ঢাকা , শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মারণ রোগের প্রতিষেধক পরীক্ষার জন্য ইঁদুর বা কুকুর বেছে নেয়ার কারণ

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ প্রায় প্রতি শতকেই বিশ্ব কোনো না কোনো মহামারির কবলে পড়েছে। স্প্যানিশ ফ্লু থেকে শুরু করে প্লেগ, সার্স মার্সসহ অনেক ভাইরাস। কোটি কোটি মানুষের প্রাণ গেছে এইসব মহামারিতে। কয়েকটি প্রতিষেধক আবিষ্কার করা গেলেও অনেকগুলো এখনো রয়েছে ধোঁয়াশা। তবে একটি ব্যাপার কখনো লক্ষ করেছেন কি? যে কোনো প্রতিষেধক কিংবা রোগের বিস্তার সম্পর্কে জানতে অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়।

আরেকটু লক্ষ করলে দেখবেন এই পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয় কোনো না কোনো প্রাণীর উপর। হয় ইঁদুর না হয় কুকুর, বিড়াল,খরগোশ ইত্যাদি নিরীহ প্রাণী। কেন নিরীহ প্রাণীদের প্রতি এই অবিচার জানেন কি? মানুষের রোগের প্রতিষেধকের কেন প্রাণীর উপর পরীক্ষা করা হয়। এই প্রশ্ন অনেকের মনেই।

‘ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। এতে যে ক্যান্সার হয় সেই এক্সপেরিমেন্ট চালানো হয়েছিল কুকুরের উপর। এর কারণ হচ্ছে কেবল মানুষরাই যে সিগারেট খায়, তা কিন্তু নয়। সেই তালিকায় আছে কুকুর, বানর, বিড়াল। অবাক হবেন বৈকি! বরং একটু শিহরিত হন। কারণ এক-একটি সিগারেটের ক্ষতিকর প্রভাব কতখানি, তা পরীক্ষা করতেই এই প্রাণীদের বানানো হয়  গিনিপিগ। বৈজ্ঞানিক গবেষণার তাগিদে নানারকম প্রাণীর প্রয়োজন হয়। সরাসরি মানুষের ওপরে না ব্যবহার করে কোনো নতুন প্রক্রিয়া ব্যবহার করা হয় প্রাণীদের ওপরে। এক্ষেত্রে, এই প্রাণীদের বলা হয় গিনিপিগ।

কুকুরের শরীরে প্রয়োগ করা হয় মানুষের জন্য তৈরি প্রতিষেধক

কুকুরের শরীরে প্রয়োগ করা হয় মানুষের জন্য তৈরি প্রতিষেধক

সিগারেট নিয়ে যতই সচেতনতা তৈরি করি না কেন, বিক্রি কিন্তু বন্ধ হচ্ছে না। সস্তা থেকে দামি, রুচি অনুযায়ী অনেকেই সুখটান দেন। চিন্তার মুহূর্তেই হোক, বা বুদ্ধির গোড়ায় ধোঁয়া দেয়া- সিগারেট যে অনেকেরই ‘বন্ধু’! কিন্তু সেই বন্ধুই যে শরীরের ভেতরে বিষ ভরে দিচ্ছে, তার খবর কে রাখে! কিন্তু সিগারেট বিক্রি বন্ধ হয়নি, উৎপাদনও থামেনি। বরং তা আরও বেড়ে চলেছে। ‘চমক’ বাড়াতে সিগারেটের তামাকে মিশছে নানা স্বাদ, গন্ধ। কিন্তু সেসবের আড়ালে যে নৃশংস ঘটনা ঘটে চলেছে, তার খবর কতটা রাখি আমরা? আমাদের নেশার আড়ালেই শেষ হয়ে যাচ্ছে অবলা পশুরা।

মানুষ ছাড়া আরো অনেক প্রাণী সিগারেট খায়

মানুষ ছাড়া আরো অনেক প্রাণী সিগারেট খায়

বহু বছর ধরে সিগারেট তৈরির কারখানায় চালু রয়েছে এই বিশেষ গবেষণাগার। সার দিয়ে রাখা বিভিন্ন জন্তু; আর তাদের মুখে লাগানো রয়েছে বিশেষ মাস্ক। আর সেখানেই আটকানো রয়েছে জ্বলন্ত সিগারেট। কেন? ‘পরীক্ষা’ করা হচ্ছে। কীসের পরীক্ষা? সিগারেটের গুণমানের। কিন্তু সিগারেট তো মানুষের নেশা; এতে এই প্রাণীগুলো কী দোষ করল? সিগারেটের ক্ষতিকর দিক, বা অন্যান্য জিনিসগুলো যদি মানুষের ওপর পরীক্ষা করা হয়, তাহলে কেনার মতো কেউ কি থাকবে! আর প্রতিটা জিনিসই তো ল্যাবের জন্তুদের ওপরেই পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। তাই সিগারেটও পরীক্ষা করা হচ্ছে।

