ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খোকসায় কলা চাষে লাভবান হচ্ছে কৃষকরা

আবহাওয়া অনুকূলে  ও ফসলের ন্যায্য মূল্য পাওয়ায় কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার কলা চাষীরা বেশি আগ্রহ প্রকাশ করছেন কলা আবাদে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর কলা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৩১ হেক্টর জমিতে।  এ পর্যন্ত কলা চাষ হয়েছে উপজেলায় ৪৯৫ হেক্টর জমিতে।

আগের সময়ে সাধারণত গ্রামগঞ্জে  বিভিন্ন পতিত জমিতে কলা চাষ করা হতো। কিন্তু কলা চাষে লাভবান বেশি হওয়ায় এখানকার কৃষকরা ফসলি জমিতে বেশ যত্ন করে কলা চাষের ব্যাপক আগ্রহ প্রকাশ করছে স্থানীয় কৃষকরা।

ওসমানপুর ইউনিয়নে ১০১ হেক্টর জমিতে কলা চাষ হয়েছে। এছাড়াও কলা চাষ হয়েছে জয়ন্তীহাজরা ইউনিয়নের ৭৭ হেক্টর, আমবাড়িয়া ইউনিয়নে ৩৭ হেক্টর, গোপগ্রাম ইউনিয়নে ৩০ হেক্টর, শোমসপুর ইউনিয়নের ৩৪ হেক্টর, খোকসা ইউনিয়নের ৩৫ হেক্টর, শিমুলিয়া ইউনিয়নে ৪৯ হেক্টর, পৌরসভায় ২৮ হেক্টর, বেতবাড়িয়া ইউনিয়নে ৬৭ হেক্টর ও জানিপুর ইউনিয়নের ৩৭ হেক্টর সহ মোট ৪৯৫ হেক্টর জমিতে এবছর কলার আবাদ হয়েছে।

জানা গেছে ,বেশিরভাগ চাষীরা সবরী কলা ও চাপা সবরী, আনাজি কলা ও সাগরকলা সহ স্থানীয় আরো দুই তিন জাতের কলা আবাদ করেছে। কলা চাষীরা এ সকল জমির মধ্যে সাথী ফসল হিসেবে সরিষা আবাদ করেছে, আবার কেউ আবাদ করেছে কালোজিরা। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বাছাইকৃত কৃষকদেরকে কলা চাষের উপযোগী প্রশিক্ষণ ও উচ্চমূল্যের ফলন শীল ফসলের চাষাবাদ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।

আবহাওয়া ভালো থাকলে স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে অন্য জায়গায় কলার রপ্তানি করে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হতে হবে বলে আশা প্রকাশ করছে কৃষি বিভাগ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কৃষিবিদ সবুজ কুমার সাহা জানান, কৃষকদেরকে উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর প্রশিক্ষণ দিয়ে বিনামূল্যে কলার বীজ(পোয়া) ও রাসায়নিক সার প্রদান করায় উপজেলার কৃষকরা কলা চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছে। আগামীতেও স্থানীয় কৃষকরা কলা চাষে বেশি আগ্রহী প্রকাশ করবে বলে আশাবাদী।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

খোকসায় কলা চাষে লাভবান হচ্ছে কৃষকরা

আপডেট টাইম : ০১:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৪

আবহাওয়া অনুকূলে  ও ফসলের ন্যায্য মূল্য পাওয়ায় কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার কলা চাষীরা বেশি আগ্রহ প্রকাশ করছেন কলা আবাদে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর কলা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৩১ হেক্টর জমিতে।  এ পর্যন্ত কলা চাষ হয়েছে উপজেলায় ৪৯৫ হেক্টর জমিতে।

আগের সময়ে সাধারণত গ্রামগঞ্জে  বিভিন্ন পতিত জমিতে কলা চাষ করা হতো। কিন্তু কলা চাষে লাভবান বেশি হওয়ায় এখানকার কৃষকরা ফসলি জমিতে বেশ যত্ন করে কলা চাষের ব্যাপক আগ্রহ প্রকাশ করছে স্থানীয় কৃষকরা।

ওসমানপুর ইউনিয়নে ১০১ হেক্টর জমিতে কলা চাষ হয়েছে। এছাড়াও কলা চাষ হয়েছে জয়ন্তীহাজরা ইউনিয়নের ৭৭ হেক্টর, আমবাড়িয়া ইউনিয়নে ৩৭ হেক্টর, গোপগ্রাম ইউনিয়নে ৩০ হেক্টর, শোমসপুর ইউনিয়নের ৩৪ হেক্টর, খোকসা ইউনিয়নের ৩৫ হেক্টর, শিমুলিয়া ইউনিয়নে ৪৯ হেক্টর, পৌরসভায় ২৮ হেক্টর, বেতবাড়িয়া ইউনিয়নে ৬৭ হেক্টর ও জানিপুর ইউনিয়নের ৩৭ হেক্টর সহ মোট ৪৯৫ হেক্টর জমিতে এবছর কলার আবাদ হয়েছে।

জানা গেছে ,বেশিরভাগ চাষীরা সবরী কলা ও চাপা সবরী, আনাজি কলা ও সাগরকলা সহ স্থানীয় আরো দুই তিন জাতের কলা আবাদ করেছে। কলা চাষীরা এ সকল জমির মধ্যে সাথী ফসল হিসেবে সরিষা আবাদ করেছে, আবার কেউ আবাদ করেছে কালোজিরা। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বাছাইকৃত কৃষকদেরকে কলা চাষের উপযোগী প্রশিক্ষণ ও উচ্চমূল্যের ফলন শীল ফসলের চাষাবাদ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।

আবহাওয়া ভালো থাকলে স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে অন্য জায়গায় কলার রপ্তানি করে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হতে হবে বলে আশা প্রকাশ করছে কৃষি বিভাগ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কৃষিবিদ সবুজ কুমার সাহা জানান, কৃষকদেরকে উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর প্রশিক্ষণ দিয়ে বিনামূল্যে কলার বীজ(পোয়া) ও রাসায়নিক সার প্রদান করায় উপজেলার কৃষকরা কলা চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছে। আগামীতেও স্থানীয় কৃষকরা কলা চাষে বেশি আগ্রহী প্রকাশ করবে বলে আশাবাদী।