ঢাকা , শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

পাটের বাম্পার ফলনে খুশি কৃষক

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ আবহাওয়া অনুকূল আর সার সংকট না থাকার ফলে শাহজাদপুর উপজেলায় এ বছর সোনালি আঁশ পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। পাটের বাজার দর ভালো হওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকদের। এ বছর শাহজাদপুর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে পাটের চাষাবাদ ভালো হয়েছে বলে জানা গেছে। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর যথাসময় খড়া, ভালো বৃষ্টিপাত, ভালো বীজের সহজলভ্যতা এবং সার সংকট না থাকার কারণে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব হয়েছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন গ্রামে পাটের আঁশ ছাড়ানোর জন্য কৃষকরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে।

গত বছরের তুলনায় এ বছর দ্বিগুণ ফলন হয়েছে। এ ছাড়াও বর্ষা মৌসুমে ভালো বৃষ্টিপাত সর্বশেষ বন্যার পানি শাহজাদপুরের বিভিন্ন খাল-বিল ও নদীতে প্রবেশ করায় পাট জাগে বাড়তি সুবিধা পাওয়া গেছে। চাষিরা জানান, তারা রোগবালাইমুক্ত পাটের আঁশ ছাড়াচ্ছেন। তাই চাষিরা পাটের ন্যায্য মূল্য পাওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, পাটজাত দ্রব্যের ব্যবহার কমে যাওয়ায় শাহজাদপুর উপজেলায় পাটের আবাদ কম ছিল।

তবে পাটের বাজার মূল্য সহনীয় পর্যায় হওয়ায় এই উপজেলায় ধীরে ধীরে পাটের আবাদ বাড়তে শুরু করেছে। উপজেলার কায়েমপুর, গাড়াদহ, রুপবাটি, পোতাজিয়া পোরজনা, কৈজুরী, নরিনা ও হাবিবল্লাহনগর ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি পাট চাষ করা হয়। যমুনা-তীরবর্তী গালা ও যুমনা চরের সোনাতনী ইউনিয়নেও পাটের বাম্পার ফলন লক্ষ্য করা গেছে।

শাহজাদপুর পৌর এলাকার কিছু কিছু জায়গায় পাটের আবাদ করতে দেখা গেছে কৃষকদের। এ বছর পাটের বাজার দর উপজেলার তালগাছি হাটে প্রতিমণ পাট ১৮০০-২০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ বছর পাটের বাজার দর ভালো হওয়ায় আগামী বছর কৃষকরা আরও বেশি পাটচাষে আগ্রহী হবেন বলে আশা করছে উপজেলা কৃষি অফিস।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

পাটের বাম্পার ফলনে খুশি কৃষক

আপডেট টাইম : ১০:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ আবহাওয়া অনুকূল আর সার সংকট না থাকার ফলে শাহজাদপুর উপজেলায় এ বছর সোনালি আঁশ পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। পাটের বাজার দর ভালো হওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকদের। এ বছর শাহজাদপুর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে পাটের চাষাবাদ ভালো হয়েছে বলে জানা গেছে। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর যথাসময় খড়া, ভালো বৃষ্টিপাত, ভালো বীজের সহজলভ্যতা এবং সার সংকট না থাকার কারণে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব হয়েছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন গ্রামে পাটের আঁশ ছাড়ানোর জন্য কৃষকরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে।

গত বছরের তুলনায় এ বছর দ্বিগুণ ফলন হয়েছে। এ ছাড়াও বর্ষা মৌসুমে ভালো বৃষ্টিপাত সর্বশেষ বন্যার পানি শাহজাদপুরের বিভিন্ন খাল-বিল ও নদীতে প্রবেশ করায় পাট জাগে বাড়তি সুবিধা পাওয়া গেছে। চাষিরা জানান, তারা রোগবালাইমুক্ত পাটের আঁশ ছাড়াচ্ছেন। তাই চাষিরা পাটের ন্যায্য মূল্য পাওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, পাটজাত দ্রব্যের ব্যবহার কমে যাওয়ায় শাহজাদপুর উপজেলায় পাটের আবাদ কম ছিল।

তবে পাটের বাজার মূল্য সহনীয় পর্যায় হওয়ায় এই উপজেলায় ধীরে ধীরে পাটের আবাদ বাড়তে শুরু করেছে। উপজেলার কায়েমপুর, গাড়াদহ, রুপবাটি, পোতাজিয়া পোরজনা, কৈজুরী, নরিনা ও হাবিবল্লাহনগর ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি পাট চাষ করা হয়। যমুনা-তীরবর্তী গালা ও যুমনা চরের সোনাতনী ইউনিয়নেও পাটের বাম্পার ফলন লক্ষ্য করা গেছে।

শাহজাদপুর পৌর এলাকার কিছু কিছু জায়গায় পাটের আবাদ করতে দেখা গেছে কৃষকদের। এ বছর পাটের বাজার দর উপজেলার তালগাছি হাটে প্রতিমণ পাট ১৮০০-২০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ বছর পাটের বাজার দর ভালো হওয়ায় আগামী বছর কৃষকরা আরও বেশি পাটচাষে আগ্রহী হবেন বলে আশা করছে উপজেলা কৃষি অফিস।