সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত কলেজছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসের গ্রামে বাড়িতে গিয়ে তার বাবা-মাকে স্বান্তনা জানিয়েছেন সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ।
শনিবার বিকেলে সদর উপজেলার আউসা গ্রামে খাদিজার বাড়িতে বাবা মাসুক মিয়া এবং মা মনোয়ারা বেগমের সঙ্গে দেখা করে অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ তাদের আশ্বস্ত করে বলেন, সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে কোপানোর ঘটনার বিচার দ্রুততম সময়ে শেষ করা হবে।
এমনকি এই বিচারিক কার্যক্রম শিশু রাজনহত্যার বিচার কার্যক্রমের থেকেও কম সময়ে শেষ করা হবে বলে জানান তিনি।
খাদিজার বাবা সৌদি আরব প্রবাসী মাসুক মিয়া দ্রুততম সময়ে তার মেয়ের ওপর হামলাকারী বদরুলের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতসহ মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এই আশ্বাস দেন।
তিনি বলেন, এ ঘটনার বিচারের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীও খুবই আন্তরিক। হামলাকারী যেই হোক না কেন-তার দ্রুত বিচার করা হবে। এমনকি এই বিচার শিশু রাজনের হত্যার বিচারের সময় থেকেও কম সময়ে শেষ হবে।
খাদিজার বাবা মাসুক মিয়া বলেন, দেশের মানুষ ও মিডিয়া যেভাবে সাপোর্ট দিচ্ছেন, এজন্য আমরা কৃতজ্ঞ। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত তিনি দেশের মানুষকে তাদের পাশে থাকার আহ্বান জানান।
এ সময় ছাতক উপজেলা চেয়ারম্যান ওলিউর রহমান চৌধুরী বকুল, সিলেটের অতিরিক্ত পিপি শামসুল ইসলাম, মোগলগাঁও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হিরণ মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
গত ৩ অক্টোবর সিলেট এমসি কলেজ কেন্দ্র থেকে পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে কলেজের পুকুর পাড়ে তাকে চাপাতি দিয়ে কোপায় ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলম। বর্তমানে রাজধানী স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে খাদিজার। এ ঘটনার পরই ছাত্ররা বদরুলকে ধরে করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
গত ৪ অক্টোবর খাদিজার চাচা বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আদালতে এ ঘটনায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিও দিয়েছে বখাটে বদরুল।