ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রস্তাবিত মেগা বাজেট পাস হচ্ছে

আগামীকাল বৃহস্পতিবার পাস হতে যাচ্ছে ২০১৬- ২০১৭ অর্থবছরের জন্য তিন লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকার প্রস্তাবিত মেগা বাজেট। বুধবার  সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের সাধারণ আলোচনার মাধ্যমে শেষ হয় বাজেট আলোচনা।

এদিন তৈরি পোশাকসহ সব ধরনের পণ্যে রফতানিমূল্যের ওপর ১ দশমিক ৫ শতাংশ উৎসে কর কাটার যে প্রস্তাব অর্থমন্ত্রী করেছিলেন, তা কমিয়ে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশে নামিয়ে আনাসহ কয়েকটি সংশোধনী এনে অর্থবিল-২০১৬ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে।

সেই সঙ্গে তথ্য-প্রযুক্তি সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানের স্থান ও স্থাপনা ভাড়ার ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট পুরোপুরি অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দুটি বিষয়সহ বেশ কিছু প্রস্তাবে পরিবর্তন আনতে অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত তার নিজের দেয়া বাজেটের উপর সমাপনী বক্তৃতা শেষে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বেশ কয়েকটি প্রস্তাব করেছেন। তার এই প্রস্তাবকে আমি অনুশাসন মনে করি, কারণ আমি তার হয়েই কাজ করি। প্রধানমন্ত্রী যেহেতু বলেছেন, তার সব প্রস্তাবই গ্রহণ হয়ে গেছে।”

এছাড়া ব্যক্তিগত আয়ের ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগ করলে ১৫ শতাংশ কর রেয়াত সুবিধা ছিল শেষ হতে যাওয়া অর্থবছরের বাজেটে। আসন্ন ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে করমুক্ত বিনিয়োগসীমা ও কর রেয়াতের হার কাটছাঁট করার প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী। প্রস্তাব অনুযায়ী, এখন থেকে কোনো ব্যক্তি তার মোট আয়ের ২০ শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ পর্যন্ত কর রেয়াত পাবেন।

এতে ব্যক্তির ওপর করের চাপ বাড়ার পাশাপাশি ব্যক্তি বিনিয়োগ কমে যাওয়ার আশঙ্কা তুলে ধরে এ উদ্যোগের সমালোচনা করেছেন অর্থনীতিবিদরা। তাই বুধবার পাস হওয়া নতুন অর্থবছরের অর্থবিল সংশোধন করে রেয়াত সুবিধা ব্যক্তি বিনিয়োগের ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি তার মোট আয়ের ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগ করলে বিনিয়োগ করা অর্থের আয়করের ওপর ১০ শতাংশ রেয়াত পাবেন।

বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত তিন লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকার বাজেট পাসের প্রস্তাব করবেন। আলোচনার প্রেক্ষিতে প্রস্তাবিত বাজেটের কিছু বিষয়ে সংযোজন-বিয়োজন হতে পারে। গত দুই বছরের মতো এবারো সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির পূর্ণ সমর্থন নিয়েই পাস হতে যাচ্ছে এই মেগা বাজেট।

এর আগে গত ২ জুন জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের জন্য তিন লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী। গত ৮ জুন প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনা শুরু হয়।

বৃহস্পতিবার পাস হবে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট। আগামী ১ জুলাই নতুন অর্থবছরের শুরুতে এই বাজেট কার্যকর হবে।

এদিকে বৃহস্পতিবার বাজেট পাস হওয়ার পর সংসদ অধিবেশনে টানা ১৬ দিনের বিরতি দেয়া হবে। এরপর আগামী ১৭ জুলাই চলতি বাজেট অধিবেশন পুনরায় শুরু হবে। আগামী ২৮ জুলাই চলতি বাজেট অধিবেশন শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

গত ১ জুন এই অধিবেশন শুরু হয়। অন্যান্য অধিবেশনগুলোর মতো এই অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। ঈদের ছুটির পর শুরু হওয়া অধিবেশনে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রস্তাবিত মেগা বাজেট পাস হচ্ছে

