ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাঘের রাজ্য ডাকাতের দখলে, জিম্মি সুন্দরবনের বনজীবীরা

সুন্দরবনকে মায়ের মতোই আগলে রাখেন বনজীবীরা। কারণ, এই বন তাদের অন্ন দেয়, বাঁচায় ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে। কিন্তু, সেই বন এখন ডাকাতের দখলে।

মৌয়ালদের ভাষায়, সুন্দরবনে বাঘের চেয়ে, ডাকাতের ভয় বেশি। প্রশাসন, হয় টাকা খায়, নয়তো অপরাধীদের সঙ্গে পারে না। দেখুন, জি এম মোস্তাফিজুল আলমের ধারাবাহিক, ‘নোনা জীবন’-এর শেষ পর্ব। ছবি তুলেছেন, কৃষ্ণ সরকার। সাথে ছিলেন, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি, মনিরুল ইসলাম।

জলে কুমিড়, ডঙায় বাঘ। গাছের ডালে শাপ-পোকামাকড়, মাটিতে বিছানো তীক্ষ্ম শ্বাসমূল। এই সব প্রতিকূলতা সাথে নিয়ে মধু সংগ্রহ করতে সুন্দরবনে যান মৌয়ালরা।

এখন মধুর মৌসুম। বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে বনে ঢুকেছেন একদল মৌয়াল। বসন্তে ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে সুন্দরী, খলিশা, গেওয়াসহ প্রায় সব গাছ। মৌমাছিরা সেই ফুল থেকে মধু নিয়ে চাকে জমায়।

কিন্তু, বাঘের রাজ্য চলে গেছে ডাকাতের দখলে। বনে ঢোকার আগে মৌয়ালদের জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয় ডাকাতদের। না দিয়ে ঢুকলে ধরে সব রেখে দেবে, মুক্তিপনের টাকাও নেবে কয়েক গুণ বেশি।

দেখতে দেখতে দুপুর। জোয়ার-ভাটার হিসেব মিলিয়ে ছোট একটি খালে নৌকা আটকে শুরু হলো রান্না-বান্না। অল্প সময়ের মধ্যে রান্নাও হয়ে গেল। এরপর খাওয়ার পালা। এটা সত্যিকারের বনভোজন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

বাঘের রাজ্য ডাকাতের দখলে, জিম্মি সুন্দরবনের বনজীবীরা

আপডেট টাইম : ০৭:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ মে ২০১৬

সুন্দরবনকে মায়ের মতোই আগলে রাখেন বনজীবীরা। কারণ, এই বন তাদের অন্ন দেয়, বাঁচায় ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে। কিন্তু, সেই বন এখন ডাকাতের দখলে।

মৌয়ালদের ভাষায়, সুন্দরবনে বাঘের চেয়ে, ডাকাতের ভয় বেশি। প্রশাসন, হয় টাকা খায়, নয়তো অপরাধীদের সঙ্গে পারে না। দেখুন, জি এম মোস্তাফিজুল আলমের ধারাবাহিক, ‘নোনা জীবন’-এর শেষ পর্ব। ছবি তুলেছেন, কৃষ্ণ সরকার। সাথে ছিলেন, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি, মনিরুল ইসলাম।

জলে কুমিড়, ডঙায় বাঘ। গাছের ডালে শাপ-পোকামাকড়, মাটিতে বিছানো তীক্ষ্ম শ্বাসমূল। এই সব প্রতিকূলতা সাথে নিয়ে মধু সংগ্রহ করতে সুন্দরবনে যান মৌয়ালরা।

এখন মধুর মৌসুম। বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে বনে ঢুকেছেন একদল মৌয়াল। বসন্তে ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে সুন্দরী, খলিশা, গেওয়াসহ প্রায় সব গাছ। মৌমাছিরা সেই ফুল থেকে মধু নিয়ে চাকে জমায়।

কিন্তু, বাঘের রাজ্য চলে গেছে ডাকাতের দখলে। বনে ঢোকার আগে মৌয়ালদের জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয় ডাকাতদের। না দিয়ে ঢুকলে ধরে সব রেখে দেবে, মুক্তিপনের টাকাও নেবে কয়েক গুণ বেশি।

দেখতে দেখতে দুপুর। জোয়ার-ভাটার হিসেব মিলিয়ে ছোট একটি খালে নৌকা আটকে শুরু হলো রান্না-বান্না। অল্প সময়ের মধ্যে রান্নাও হয়ে গেল। এরপর খাওয়ার পালা। এটা সত্যিকারের বনভোজন।