বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার চাষীরা ক্ষীরা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। নিম্ন অঞ্চল হিসেবে পরিচিত শাহজাদপুর উপজেলার অপেক্ষকৃত উঁচু জমিগুলোতে চাষ করছেন ক্ষীরা। প্রথম ধাপে ক্ষীরা আশানুরূপ ফলন পাওয়ায় ২য় পর্যায়ে চাষাবাদ হচ্ছে শাহজাদপুর উপজেলার করতোয়া নদীর পূর্ব ও পশ্চিমপাড়ে। গাড়াদহ ইউনিয়নের গাড়াদহ গ্রাম, করতোয়া নদীর পূর্বপাড়ে টেপড়ি, নবীপুর, মাঠ জুড়ে চলছে ক্ষীরা চাষ। ইতিমধ্যেই লতা পাতায় ছেয়ে ক্ষীরা গাছে ফুল ফুটেছে। কৃষকরা আশা করছেন কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে এবারেও ক্ষীরার বাম্পার ফলন হবে।
ক্ষীরা চাষীরা ক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তারাও মাঠ ঘুরে ঘুরে চাষীদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। তাই স্বল্প সময়ী সবজি ফসল ক্ষীরা কিছুদিন পরেই হাট-বাজারে দেখা যাবে। সাধারণত মাঘ ও ফাল্গুন মাসে ক্ষীরার আবাদ ভাল হয়। তাই কয়েক মাস আগেই আগাম জাতের ক্ষীরার বীজ সংগ্রহ করেছেন চাষীরা।
গাড়াদহ গ্রামের ক্ষীরা চাষী আব্দুল লতিফ জানান, তিনি এ বছর ৫ বিঘা জমিতে ক্ষীরা চাষ করছেন, জমিতে নিড়ানি, ঔষধসহ প্রায় ১৫ হাজার টাকা খরচ হবে। এবং এসব জমি থেকে উৎপাদিত ক্ষীরা বিঘা প্রতি ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা বিক্রি করা যাবে।
এ ব্যাপারে শাহজাদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মঞ্জুরুল আলম জানান, এ বছর শাহজাদপুর উপজেলায় প্রায় ২০০ হেক্টর জমিতে ক্ষীরা চাষ করা হচ্ছে। তবে বন্যার পানি নেমে গেলে ক্ষীরা চাষীদের সংখ্যা আরও বাড়বে। স্বল্প মেয়াদী ফসল ক্ষীরা চাষে কৃষকদের উৎসাহ ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ক্ষীরার ফলন ভাল হওয়ার পাশাপাশি উপযুক্ত দামও পাবেন কৃষকরা।