আর এর ফলে ক্ষতি হচ্ছে এই প্রাণীদেরই। ইঁদুর, গিনিপিগ তো বটেই; অনেক সময় কুকুর, বিড়াল, বানর ও অন্যান্য প্রাণীদেরও ‘স্যাম্পল’ বানিয়ে কাজ সাড়া হয়। এখন অবশ্য ইঁদুরের পরিমাণটাই বেশি। সিগারেটের ধোঁয়া সবার পক্ষেই ক্ষতিকর। এই প্রাণীদের ক্ষেত্রে তো আরওই ক্ষতিকর। তবুও প্রায় জোর করে সিগারেট টানানো হয়। মুখে শক্ত করে লাগিয়ে রাখা হয় মাস্ক। তারপর টানা তিনদিন ধরে চলে ধোঁয়ার অত্যাচার। যার ফল, নিশ্চিত মৃত্যু। মৃত্যু হলেই প্রাণীটির পোস্টমর্টেম করে দেখা হয়, ঠিক কী কী ক্ষতি হল শরীরে! মৃত্যু না হলেও পরীক্ষা করার জন্য মেরে ফেলা হয় এদের। যেহেতু তামাকজাত দ্রব্য থেকে ক্যান্সারও তৈরি হয়, তাই তারও ‘পরীক্ষা’ চলে সিগারেট ব্যবসার আড়ালে।

নিরীহ এসব প্রাণীকে বানানো হয় গিনিপিগ

নিরীহ এসব প্রাণীকে বানানো হয় গিনিপিগ

সিগারেট প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলো ব্যবসা ও চাহিদা বজায় রাখার জন্য এতটাও নৃশংস হতে পারে! তাদের অবশ্য বক্তব্য, তুলনামূলক ‘নিরাপদ’ সিগারেট তৈরি করার জন্যই এত পরীক্ষা নিরীক্ষা। কিন্তু আজ থেকে তো হচ্ছে না; বহু বছর ধরে এমন চেষ্টা চলছে। এর আগেও অনেক সংগঠন এই অদ্ভুত নিয়মের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছে। তবে কিছুতেই কিছু হয়নি। সিগারেট যেমন বাড়ছে, তেমনই বাড়ছে তার নানা ধরণ-ধারণ। আর এসবের আড়ালে শেষ হচ্ছে সমস্ত প্রাণী।

ফাউন্ডেশন ফর বায়োমেডিকাল রিসার্চের অনুসন্ধান বলে, বর্তমানে বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রায় ৯৫ ভাগ ক্ষেত্রেই ইঁদুর ব্যবহার করা হয়। অন্যান্য প্রাণীদের চাইতে ইঁদুরের আকৃতি ছোট হয়। বিশেষ করে রোডেন্টদের জন্য স্থান আরো কম হলেও সমস্যা তৈরি হয় না। সেক্ষেত্রে, অনেকগুলো ইঁদুরকে একসাথে রাখা সম্ভব হয়। এই সুবিধার জন্য অনেকক্ষেত্রে ইঁদুর ব্যবহার করা হয় গবেষণায়। এছাড়াও সহজে পালন করা যায় এবং যে কোনো পরিবেশে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারে। মানুষের সঙ্গে শারীরিক বৈশিষ্ট্যে মিল থাকায় ইঁদুর অন্যান্য প্রাণীদের থেকে এগিয়ে।

প্রায় সব ধরনের প্রতিষেধকই আগে পশুদের শরীরে দিয়ে যাচাই করা হয়

প্রায় সব ধরনের প্রতিষেধকই আগে পশুদের শরীরে দিয়ে যাচাই করা হয়

অন্যান্য প্রাণীর চাইতে ইঁদুরের দাম অনেক কম। কারণ, একসঙ্গে অনেকগুলো ইঁদুর বেচার জন্য জন্ম দেয়া হয়। সেখান থেকে কম খরচে বিক্রি করে দেয়া হয়। এখন পর্যন্ত স্থুলতা, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, এইডস, হৃদপিণ্ডের সমস্যা ইত্যাদি সংক্রান্ত প্রচুর গবেষণায় ইঁদুর ব্যবহার করা হয়েছে। আর ফলাফলটাও এসেছে নিখুঁত।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

