ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যেসব কারণে রোজা না রাখলে ক্ষতি নেই, তবে পরে কাযা আদায় করতে হবে

ফারসি শব্দ রোজার আরবি অর্থ হচ্ছে সওম, বহুবচনে সিয়াম। সওম বা সিয়ামের বাংলা অর্থ বিরত থাকা, কঠোর সাধনা, আত্মসংযম ইত্যাদি। ইসলামী শরিয়তে সওম হল আল্লাহর নির্দেশ পালনের উদ্দেশে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও যাবতীয় ইন্দ্রিয় তৃপ্তি থেকে বিরত থাকার কঠোর সাধনা। রমজান মাসে প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ-সবল জ্ঞান সম্পন্ন মুসলিম নর-নারীর ওপর সিয়াম পালন করা ফরজ।

আত্মসংযম, আত্মনিয়ন্ত্রণ, আত্মশুদ্ধি, ধৈর্য ও তাকওয়া অর্জনের অন্যতম প্রধান উপায় সিয়াম। এ ইবাদতের মাধ্যমেই মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা সম্ভব হয়। আল্লাহ ভীতি বা তাকওয়া অর্জন এবং


আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধনেও সিয়াম অপরিহার্য ও অনিবার্য ইবাদত। তবে মানুষের নানান শারীরিক সমস্যার কারণে এই মাসে রোজা রাখা সম্ভব হয় না। নিচে সেইসব বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

যেসব কারণে রোজা না রাখলে ক্ষতি নেই তবে কাযা আদায় করতে হবেঃ

*   কোনো অসুখের কারণে রোযা রাখার শক্তি হারিয়ে ফেললে অথবা অসুখ বৃদ্ধির ভয় হলে। তবে পরে তা কাযা করতে হবে।

*   গর্ভবতী স্ত্রী লোকের সন্তান বা নিজের প্রাণ নাশের আশঙ্কা হলে রোজা ভঙ্গ করা বৈধ তবে কাযা করে দিতে হবে।

*   যেসব স্ত্রী লোক নিজের বা অপরের সন্তানকে দুধ পান করান রোজা রাখার ফলে যদি দুধ না আসে তবে রোজা না রাখার  অনুমতি আছে কিন্তু পরে কাযা আদায় করতে হবে।

*   শরিয়তসম্মত মুসাফির অবস্থায় রোযা না রাখার অনুমতি আছে। তবে রাখাই উত্তম।

*   কেউ হত্যার হুমকি দিলে রোযা ভঙ্গের অনুমতি আছে। পরে এর কাযা করতে হবে।

*   কোনো রোগীর ক্ষুধা বা পিপাসা এমন পর্যায়ে চলে গেল এবং কোনো দ্বীনদার মুসলিম চিকিৎসকের মতে রোজা ভঙ্গ না করলে তখন মৃত্যুর আশঙ্কা আছে। তবে রোযা ভঙ্গ করা ওয়াজিব। পরে তা কাযা করতে হবে।

*   হায়েজ-নেফাসগ্রস্ত (বিশেষ সময়ে) নারীদের জন্য রোজা রাখা জায়েজ নয়। পরবর্তীতে কাযা করতে হবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

যেসব কারণে রোজা না রাখলে ক্ষতি নেই, তবে পরে কাযা আদায় করতে হবে

আপডেট টাইম : ০৪:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ মে ২০১৬

ফারসি শব্দ রোজার আরবি অর্থ হচ্ছে সওম, বহুবচনে সিয়াম। সওম বা সিয়ামের বাংলা অর্থ বিরত থাকা, কঠোর সাধনা, আত্মসংযম ইত্যাদি। ইসলামী শরিয়তে সওম হল আল্লাহর নির্দেশ পালনের উদ্দেশে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও যাবতীয় ইন্দ্রিয় তৃপ্তি থেকে বিরত থাকার কঠোর সাধনা। রমজান মাসে প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ-সবল জ্ঞান সম্পন্ন মুসলিম নর-নারীর ওপর সিয়াম পালন করা ফরজ।

আত্মসংযম, আত্মনিয়ন্ত্রণ, আত্মশুদ্ধি, ধৈর্য ও তাকওয়া অর্জনের অন্যতম প্রধান উপায় সিয়াম। এ ইবাদতের মাধ্যমেই মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা সম্ভব হয়। আল্লাহ ভীতি বা তাকওয়া অর্জন এবং


আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধনেও সিয়াম অপরিহার্য ও অনিবার্য ইবাদত। তবে মানুষের নানান শারীরিক সমস্যার কারণে এই মাসে রোজা রাখা সম্ভব হয় না। নিচে সেইসব বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

যেসব কারণে রোজা না রাখলে ক্ষতি নেই তবে কাযা আদায় করতে হবেঃ

*   কোনো অসুখের কারণে রোযা রাখার শক্তি হারিয়ে ফেললে অথবা অসুখ বৃদ্ধির ভয় হলে। তবে পরে তা কাযা করতে হবে।

*   গর্ভবতী স্ত্রী লোকের সন্তান বা নিজের প্রাণ নাশের আশঙ্কা হলে রোজা ভঙ্গ করা বৈধ তবে কাযা করে দিতে হবে।

*   যেসব স্ত্রী লোক নিজের বা অপরের সন্তানকে দুধ পান করান রোজা রাখার ফলে যদি দুধ না আসে তবে রোজা না রাখার  অনুমতি আছে কিন্তু পরে কাযা আদায় করতে হবে।

*   শরিয়তসম্মত মুসাফির অবস্থায় রোযা না রাখার অনুমতি আছে। তবে রাখাই উত্তম।

*   কেউ হত্যার হুমকি দিলে রোযা ভঙ্গের অনুমতি আছে। পরে এর কাযা করতে হবে।

*   কোনো রোগীর ক্ষুধা বা পিপাসা এমন পর্যায়ে চলে গেল এবং কোনো দ্বীনদার মুসলিম চিকিৎসকের মতে রোজা ভঙ্গ না করলে তখন মৃত্যুর আশঙ্কা আছে। তবে রোযা ভঙ্গ করা ওয়াজিব। পরে তা কাযা করতে হবে।

*   হায়েজ-নেফাসগ্রস্ত (বিশেষ সময়ে) নারীদের জন্য রোজা রাখা জায়েজ নয়। পরবর্তীতে কাযা করতে হবে।