন্ম নেয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে কি ভাবে বাংলাদেশ নামক স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র উপহার দিলেন। এ সব আরো বহু কষ্টের পাথর ক্ষয় করে জয় করা অধ্যায় গুলো শিশু বয়সের গোল পোস্টে গেঁথে দেয়া উচিৎ।
ইকরা মানে পড়।জ্ঞান অর্জন করার জন্য প্রয়োজনে চীন দেশে যাওয়ার কথা বলে হয়েছে। পৃথিবীর সমস্ত ধর্ম গ্রন্থ পুস্তক আকারে মুদ্রিত রয়েছে।ধর্ম চর্চা করতে হলেও পড়তে হবে। শিক্ষার প্রাক- প্রাথমিক স্তর খেকে উচ্চ শিক্ষার স্তর পর্যন্ত সাজানো রয়েছে পর্যায়ক্রমিক পাঠ্যসুচি ভিত্তিক পড়ালেখার মাধ্যম হিসেবে বই পুস্তকের আয়োজন।সেই বই শিক্ষার্থীরা পড়ে ও প্রাতিষ্টানিক জ্ঞান আহরণ করে। প্রতিষ্টান সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা মুল্যায়ন পরীক্ষার পর পড়ার মাপ কাঠি হিসাবে শিক্ষার্থীকে সার্টিফিকেট প্রদান করে। এই সার্টফিকেটই হলো একজন মানুষের শিক্ষাগত যোগ্যতার চুড়ান্ত মুল্যায়ন মান।।
সার্টিফিকেট অর্জন করলেই হবে না, সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে।মানবীয় মুল্যবোধকে জাগ্রত করার মত লেখাপড়া করতে হবে।দেশ, দশের উপকারে,পরের কল্যাণে জীবন উৎসর্গ করার মত দৃস্টি ভঙ্গির শিক্ষা নিতে হবে। সোনার বাংলা গড়ার জন্য সোনার মানুষ দরকার। শিক্ষা এবং শিক্ষকরাই পারে সোনার সন্তান গড়তে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার জন্ম সেদিন হবে, যে দিন  ঘরে ঘরে আদর্শবাদী সোনার সন্তান জন্ম নিবে।
আমাদের শিক্ষক ও অবিভাবকদের বহু ব্যর্থতা রয়েছে তরুন প্রজন্মকে শিক্ষার মহা সড়কে তুলে দেয়ার ক্ষেত্রে। কিছু দুর্বোধ্য ও অনাকাঙ্খিত কারণে সর্ব উচচ সাধনা ব্যয় করেও, শিক্ষার্থীকে বই খাতা কলমে আবদ্ধ করতে পারে না। ডিজিটাল বিপ্লবের যুগে  প্রায় ক্ষেত্রেই শিক্ষাথীরা আকাশ প্রযুক্তিতে ডুবে থাকতে বেশী স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। খারাপ বন্ধুর পাল্লা পড়ে ও সঙ্গ দোষে অনেকেই গোল্লায় যায়। হেলা ফেলা করে সময় নস্ট করে। যখন পড়ার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারে, তখন আর পেছনে ফেরার সময় থাকে না হাতে।
আবার অন্য পাশে রয়েছে নেশার জগতের হাত ছানি। বিভিন্ন প্রতিকূলতাকে মোকাবেলা করে সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। মা বাবা’ র শরীরের ঘাম পানি হয়ে যায়। স্বনাম ধন্য হতে হলে আদু ভাইয়ের মত পড়ালেখা করলে হবে না। বুলেটের গতিবেগে দৌড়ানোর মত মেধা অর্জন করতে হবে। তবে সবই সম্ভব, নিজের ইচ্ছেটাকে সঠিক অর্থে কাজে লাগাতে পারলে। বইয়ের জীবন্ত জ্ঞানকে চুষে তুলে নিয়ে মাথায় সজ্জিত কম্পিউটারকে করতে হবে শক্তি শালি।।
মানুষ পাবে না বলে কোন শব্দ নেই। নির্বোধ, বোবা, নিরক্ষর, জ্ঞানহীন উলঙ্গ, খোলা আকাশের নিচে বিচরণকারী মানুষ গড়েছে আজকের আলোঝলমল সভ্যতা। ভয়ঙ্কর প্রকৃতি, হিংস্র পশুর সঙ্গে লড়াই করে অরণ্যচারি মানুষ বিশ্বকে করেছে গ্লোবাল ভিলেজে পরিনত। নিজের মেধা বুদ্ধি দিয়ে পরিনত হয়েছে সৃস্টির সেরা জীবে। ভোগ করছে আয়েশী জীবন।
