একটু গরম পড়ার সাথে সাথেই জার্মানিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সাইকেল চালনোর ধুম পড়ে যায়। এর মূল কারণ কি শুধুই আনন্দ? নাকি ফিট থাকার জন্য চালানো হয় সাইকেল? নাকি এটা পরিবেশবান্ধব বলে? চলুন দেখা যাক বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন।
অলরাউন্ড ট্রেনিং
শরীর অথবা মন যা-ই বলুন না কেন, ফিট থাকা বা ফিট হওয়ার জন্য সাইকেল চালানো নিঃসন্দেহে ভালো ব্যায়াম। নিয়মিত সাইকেল চালালে স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে। ডায়াবেটিস, কোলেস্টরেলের মাত্রা কমে গিয়ে বিপাক প্রক্রিয়া সচল থাকে। তাছাড়া পা এবং নিতম্বের পেশি শক্ত হয়। এমনকি যাদের হাঁটতে সমস্যা তারাও কিন্তু সাইকেল চালাতে পারেন। এসব কথা জানান জার্মানির ক্রীড়া বিশেষজ্ঞ ক্লাউস ম্যোলেনডিক।
সঠিক সাইকেল বেছে নিন
সাইকেল চালানো তখনই আনন্দদায়ক হয়ে ওঠে, যখন চাকা এবং চালকের মধ্যে বোঝাপড়া সন্তোষজনক হয়। অর্থাৎ চালক যেন চাকা ঘুরিয়ে আরাম এবং আনন্দ দু’টোই বোধ করেন। কোন রাস্তায় চালানো হবে, অর্থাৎ সোজা না উঁচু-নীচু পাহাড়ি এলাকায় সেটি বিবেচনায় নিয়ে সাইকেল কিনতে হবে। চালক নারী, না পুরুষ কিংবা নিয়মিত নাকি মাঝেমধ্যে সাইকেল চালানো হবে সেটিও বিবেচনায় রাখতে হবে বলে জানান ক্লাউস ম্যোলেনডিক।
মানসিক চাপ কমায়
সাইকেল চালানোর সময় মুক্ত বাতাস শুধু শরীরই ভালো রাখে না। এর ফলে মানসিক চাপ কমে, মস্তিষ্ক খালি হয়। আর যদি সাইকেলের রাস্তার দু’পাশে সবুজ গাছপালা থাকে তাহলে তো কথাই নেই!
সাইকেল চালান, পরিবেশ বাঁচান
দুই চাকার সাইকেলে তেল, গ্যাস লাগে না। পরিবেশেরও কোনো ক্ষতি করে না সাইকেল। কাছাকাছি যাতায়াতের জন্য জার্মানিতে শিশু থেকে বুড়ো অনেকেই সাইকেল ব্যবহার করেন। সাইকেল ব্যবহারের ফলে শরীর ‘ফিট’ থাকে, খরচ বাঁচে, অন্যদিকে রক্ষা হয় পরিবেশ।
পরামর্শ
যাদের সংসার, পেশা বা শখের কারণে শরীর ফিট রাখার জন্য তেমন কিছু করার সুযোগ হয় না, তাদের জন্য বিশেষজ্ঞের বিশেষ পরামর্শ রয়েছে। ছোটখাটো কেনা-কাটা, ব্যাংক বা পোস্ট অফিসের দরকারি কাজগুলো কম-বেশি সবাইকেই করতে হয়। তাই নিজের বাড়ির কাছের জায়গাগুলোতে যেতে সাইকেল ব্যবহার করুন। দেখবেন, এতেই অনেক উপকার হবে। সূত্র: ডয়েচে ভেলে।