ঢাকা , সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

“বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের বিভিন্ন শাখায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৪’ প্রদান করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। আমি পুরস্কার বিজয়ী সকল শিল্পী, কলাকুশলী, নির্মাতাসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

চলচ্চিত্র একটি শক্তিশালী গণমাধ্যম যা দর্শকদের গভীরভাবে প্রভাবিত করে। চলচ্চিত্র কেবল নির্মল আনন্দ দেয় না, সমকালীন জীবনবোধ, শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি ও সমাজের নানা চিত্র তুলে ধরে। সমাজের অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার পাশাপাশি জনগণকে জাতীয়তাবোধে উজ্জীবিত করে। দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণেও এ মাধ্যমটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তৎকালীন প্রাদেশিক পরিষদে ‘চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন বিল’ উত্থাপনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন বা এফডিসি। সময়ের সাথে শিল্পী ও কলাকুশলীদের কর্মচাঞ্চল্যে এফডিসি হয়ে উঠে বাংলা চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রাণকেন্দ্র্র। বায়োস্কোপের পথ ধরে উপমহাদেশে চলচ্চিত্রের উন্মেষ ঘটে। সৃষ্টি হয় জীবনঘনিষ্ঠ নানা ছবি, যা দর্শক হৃদয়ে আজো স্থান করে আছে। বর্তমানে তীব্র প্রতিযোগিতার যুগে চলচ্চিত্র শিল্পকে এগিয়ে নিতে মৌলিকত্বের ওপর জোর দেয়া জরুরি বলে আমি মনে করি।

চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সংগ্রহ এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শন ব্যবস্থাকে আধুনিক ও মানসম্মত করতে সরকার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক সহায়তা ছাড়াও নানাভাবে উৎসাহিত করছে। আমি আশা করি ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৪’ সুস্থধারার চলচ্চিত্র নির্মাণে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ যোগাবে।

আমি ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৪’ এর সার্বিক সফলতা কামনা করি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী

আপডেট টাইম : ০৫:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল ২০১৬

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

“বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের বিভিন্ন শাখায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৪’ প্রদান করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। আমি পুরস্কার বিজয়ী সকল শিল্পী, কলাকুশলী, নির্মাতাসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

চলচ্চিত্র একটি শক্তিশালী গণমাধ্যম যা দর্শকদের গভীরভাবে প্রভাবিত করে। চলচ্চিত্র কেবল নির্মল আনন্দ দেয় না, সমকালীন জীবনবোধ, শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি ও সমাজের নানা চিত্র তুলে ধরে। সমাজের অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার পাশাপাশি জনগণকে জাতীয়তাবোধে উজ্জীবিত করে। দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণেও এ মাধ্যমটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তৎকালীন প্রাদেশিক পরিষদে ‘চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন বিল’ উত্থাপনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন বা এফডিসি। সময়ের সাথে শিল্পী ও কলাকুশলীদের কর্মচাঞ্চল্যে এফডিসি হয়ে উঠে বাংলা চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রাণকেন্দ্র্র। বায়োস্কোপের পথ ধরে উপমহাদেশে চলচ্চিত্রের উন্মেষ ঘটে। সৃষ্টি হয় জীবনঘনিষ্ঠ নানা ছবি, যা দর্শক হৃদয়ে আজো স্থান করে আছে। বর্তমানে তীব্র প্রতিযোগিতার যুগে চলচ্চিত্র শিল্পকে এগিয়ে নিতে মৌলিকত্বের ওপর জোর দেয়া জরুরি বলে আমি মনে করি।

চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সংগ্রহ এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শন ব্যবস্থাকে আধুনিক ও মানসম্মত করতে সরকার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক সহায়তা ছাড়াও নানাভাবে উৎসাহিত করছে। আমি আশা করি ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৪’ সুস্থধারার চলচ্চিত্র নির্মাণে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ যোগাবে।

আমি ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৪’ এর সার্বিক সফলতা কামনা করি।