ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাত্র ১১ বছর বয়সেই ইংরেজির শিক্ষক

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ মাত্র ১১ বছর বয়সেই ইংরেজির শিক্ষক। সত্যি অবাক হওয়ার মতো বিষয়। কিন্তু এই কাজটি সফলতার সঙ্গে করছে চট্টগ্রামের শিশু মাইসুন। তবে প্রাতিষ্ঠানিক কোনও স্কুল নয়, ইউটিউব চ্যানেলে ইংরেজি শেখায় সে। অনলাইনে ভীষণ জনপ্রিয় মাইসুন। তার চ্যানেলের ভিউয়ার্স প্রায় তিন লাখ। শুধু দেশ নয় আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রতিভার সাক্ষর রাখছে সে।

বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগেরই ইংরেজিতে দুর্বলতা রয়েছে। তবে এই দুর্বলতা, ভয়কে জয় করে মাত্র ১১ বছর বয়সে ইংরেজিতে অনেক দক্ষতা অর্জন করেছে ক্ষুদে শিক্ষকখ্যাত চট্টগ্রামের মেয়ে উম্মে মাইসুন। শুধু নিজে শেখা নয়, অন্যদেরও ইংরেজি শেখায় সে। অনলাইনে রবি টেন মিনিট স্কুল দিয়ে যাত্রা শুরু করা মাইসুন মাত্র আট বছর বয়স থেকে অনলাইনে ইংরেজি শেখায়।

মাইসুন ওয়ার্ল্ডের সাবস্ক্রাইবার প্রায় তিন লাখ। অবাক হওয়ার বিষয় হলো, সে কোনও ইংলিশ মিডিয়ামের ছাত্রী না। চট্টগ্রাম মহিলা সমিতি বালিকা বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। নিজ চেষ্টাতেই দক্ষতা অর্জন করেছে সে।

মাইসুন বলেন, আমার দুটো বোন আছে তারা ম্যানচেস্টারে থাকে। তারা আমার সাথে ব্রিটিশ ইংরেজিতে কথা বলতো। তাদের কথাগুলো বুঝতে আমার অনেক কষ্ট হতো। আমি চিন্তা করে দেখলাম তারা আমার বয়সী হয়ে এরকম সুন্দর ইংরেজি বলতে পারে। আমি কেনও পারবো না। সো আমি একটা জেদ নিলাম ইংরেজি শিখবই শিখবো। তো এটা আমার জন্য ইজি হয়ে গেলো। আমি ইংরেজি শিখতেও পারলাম।

২০২০ সালের জুন মাসে ফেসবুক পেজে মাইসুনের প্রথম ভিডিও প্রকাশ হয়। সেটা রাতারাতি মিলিয়ন ভিউ হয়ে ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর থেকে ইংরেজিতে কথোপকথনের সহজ উপায়, ইংরেজি শব্দের ব্যবহার, বাক্যগঠনসহ বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিও আপলোড করে মাইসুন। ভার্চুয়াল জগতে ভীষণ জনপ্রিয় ছোট্ট মাইসুন।

মাইসুন আরও বলেন, ইংরেজি শেখার জন্য ইংরেজি মিডিয়াম বা বাংলা মিডিয়াম কোনও মেন্ডেটরি নয়। আমাদের একটা ইচ্ছা এবং কনফিডেন্স থাকতে হবে। তাহলে ইংরেজি শেখা আমাদের জন্য সহজ হবে।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রতিভার সাক্ষর রাখছে মাইসুন। বিশ্ব বদলে দেয়া প্রতিভাবান শিশুদের নিয়ে ‘অ্যাওয়ার্নেস ৩৬০’ এর আন্তর্জাতিক সেমিনারে ক্ষুদে জাদুকর হিসেবে বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিধিত্ব করে মাইসুন। মাইসুন বড় হয়ে বিজ্ঞানী হতে চায়।

মাইসুন বলেন, আমি এখনও শিখছি। আমি শুধু আমার অভিজ্ঞতাটা শেয়ার করছি। যাতে আমার বয়সী বাচ্চারাও এগিয়ে আসে। আমি আমার অবসর সময়ে বেশি বেশি বই পড়ি।

মাইসুনের ভিডিওগুলো জনপ্রিয় হওয়ায় দেশি-বিদেশি কোম্পানি থেকে বিজ্ঞাপন পায় তার চ্যানেল। ছোট্ট বয়সে ইউটিউব থেকে ভালো আয় করে সে। মাইসুন তার অনন্য প্রতিভার গুনে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খ্যাতি অর্জন করবে এটাই সবার প্রত্যাশা।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

