ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১০ বছরের বালকের ওজন ১৯২ কেজি

জন্মানোর সময় সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল৷ কিন্তু দুই বছর কাটতেই অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে শুরু করল ছোট্ট আর্য৷ ১০ বছরের বালকের এখন ওজন দাড়িয়েছে ১৯২ কেজি৷ আর্যই বিশ্বের সবচেয়ে স্থূলকায় বালক মনে করা হচ্ছে৷ ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভার বাসিন্দা আর্যর বাবা-মায়ের চোখে ঘুম নেই৷ মাত্র ১০ বছর বয়সে কীভাবে তাদের ছেলের এত ওজন বেড়ে গেল, বুঝতেই পারছেন না তারা৷

 

আর্যর মা রোকায়া জানাচ্ছেন, বাড়িতেই স্বাভাবিক জন্ম হয়েছিল তার সন্তানের৷ দুই বছর বয়স থেকে আস্তে আস্তে মোটা হতে থাকে সে৷ ছেলে স্বাস্থ্যবান হচ্ছে ভেবে প্রথমে খুশিই হয়েছিলেন তারা৷ কিন্তু একটা সময় ওজন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়৷ আর তখন থেকেই কপালে ভাঁজ পড়ে তাদের৷

 

আর পাঁচটা কিশোরের মতো স্বাভাবিক হাঁটা চলাও করতে পারে না আর্য৷ যার ফলে স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে তার৷ বেশি কথা বলতে গেলে হাঁপিয়ে ওঠে৷ ছেলেকে কীভাবে সুস্থ করে তুলবেন, ভেবে কুল-কিনারা করতে পারছেন না রোকায়া ও তার স্বামী এডে৷

 

চিকিৎসককে দেখিয়েও সমাধান হয়নি৷ কারণ তারাও রোগ ধরতে পারেননি৷ বড় কোনো হাসপাতালে আর্যকে দেখানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন তারা৷ তবে অর্থের অভাবে আর্যকে আর বড় হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারেননি এডে৷

 

ছেলের ওজন কমানোর জন্য একটি ডায়েট চার্ট বানিয়েছেন তারা৷ সেই মতোই খাওয়ানো হচ্ছে আর্যকে৷ যে ছেলে দু’জন বড় মানুষের খাবার একবারে খেয়ে ফেলতে পারে, তাকে অল্প ভাত, ভেজিটেবল স্যুপ, গোস্ত ও সয়াবিন জাতীয় খাবার দেয়া হচ্ছে৷

 

বাবা-মায়ের আশা, একদিন তাদের ছেলে নিশ্চয়ই সুস্থ হয়ে উঠবে৷
Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

১০ বছরের বালকের ওজন ১৯২ কেজি

আপডেট টাইম : ০৬:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ জুলাই ২০১৬
জন্মানোর সময় সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল৷ কিন্তু দুই বছর কাটতেই অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে শুরু করল ছোট্ট আর্য৷ ১০ বছরের বালকের এখন ওজন দাড়িয়েছে ১৯২ কেজি৷ আর্যই বিশ্বের সবচেয়ে স্থূলকায় বালক মনে করা হচ্ছে৷ ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভার বাসিন্দা আর্যর বাবা-মায়ের চোখে ঘুম নেই৷ মাত্র ১০ বছর বয়সে কীভাবে তাদের ছেলের এত ওজন বেড়ে গেল, বুঝতেই পারছেন না তারা৷

 

আর্যর মা রোকায়া জানাচ্ছেন, বাড়িতেই স্বাভাবিক জন্ম হয়েছিল তার সন্তানের৷ দুই বছর বয়স থেকে আস্তে আস্তে মোটা হতে থাকে সে৷ ছেলে স্বাস্থ্যবান হচ্ছে ভেবে প্রথমে খুশিই হয়েছিলেন তারা৷ কিন্তু একটা সময় ওজন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়৷ আর তখন থেকেই কপালে ভাঁজ পড়ে তাদের৷

 

আর পাঁচটা কিশোরের মতো স্বাভাবিক হাঁটা চলাও করতে পারে না আর্য৷ যার ফলে স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে তার৷ বেশি কথা বলতে গেলে হাঁপিয়ে ওঠে৷ ছেলেকে কীভাবে সুস্থ করে তুলবেন, ভেবে কুল-কিনারা করতে পারছেন না রোকায়া ও তার স্বামী এডে৷

 

চিকিৎসককে দেখিয়েও সমাধান হয়নি৷ কারণ তারাও রোগ ধরতে পারেননি৷ বড় কোনো হাসপাতালে আর্যকে দেখানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন তারা৷ তবে অর্থের অভাবে আর্যকে আর বড় হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারেননি এডে৷

 

ছেলের ওজন কমানোর জন্য একটি ডায়েট চার্ট বানিয়েছেন তারা৷ সেই মতোই খাওয়ানো হচ্ছে আর্যকে৷ যে ছেলে দু’জন বড় মানুষের খাবার একবারে খেয়ে ফেলতে পারে, তাকে অল্প ভাত, ভেজিটেবল স্যুপ, গোস্ত ও সয়াবিন জাতীয় খাবার দেয়া হচ্ছে৷

 

বাবা-মায়ের আশা, একদিন তাদের ছেলে নিশ্চয়ই সুস্থ হয়ে উঠবে৷