আপডেট টাইম : ০৬:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জুন ২০১৬

আগামীকাল বৃহস্পতিবার পাস হতে যাচ্ছে ২০১৬- ২০১৭ অর্থবছরের জন্য তিন লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকার প্রস্তাবিত মেগা বাজেট। বুধবার  সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের সাধারণ আলোচনার মাধ্যমে শেষ হয় বাজেট আলোচনা।

এদিন তৈরি পোশাকসহ সব ধরনের পণ্যে রফতানিমূল্যের ওপর ১ দশমিক ৫ শতাংশ উৎসে কর কাটার যে প্রস্তাব অর্থমন্ত্রী করেছিলেন, তা কমিয়ে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশে নামিয়ে আনাসহ কয়েকটি সংশোধনী এনে অর্থবিল-২০১৬ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে।

সেই সঙ্গে তথ্য-প্রযুক্তি সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানের স্থান ও স্থাপনা ভাড়ার ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট পুরোপুরি অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দুটি বিষয়সহ বেশ কিছু প্রস্তাবে পরিবর্তন আনতে অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত তার নিজের দেয়া বাজেটের উপর সমাপনী বক্তৃতা শেষে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বেশ কয়েকটি প্রস্তাব করেছেন। তার এই প্রস্তাবকে আমি অনুশাসন মনে করি, কারণ আমি তার হয়েই কাজ করি। প্রধানমন্ত্রী যেহেতু বলেছেন, তার সব প্রস্তাবই গ্রহণ হয়ে গেছে।”

এছাড়া ব্যক্তিগত আয়ের ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগ করলে ১৫ শতাংশ কর রেয়াত সুবিধা ছিল শেষ হতে যাওয়া অর্থবছরের বাজেটে। আসন্ন ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে করমুক্ত বিনিয়োগসীমা ও কর রেয়াতের হার কাটছাঁট করার প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী। প্রস্তাব অনুযায়ী, এখন থেকে কোনো ব্যক্তি তার মোট আয়ের ২০ শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ পর্যন্ত কর রেয়াত পাবেন।

এতে ব্যক্তির ওপর করের চাপ বাড়ার পাশাপাশি ব্যক্তি বিনিয়োগ কমে যাওয়ার আশঙ্কা তুলে ধরে এ উদ্যোগের সমালোচনা করেছেন অর্থনীতিবিদরা। তাই বুধবার পাস হওয়া নতুন অর্থবছরের অর্থবিল সংশোধন করে রেয়াত সুবিধা ব্যক্তি বিনিয়োগের ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি তার মোট আয়ের ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগ করলে বিনিয়োগ করা অর্থের আয়করের ওপর ১০ শতাংশ রেয়াত পাবেন।

বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত তিন লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকার বাজেট পাসের প্রস্তাব করবেন। আলোচনার প্রেক্ষিতে প্রস্তাবিত বাজেটের কিছু বিষয়ে সংযোজন-বিয়োজন হতে পারে। গত দুই বছরের মতো এবারো সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির পূর্ণ সমর্থন নিয়েই পাস হতে যাচ্ছে এই মেগা বাজেট।

এর আগে গত ২ জুন জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের জন্য তিন লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী। গত ৮ জুন প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনা শুরু হয়।

বৃহস্পতিবার পাস হবে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট। আগামী ১ জুলাই নতুন অর্থবছরের শুরুতে এই বাজেট কার্যকর হবে।

এদিকে বৃহস্পতিবার বাজেট পাস হওয়ার পর সংসদ অধিবেশনে টানা ১৬ দিনের বিরতি দেয়া হবে। এরপর আগামী ১৭ জুলাই চলতি বাজেট অধিবেশন পুনরায় শুরু হবে। আগামী ২৮ জুলাই চলতি বাজেট অধিবেশন শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

গত ১ জুন এই অধিবেশন শুরু হয়। অন্যান্য অধিবেশনগুলোর মতো এই অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। ঈদের ছুটির পর শুরু হওয়া অধিবেশনে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হবে।