মারণ রোগের প্রতিষেধক পরীক্ষার জন্য ইঁদুর বা কুকুর বেছে নেয়ার কারণ

আপডেট টাইম : ০৬:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২১

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ প্রায় প্রতি শতকেই বিশ্ব কোনো না কোনো মহামারির কবলে পড়েছে। স্প্যানিশ ফ্লু থেকে শুরু করে প্লেগ, সার্স মার্সসহ অনেক ভাইরাস। কোটি কোটি মানুষের প্রাণ গেছে এইসব মহামারিতে। কয়েকটি প্রতিষেধক আবিষ্কার করা গেলেও অনেকগুলো এখনো রয়েছে ধোঁয়াশা। তবে একটি ব্যাপার কখনো লক্ষ করেছেন কি? যে কোনো প্রতিষেধক কিংবা রোগের বিস্তার সম্পর্কে জানতে অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়।

আরেকটু লক্ষ করলে দেখবেন এই পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয় কোনো না কোনো প্রাণীর উপর। হয় ইঁদুর না হয় কুকুর, বিড়াল,খরগোশ ইত্যাদি নিরীহ প্রাণী। কেন নিরীহ প্রাণীদের প্রতি এই অবিচার জানেন কি? মানুষের রোগের প্রতিষেধকের কেন প্রাণীর উপর পরীক্ষা করা হয়। এই প্রশ্ন অনেকের মনেই।

‘ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। এতে যে ক্যান্সার হয় সেই এক্সপেরিমেন্ট চালানো হয়েছিল কুকুরের উপর। এর কারণ হচ্ছে কেবল মানুষরাই যে সিগারেট খায়, তা কিন্তু নয়। সেই তালিকায় আছে কুকুর, বানর, বিড়াল। অবাক হবেন বৈকি! বরং একটু শিহরিত হন। কারণ এক-একটি সিগারেটের ক্ষতিকর প্রভাব কতখানি, তা পরীক্ষা করতেই এই প্রাণীদের বানানো হয়  গিনিপিগ। বৈজ্ঞানিক গবেষণার তাগিদে নানারকম প্রাণীর প্রয়োজন হয়। সরাসরি মানুষের ওপরে না ব্যবহার করে কোনো নতুন প্রক্রিয়া ব্যবহার করা হয় প্রাণীদের ওপরে। এক্ষেত্রে, এই প্রাণীদের বলা হয় গিনিপিগ।

কুকুরের শরীরে প্রয়োগ করা হয় মানুষের জন্য তৈরি প্রতিষেধক

কুকুরের শরীরে প্রয়োগ করা হয় মানুষের জন্য তৈরি প্রতিষেধক

সিগারেট নিয়ে যতই সচেতনতা তৈরি করি না কেন, বিক্রি কিন্তু বন্ধ হচ্ছে না। সস্তা থেকে দামি, রুচি অনুযায়ী অনেকেই সুখটান দেন। চিন্তার মুহূর্তেই হোক, বা বুদ্ধির গোড়ায় ধোঁয়া দেয়া- সিগারেট যে অনেকেরই ‘বন্ধু’! কিন্তু সেই বন্ধুই যে শরীরের ভেতরে বিষ ভরে দিচ্ছে, তার খবর কে রাখে! কিন্তু সিগারেট বিক্রি বন্ধ হয়নি, উৎপাদনও থামেনি। বরং তা আরও বেড়ে চলেছে। ‘চমক’ বাড়াতে সিগারেটের তামাকে মিশছে নানা স্বাদ, গন্ধ। কিন্তু সেসবের আড়ালে যে নৃশংস ঘটনা ঘটে চলেছে, তার খবর কতটা রাখি আমরা? আমাদের নেশার আড়ালেই শেষ হয়ে যাচ্ছে অবলা পশুরা।

মানুষ ছাড়া আরো অনেক প্রাণী সিগারেট খায়

মানুষ ছাড়া আরো অনেক প্রাণী সিগারেট খায়

বহু বছর ধরে সিগারেট তৈরির কারখানায় চালু রয়েছে এই বিশেষ গবেষণাগার। সার দিয়ে রাখা বিভিন্ন জন্তু; আর তাদের মুখে লাগানো রয়েছে বিশেষ মাস্ক। আর সেখানেই আটকানো রয়েছে জ্বলন্ত সিগারেট। কেন? ‘পরীক্ষা’ করা হচ্ছে। কীসের পরীক্ষা? সিগারেটের গুণমানের। কিন্তু সিগারেট তো মানুষের নেশা; এতে এই প্রাণীগুলো কী দোষ করল? সিগারেটের ক্ষতিকর দিক, বা অন্যান্য জিনিসগুলো যদি মানুষের ওপর পরীক্ষা করা হয়, তাহলে কেনার মতো কেউ কি থাকবে! আর প্রতিটা জিনিসই তো ল্যাবের জন্তুদের ওপরেই পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। তাই সিগারেটও পরীক্ষা করা হচ্ছে।