পড়া,পড়া,পড়া তিন বার উচ্ছারণ করে বলছি পড়াই জীবন গড়ার হাতিয়ার। স্বনাম ধন্য হতে হলে লেখা পড়ার বিকল্প কোন অস্র বা মাধ্যম নেই।
লেখকঃ কবি,কলামিস্ট,সিনেট সদস্য(জাবি)
Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

জীবনে স্বনামধন্য হতে হলে অধ্যবসায় ও পড়া লেখার বিকল্প নেই

আপডেট টাইম : ০৯:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১
ড. গোলসান আরা বেগমঃ শুধু ভালো ফলাফল নয়,জীবনে প্রতিষ্টা পেতে,মানুষের মত মানুষ,জ্ঞান তাপস, জীবন যুদ্ধে জয়ী হতে হলে পড়া লেখার বিকল্প নেই। যে যত তথ্য উপাত্ত জানবে,মাথার কম্পিউটারে যুক্ত করতে পারবে বুদ্ধি, মেধা,  সে তত বেশী কাজে কর্মে, মানব সেবায়, দক্ষ প্রশাসক,বহুবিধ গুনাবলির অধিকারী, জ্ঞানের প্রসার,জীবন মান উন্নত করতে পারবে। এর জন্য প্রয়োজন চিন্তা চেতনার মস্তিষ্কে প্রগতিশীল বিজ্ঞান ভিত্তিক ধ্যান ধারনার সঞ্চয়ন গঠানো। তা সম্ভব নিজস্ব বুদ্ধি, মেধাকে নিয়মিত অধ্যবসায় দ্বারা বাস্তবমুখী প্রায়োগিক, অনুধাবনমূলক বুদ্ধিবৃত্তিক উচ্চতর দক্ষতা অর্জন।
কেউ মায়ের পেট থেকে মানব সেবক, কবি, লেখক,মহামানব হয়ে জন্মায় না। যারাই হয়েছে স্মরণীয়, বরণীয়, সভ্যতাকে দেখিয়েছে আলোর দিশারী তারাই আত্মোলদ্ধির বাস্তব প্রয়োগ দ্ধারা তা করেছে বাস্তবায়ন। চেস্টা সাধনার সমন্নয়ই পারে সফলতার পালক বয়ে আনতে জীবনে। দারিদ্রতা, কুসংস্কার,শারিরীক দূর্বলতা কোনটাই প্রতিবদ্ধকতার দেয়াল তুলে দিতে পারে না। পরের উপকার করে সস্বনামধন্য হতে হলে নিজস্ব চেষ্টা, অধ্যবসায় ও অন্তরিকতার বিন্যাস প্রয়োজন।
অর্ন্তররগত তাড়না থেকেই জন্ম হয়েছিল সমাজ সভ্যতা বির্নিমানের কারিগর- ইলামিত্র,বেগম রোকেয়া, মাদার থেরেসা, হিলারি ক্লিনটন, সেতারা বেগম, ইন্দিরা গান্ধী, শেখ হাসিনা, বেগম সুফিয়া কামাল, মাদাম কুরি, জোয়ান অফ অর্ক, রাণী এলিজাবেথ, এঞ্জেলা, নাইট এঙ্গেল, ইত্যাদি আরো বহু মানবতাবাদী নারীর। নারীর ক্ষতায়নে অগ্রণী ভুমিকা রাখায় বর্তমান নারীরা ক্ষমতায়নের চাকা ঘুরিয়ে নিজেরাও হচ্ছে বন্দিদশার দেয়াল ভেঙ্গে উন্নয় ও ক্ষমতার অংশিদার।
বিশ্ববিখ্যাত ধনী ব্যক্তিত্ব বিল গেটসসহ ভুরি ভুরি স্বনাম ধন্য প্রতিষ্টিত  গবর্ময় মানুষ রয়েছে পৃথিবী ব্যপি, যারা নিজেদের বিচক্ষনতাকে কাজে লাগিয়ে খ্যাতির শীর্ষ পর্যায়ে আরোহণ করছে। চায়ের দোকানে কর্মরত মোদি কি করে বিশ্বের বৃহত রাষ্ট্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলো? অজপাড়া গায়ে জন্ম নেয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে কি ভাবে বাংলাদেশ নামক স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র উপহার দিলেন। এ সব আরো বহু কষ্টের পাথর ক্ষয় করে জয় করা অধ্যায় গুলো শিশু বয়সের গোল পোস্টে গেঁথে দেয়া উচিৎ।
