ঢাকা , রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি পূরণে এবার ২০০০ কোটি টাকা

ঋণ প্রদানে অনিয়মসহ নানা ধরনের দুর্নীতিতে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে যাওয়ায় গত কয়েক বছর ধরে মূলধন সঙ্কটে ভোগছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো। এই ঘাটতি পূরণে ২০১১-১২ অর্থবছর থেকে বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখা হচ্ছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর এই মূলধন ঘাটতি পূরণে আগামী অর্থবছরের বাজেটেও ২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। বর্তমান অর্থবছরের বাজেটেও রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি পূরণে রাখা হয়েছে ২ হাজার কোটি টাকা। সূত্র জানায়, সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী কৃষি ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের মূলধন ঘাটতির পরিমাণ প্রায় ১৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। যদিও চলতি অর্থবছরের বাজেটে পুনঃমূলধন বিনিয়োগ খাতে বরাদ্দ ছিল ২ হাজার কোটি টাকা। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, রাষ্ট্রীয় কয়েকটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি পূরণে ২০১১-১২ অর্থবছরে রাখা হয়েছিল ৩৪১ কোটি টাকা। ২০১২-১৩ অর্থবছরে ১ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হলেও ওই অর্থবছরে দেওয়া হয়েছিল ৫৪১ কোটি টাকা। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৪২০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হলেও দিতে হয়েছে ৫ হাজার কোটি টাকা। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের স্থলে দিতে হয়েছে ৫ হাজার ৬৮ কোটি টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এই খাতে বরাদ্দ রাখা হয় ৫ হাজার কোটি টাকা। তবে ওই অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে রাখা হয় ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। আর চলতি অর্থবছরের বাজেটে রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি পূরণে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২ হাজার কোটি টাকা। সূত্র জানায়, বর্তমান অর্থবছরে এখন পর্যন্ত সরকারি ছয় ব্যাংককে ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বেসিক ব্যাংক পেয়েছে ১ হাজার কোটি, সোনালী ৩০০ কোটি, রূপালী ২০০ কোটি, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ১৪৯ কোটি, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ১০০ কোটি এবং গ্রামীণ ব্যাংক ২২ কোটি টাকা। সূত্র জানায়, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে সোনালী ব্যাংক পায় ১ হাজার ৯৯৫ কোটি, জনতা ব্যাংক ৮১৪ কোটি, অগ্রণী ব্যাংক ১ হাজার ৮১ কোটি, রূপালী ব্যাংক ২১০ কোটি, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ১৭৫ কোটি এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ৮০ কোটি টাকা। ২০১২-১৩ অর্থবছরে সোনালী ব্যাংক পেয়েছিল ৬ কোটি ৮১ লাখ, রূপালী ব্যাংক ৬২ কোটি ৫০ লাখ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ১১৯ কোটি ৪৯ লাখ এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ১০৮ কোটি টাকা। আর ২০১১-১২ অর্থবছরে সোনালী ব্যাংককে দেওয়া হয় ৮৩ কোটি এবং বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের জন্য ছাড় করা হয় ১০৩ কোটি ২০ লাখ টাকা।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি পূরণে এবার ২০০০ কোটি টাকা

আপডেট টাইম : ০৫:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ মে ২০১৭

ঋণ প্রদানে অনিয়মসহ নানা ধরনের দুর্নীতিতে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে যাওয়ায় গত কয়েক বছর ধরে মূলধন সঙ্কটে ভোগছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো। এই ঘাটতি পূরণে ২০১১-১২ অর্থবছর থেকে বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখা হচ্ছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর এই মূলধন ঘাটতি পূরণে আগামী অর্থবছরের বাজেটেও ২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। বর্তমান অর্থবছরের বাজেটেও রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি পূরণে রাখা হয়েছে ২ হাজার কোটি টাকা। সূত্র জানায়, সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী কৃষি ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের মূলধন ঘাটতির পরিমাণ প্রায় ১৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। যদিও চলতি অর্থবছরের বাজেটে পুনঃমূলধন বিনিয়োগ খাতে বরাদ্দ ছিল ২ হাজার কোটি টাকা। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, রাষ্ট্রীয় কয়েকটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি পূরণে ২০১১-১২ অর্থবছরে রাখা হয়েছিল ৩৪১ কোটি টাকা। ২০১২-১৩ অর্থবছরে ১ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হলেও ওই অর্থবছরে দেওয়া হয়েছিল ৫৪১ কোটি টাকা। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৪২০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হলেও দিতে হয়েছে ৫ হাজার কোটি টাকা। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের স্থলে দিতে হয়েছে ৫ হাজার ৬৮ কোটি টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এই খাতে বরাদ্দ রাখা হয় ৫ হাজার কোটি টাকা। তবে ওই অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে রাখা হয় ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। আর চলতি অর্থবছরের বাজেটে রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি পূরণে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২ হাজার কোটি টাকা। সূত্র জানায়, বর্তমান অর্থবছরে এখন পর্যন্ত সরকারি ছয় ব্যাংককে ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বেসিক ব্যাংক পেয়েছে ১ হাজার কোটি, সোনালী ৩০০ কোটি, রূপালী ২০০ কোটি, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ১৪৯ কোটি, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ১০০ কোটি এবং গ্রামীণ ব্যাংক ২২ কোটি টাকা। সূত্র জানায়, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে সোনালী ব্যাংক পায় ১ হাজার ৯৯৫ কোটি, জনতা ব্যাংক ৮১৪ কোটি, অগ্রণী ব্যাংক ১ হাজার ৮১ কোটি, রূপালী ব্যাংক ২১০ কোটি, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ১৭৫ কোটি এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ৮০ কোটি টাকা। ২০১২-১৩ অর্থবছরে সোনালী ব্যাংক পেয়েছিল ৬ কোটি ৮১ লাখ, রূপালী ব্যাংক ৬২ কোটি ৫০ লাখ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ১১৯ কোটি ৪৯ লাখ এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ১০৮ কোটি টাকা। আর ২০১১-১২ অর্থবছরে সোনালী ব্যাংককে দেওয়া হয় ৮৩ কোটি এবং বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের জন্য ছাড় করা হয় ১০৩ কোটি ২০ লাখ টাকা।