মাত্র ১১ বছর বয়সেই ইংরেজির শিক্ষক

আপডেট টাইম : ১০:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ জুলাই ২০২১

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ মাত্র ১১ বছর বয়সেই ইংরেজির শিক্ষক। সত্যি অবাক হওয়ার মতো বিষয়। কিন্তু এই কাজটি সফলতার সঙ্গে করছে চট্টগ্রামের শিশু মাইসুন। তবে প্রাতিষ্ঠানিক কোনও স্কুল নয়, ইউটিউব চ্যানেলে ইংরেজি শেখায় সে। অনলাইনে ভীষণ জনপ্রিয় মাইসুন। তার চ্যানেলের ভিউয়ার্স প্রায় তিন লাখ। শুধু দেশ নয় আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রতিভার সাক্ষর রাখছে সে।

বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগেরই ইংরেজিতে দুর্বলতা রয়েছে। তবে এই দুর্বলতা, ভয়কে জয় করে মাত্র ১১ বছর বয়সে ইংরেজিতে অনেক দক্ষতা অর্জন করেছে ক্ষুদে শিক্ষকখ্যাত চট্টগ্রামের মেয়ে উম্মে মাইসুন। শুধু নিজে শেখা নয়, অন্যদেরও ইংরেজি শেখায় সে। অনলাইনে রবি টেন মিনিট স্কুল দিয়ে যাত্রা শুরু করা মাইসুন মাত্র আট বছর বয়স থেকে অনলাইনে ইংরেজি শেখায়।

মাইসুন ওয়ার্ল্ডের সাবস্ক্রাইবার প্রায় তিন লাখ। অবাক হওয়ার বিষয় হলো, সে কোনও ইংলিশ মিডিয়ামের ছাত্রী না। চট্টগ্রাম মহিলা সমিতি বালিকা বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। নিজ চেষ্টাতেই দক্ষতা অর্জন করেছে সে।

মাইসুন বলেন, আমার দুটো বোন আছে তারা ম্যানচেস্টারে থাকে। তারা আমার সাথে ব্রিটিশ ইংরেজিতে কথা বলতো। তাদের কথাগুলো বুঝতে আমার অনেক কষ্ট হতো। আমি চিন্তা করে দেখলাম তারা আমার বয়সী হয়ে এরকম সুন্দর ইংরেজি বলতে পারে। আমি কেনও পারবো না। সো আমি একটা জেদ নিলাম ইংরেজি শিখবই শিখবো। তো এটা আমার জন্য ইজি হয়ে গেলো। আমি ইংরেজি শিখতেও পারলাম।

২০২০ সালের জুন মাসে ফেসবুক পেজে মাইসুনের প্রথম ভিডিও প্রকাশ হয়। সেটা রাতারাতি মিলিয়ন ভিউ হয়ে ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর থেকে ইংরেজিতে কথোপকথনের সহজ উপায়, ইংরেজি শব্দের ব্যবহার, বাক্যগঠনসহ বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিও আপলোড করে মাইসুন। ভার্চুয়াল জগতে ভীষণ জনপ্রিয় ছোট্ট মাইসুন।

মাইসুন আরও বলেন, ইংরেজি শেখার জন্য ইংরেজি মিডিয়াম বা বাংলা মিডিয়াম কোনও মেন্ডেটরি নয়। আমাদের একটা ইচ্ছা এবং কনফিডেন্স থাকতে হবে। তাহলে ইংরেজি শেখা আমাদের জন্য সহজ হবে।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রতিভার সাক্ষর রাখছে মাইসুন। বিশ্ব বদলে দেয়া প্রতিভাবান শিশুদের নিয়ে ‘অ্যাওয়ার্নেস ৩৬০’ এর আন্তর্জাতিক সেমিনারে ক্ষুদে জাদুকর হিসেবে বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিধিত্ব করে মাইসুন। মাইসুন বড় হয়ে বিজ্ঞানী হতে চায়।

মাইসুন বলেন, আমি এখনও শিখছি। আমি শুধু আমার অভিজ্ঞতাটা শেয়ার করছি। যাতে আমার বয়সী বাচ্চারাও এগিয়ে আসে। আমি আমার অবসর সময়ে বেশি বেশি বই পড়ি।

মাইসুনের ভিডিওগুলো জনপ্রিয় হওয়ায় দেশি-বিদেশি কোম্পানি থেকে বিজ্ঞাপন পায় তার চ্যানেল। ছোট্ট বয়সে ইউটিউব থেকে ভালো আয় করে সে। মাইসুন তার অনন্য প্রতিভার গুনে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খ্যাতি অর্জন করবে এটাই সবার প্রত্যাশা।