ইকরা মানে পড়।জ্ঞান অর্জন করার জন্য প্রয়োজনে চীন দেশে যাওয়ার কথা বলে হয়েছে। পৃথিবীর সমস্ত ধর্ম গ্রন্থ পুস্তক আকারে মুদ্রিত রয়েছে।ধর্ম চর্চা করতে হলেও পড়তে হবে। শিক্ষার প্রাক- প্রাথমিক স্তর খেকে উচ্চ শিক্ষার স্তর পর্যন্ত সাজানো রয়েছে পর্যায়ক্রমিক পাঠ্যসুচি ভিত্তিক পড়ালেখার মাধ্যম হিসেবে বই পুস্তকের আয়োজন।সেই বই শিক্ষার্থীরা পড়ে ও প্রাতিষ্টানিক জ্ঞান আহরণ করে। প্রতিষ্টান সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা মুল্যায়ন পরীক্ষার পর পড়ার মাপ কাঠি হিসাবে শিক্ষার্থীকে সার্টিফিকেট প্রদান করে। এই সার্টফিকেটই হলো একজন মানুষের শিক্ষাগত যোগ্যতার চুড়ান্ত মুল্যায়ন মান।।
সার্টিফিকেট অর্জন করলেই হবে না, সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে।মানবীয় মুল্যবোধকে জাগ্রত করার মত লেখাপড়া করতে হবে।দেশ, দশের উপকারে,পরের কল্যাণে জীবন উৎসর্গ করার মত দৃস্টি ভঙ্গির শিক্ষা নিতে হবে। সোনার বাংলা গড়ার জন্য সোনার মানুষ দরকার। শিক্ষা এবং শিক্ষকরাই পারে সোনার সন্তান গড়তে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার জন্ম সেদিন হবে, যে দিন  ঘরে ঘরে আদর্শবাদী সোনার সন্তান জন্ম নিবে।
আমাদের শিক্ষক ও অবিভাবকদের বহু ব্যর্থতা রয়েছে তরুন প্রজন্মকে শিক্ষার মহা সড়কে তুলে দেয়ার ক্ষেত্রে। কিছু দুর্বোধ্য ও অনাকাঙ্খিত কারণে সর্ব উচচ সাধনা ব্যয় করেও, শিক্ষার্থীকে বই খাতা কলমে আবদ্ধ করতে পারে না। ডিজিটাল বিপ্লবের যুগে  প্রায় ক্ষেত্রেই শিক্ষাথীরা আকাশ প্রযুক্তিতে ডুবে থাকতে বেশী স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। খারাপ বন্ধুর পাল্লা পড়ে ও সঙ্গ দোষে অনেকেই গোল্লায় যায়। হেলা ফেলা করে সময় নস্ট করে। যখন পড়ার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারে, তখন আর পেছনে ফেরার সময় থাকে না হাতে।
আবার অন্য পাশে রয়েছে নেশার জগতের হাত ছানি। বিভিন্ন প্রতিকূলতাকে মোকাবেলা করে সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। মা বাবা’ র শরীরের ঘাম পানি হয়ে যায়। স্বনাম ধন্য হতে হলে আদু ভাইয়ের মত পড়ালেখা করলে হবে না। বুলেটের গতিবেগে দৌড়ানোর মত মেধা অর্জন করতে হবে। তবে সবই সম্ভব, নিজের ইচ্ছেটাকে সঠিক অর্থে কাজে লাগাতে পারলে। বইয়ের জীবন্ত জ্ঞানকে চুষে তুলে নিয়ে মাথায় সজ্জিত কম্পিউটারকে করতে হবে শক্তি শালি।।
মানুষ পাবে না বলে কোন শব্দ নেই। নির্বোধ, বোবা, নিরক্ষর, জ্ঞানহীন উলঙ্গ, খোলা আকাশের নিচে বিচরণকারী মানুষ গড়েছে আজকের আলোঝলমল সভ্যতা। ভয়ঙ্কর প্রকৃতি, হিংস্র পশুর সঙ্গে লড়াই করে অরণ্যচারি মানুষ বিশ্বকে করেছে গ্লোবাল ভিলেজে পরিনত। নিজের মেধা বুদ্ধি দিয়ে পরিনত হয়েছে সৃস্টির সেরা জীবে। ভোগ করছে আয়েশী জীবন।
পড়া,পড়া,পড়া তিন বার উচ্ছারণ করে বলছি পড়াই জীবন গড়ার হাতিয়ার। স্বনাম ধন্য হতে হলে লেখা পড়ার বিকল্প কোন অস্র বা মাধ্যম নেই।
লেখকঃ কবি,কলামিস্ট,সিনেট সদস্য(জাবি)