আর এর ফলে ক্ষতি হচ্ছে এই প্রাণীদেরই। ইঁদুর, গিনিপিগ তো বটেই; অনেক সময় কুকুর, বিড়াল, বানর ও অন্যান্য প্রাণীদেরও ‘স্যাম্পল’ বানিয়ে কাজ সাড়া হয়। এখন অবশ্য ইঁদুরের পরিমাণটাই বেশি। সিগারেটের ধোঁয়া সবার পক্ষেই ক্ষতিকর। এই প্রাণীদের ক্ষেত্রে তো আরওই ক্ষতিকর। তবুও প্রায় জোর করে সিগারেট টানানো হয়। মুখে শক্ত করে লাগিয়ে রাখা হয় মাস্ক। তারপর টানা তিনদিন ধরে চলে ধোঁয়ার অত্যাচার। যার ফল, নিশ্চিত মৃত্যু। মৃত্যু হলেই প্রাণীটির পোস্টমর্টেম করে দেখা হয়, ঠিক কী কী ক্ষতি হল শরীরে! মৃত্যু না হলেও পরীক্ষা করার জন্য মেরে ফেলা হয় এদের। যেহেতু তামাকজাত দ্রব্য থেকে ক্যান্সারও তৈরি হয়, তাই তারও ‘পরীক্ষা’ চলে সিগারেট ব্যবসার আড়ালে।

নিরীহ এসব প্রাণীকে বানানো হয় গিনিপিগ

নিরীহ এসব প্রাণীকে বানানো হয় গিনিপিগ

সিগারেট প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলো ব্যবসা ও চাহিদা বজায় রাখার জন্য এতটাও নৃশংস হতে পারে! তাদের অবশ্য বক্তব্য, তুলনামূলক ‘নিরাপদ’ সিগারেট তৈরি করার জন্যই এত পরীক্ষা নিরীক্ষা। কিন্তু আজ থেকে তো হচ্ছে না; বহু বছর ধরে এমন চেষ্টা চলছে। এর আগেও অনেক সংগঠন এই অদ্ভুত নিয়মের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছে। তবে কিছুতেই কিছু হয়নি। সিগারেট যেমন বাড়ছে, তেমনই বাড়ছে তার নানা ধরণ-ধারণ। আর এসবের আড়ালে শেষ হচ্ছে সমস্ত প্রাণী।

ফাউন্ডেশন ফর বায়োমেডিকাল রিসার্চের অনুসন্ধান বলে, বর্তমানে বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রায় ৯৫ ভাগ ক্ষেত্রেই ইঁদুর ব্যবহার করা হয়। অন্যান্য প্রাণীদের চাইতে ইঁদুরের আকৃতি ছোট হয়। বিশেষ করে রোডেন্টদের জন্য স্থান আরো কম হলেও সমস্যা তৈরি হয় না। সেক্ষেত্রে, অনেকগুলো ইঁদুরকে একসাথে রাখা সম্ভব হয়। এই সুবিধার জন্য অনেকক্ষেত্রে ইঁদুর ব্যবহার করা হয় গবেষণায়। এছাড়াও সহজে পালন করা যায় এবং যে কোনো পরিবেশে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারে। মানুষের সঙ্গে শারীরিক বৈশিষ্ট্যে মিল থাকায় ইঁদুর অন্যান্য প্রাণীদের থেকে এগিয়ে।

প্রায় সব ধরনের প্রতিষেধকই আগে পশুদের শরীরে দিয়ে যাচাই করা হয়

প্রায় সব ধরনের প্রতিষেধকই আগে পশুদের শরীরে দিয়ে যাচাই করা হয়

অন্যান্য প্রাণীর চাইতে ইঁদুরের দাম অনেক কম। কারণ, একসঙ্গে অনেকগুলো ইঁদুর বেচার জন্য জন্ম দেয়া হয়। সেখান থেকে কম খরচে বিক্রি করে দেয়া হয়। এখন পর্যন্ত স্থুলতা, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, এইডস, হৃদপিণ্ডের সমস্যা ইত্যাদি সংক্রান্ত প্রচুর গবেষণায় ইঁদুর ব্যবহার করা হয়েছে। আর ফলাফলটাও এসেছে নিখুঁত।