ঢাকা , বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তনুর গ্রামের বাড়িতে চেহলাম অনুষ্ঠিত

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর চেহলাম (মৃত্যুর ৪০তম দিনে দোয়া অনুষ্ঠান) আজ তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার মির্জাপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বাদ জুমা চেহলাম উপলক্ষে তাদের বাড়িতে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সেখানে তনুর আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মির্জাপুর গ্রাম মসজিদের খতিব মাওলানা মোস্তফা কামাল। দোয়া শেষে সেখানে স্থানীয় এতিমখানা ও দরিদ্রদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।

তনুর বাবা ইয়ার হোসেন জানান, মির্জাপুর গ্রামের বাড়িতে তনুর জন্য মিলাদ পড়ানো হয়। সেখানে আড়াই শতাধিক মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। এ উপলক্ষে তনুর মা আনোয়ারা বেগম, দুই ভাই নাজমূল হোসেন ও আনোয়ার হোসেনও গ্রামের বাড়িতে যান। সেখানে তাদের অন্যান্য আত্মীয় স্বজনরাও উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ রাত সাড়ে ১০ টার দিকে কুমিল্লা সেনানিবাসে বাসার কাছ থেকে তনুর মরদেহ উদ্ধার করে তার পিতা ইয়ার হোসেন। পরদিন দুপুরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মরদেহের প্রথম ময়নাতদন্ত হয়। প্রথম ময়নাতদন্তে তনুকে ধর্ষণের আলামত এবং মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। ২য় ময়নাতদন্তের জন্য ৩০ মার্চ তনুর লাশ কবর থেকে তোলা হয়। লাশ তোলার ২৯ দিনেও তনুর ২য় ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি।

এদিকে তনুর মৃত্যুর ৪০ দিনেও পুলিশ হত্যাকারীদেরকে শনাক্ত করতে পারেনি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

তনুর গ্রামের বাড়িতে চেহলাম অনুষ্ঠিত

আপডেট টাইম : ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল ২০১৬

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর চেহলাম (মৃত্যুর ৪০তম দিনে দোয়া অনুষ্ঠান) আজ তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার মির্জাপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বাদ জুমা চেহলাম উপলক্ষে তাদের বাড়িতে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সেখানে তনুর আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মির্জাপুর গ্রাম মসজিদের খতিব মাওলানা মোস্তফা কামাল। দোয়া শেষে সেখানে স্থানীয় এতিমখানা ও দরিদ্রদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।

তনুর বাবা ইয়ার হোসেন জানান, মির্জাপুর গ্রামের বাড়িতে তনুর জন্য মিলাদ পড়ানো হয়। সেখানে আড়াই শতাধিক মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। এ উপলক্ষে তনুর মা আনোয়ারা বেগম, দুই ভাই নাজমূল হোসেন ও আনোয়ার হোসেনও গ্রামের বাড়িতে যান। সেখানে তাদের অন্যান্য আত্মীয় স্বজনরাও উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ রাত সাড়ে ১০ টার দিকে কুমিল্লা সেনানিবাসে বাসার কাছ থেকে তনুর মরদেহ উদ্ধার করে তার পিতা ইয়ার হোসেন। পরদিন দুপুরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মরদেহের প্রথম ময়নাতদন্ত হয়। প্রথম ময়নাতদন্তে তনুকে ধর্ষণের আলামত এবং মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। ২য় ময়নাতদন্তের জন্য ৩০ মার্চ তনুর লাশ কবর থেকে তোলা হয়। লাশ তোলার ২৯ দিনেও তনুর ২য় ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি।

এদিকে তনুর মৃত্যুর ৪০ দিনেও পুলিশ হত্যাকারীদেরকে শনাক্ত করতে পারেনি।