সুন্দরী দেখলে আড়চোখে তাকানো পুরুষের নতুন অভ্যাস নয়৷ তার উপরে যদি সেই নারী একটু বেশিই সুন্দরী হন, তাহলে লাজলজ্জা ভুলে তার দিকে হাঁ করে তাকিয়ে থাকতেও দেখা যায় অনেক পুরুষকে৷ সাবধান, সুন্দরীরা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর৷
হ্যাঁ, একদল গবেষক বলছেন, আকর্ষনীয় নারীর সান্নিধ্যে আসলে পুরুষের মধ্যে মানসিক চাপ বাড়তে থাকে৷ এমনকি এই চাপ বাড়ার কারণে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে!
সুন্দরী নারীদের নিয়ে এমন মতামত প্রচার করছেন স্পেনের ভ্যালেন্সিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা৷ তাঁদের কথায়, একজন পুরুষ সুন্দরী নারীর পাশে পাঁচ মিনিট বসলেই নাকি পুরুষের মধ্যে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পায়৷ যা শরীরে কোর্ট্রিসল নামক বিশেষ হরমোনের প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়৷ আর বিপত্তি সেখানেই৷ এই হরমোনের বাড়তি প্রবাহ আবার হৃদযন্ত্রের নানা রোগের জন্য দায়ী৷
ঘুম ভালো না হলে তার প্রভাব যে চোখে-মুখে পড়ে, সেকথা আমরা জানি৷ ঘুম শরীরের হরমনে প্রভাব ফেলে, শরীরের ফ্যাট ক্ষয় করে এবং শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে মন-মেজাজ ভালো রাখতে সাহায্য করে৷ রাতে যে নারী ভালো ঘুমায় সকালে তাকে দেখতে সুন্দর এবং তরতাজা লাগে৷ শুধু তাই নয়, সারাদিনই সে ফিট থাকে৷
অবশ্য গবেষকরা আশ্বস্ত করে বলেছেন, পুরুষদের মধ্যে যারা নারীদের কাছ থেকে সবসময় দূরে থাকতে ভালোবাসেন তাদের জন্য সুন্দরীরা একটু বেশি ক্ষতিকর৷
ভ্যালেন্সিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা, ৮৪ জন স্বেচ্ছাসেবী পুরুষের উপর গবেষণা চালিয়ে প্রকাশ করেছে এই তথ্য৷ এসব স্বেচ্ছাসেবীদের ভিন্ন ভিন্ন সময়ে এককভাবে একটি কক্ষে বসিয়ে সুডোকু পাজল এর সমাধান করতে বলা হয়৷ এসময় অপরিচিত সুন্দরী এক নারীকে ঢুকিয়ে দেয়া হয় সেই রুমে৷ আর তাতেই নাকি অনেকের শরীরে কোট্রিসল এর প্রবাহ বেড়ে যায়৷ কিন্তু নারীর স্থলে কোন পুরুষ রুমে ঢুকলে স্বেচ্ছাসেবী পুরুষদের মধ্যে কোন পরিবর্তন দেখা যায়নি৷
গবেষকরা বলছেন, কম বয়সী সুন্দরী নারী আশেপাশে দেখলে অধিকাংশ পুরুষ প্রেমের সুযোগ আছে বলে ভাবতে শুরু করেন৷ খুব কম পুরুষই সুন্দরীদের পাশ কাটিয়ে চলতে পারেন৷
উল্লেখ্য, শরীরে স্বল্পমাত্রায় কোট্রিসলের প্রবাহ ক্ষতিকর নয়৷ বরং তা মানুষের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক৷ কিন্তু বেশীমাত্রায় কোট্রিসলের প্রবাহ হৃদযন্ত্রের ক্ষতি থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস এমনকি পুরুষকে নপুংসক পর্যন্ত করে ফেলতে পারে৷ তাই, সম্ভব হলে সুন্দরীদের এড়িয়ে চলাই সমাচীন! -ডয়েচেভেলে