ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার বিশ্ববাপী খাদ্যের দামে অস্থিরতার শঙ্কা

চাল রপ্তানিতে এবার নিষেধাজ্ঞা দিল রাশিয়া। দেশটির অভ্যন্তরীণ বাজার স্তিতিশীল রাখার লক্ষ্যে ‘অস্থায়ীভাবে’ এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার কারণ হিসেবে এমনটাই জানিয়েছে দেশটির সরকার।

শনিবার (২৯ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এমন খবর জানিয়েছে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি। এরআগে উৎপাদন ঘাটতির আশঙ্কায় চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে ভারত।

তখন আইএমএফ বলেছিল এ ধরণের বিশ্ববাপী খাদ্যের দামের অস্থিরতা সৃষ্টি করবে।ঠিক সেই সময় রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা সমস্যাকে আরো প্রকট করবে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার (২৬ জুলাই) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সরকারের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়, অভ্যন্তরীণ বাজারকে স্থিতিশীল রাখতে চাল রপ্তানি চলতি বছরের শেষ নাগাদ বাতিল করা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ধান ও প্রক্রিয়াকৃত চাল রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার। চলতি ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। উল্লিখিত সময়ের মধ্যে কয়েকটা দেশ বাদে বিশ্বের প্রায় সব দেশের চাল রপ্তানি বন্ধ থাকবে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, তবে ইউরোশিয়ান ইকনোমিক ইউনিয়নভুক্ত দেশ আর্মেনিয়া, বেলারুস, কাজাখস্তান ও কিরগিজস্তানের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। অপরদিকে মানবিক বা ত্রাণ সহায়তায় বিদেশে চাল সরবরাহ করা যাবে বলে জানানো হয়েছে।

এর আগে গত ২০ জুলাই চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ চাল রপ্তানিকারক দেশ ভারত। নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে বলা হয়, অভ্যন্তরীণ বাজারে সরবরাহ বাড়াতে এবং আসন্ন উৎসব মৌসুমে চালের খুচরা দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাসমতী ছাড়া অন্য সব ধরনের চাল রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।

এই নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। ভারতের এই সিদ্ধান্ত বিশ্ব খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব ফেলবে বলে জানায় সংস্থাটি।

এদিকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ভারত ৪ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলারের চাল (বাসমতী ছাড়া অন্য সব ধরনের সাদা চাল) রপ্তানি করেছে, যার পরিমাণ গত বছর ছিল ২ দশমিক ৬২ মিলিয়ন ডলার। ভারতের চালের বড় ক্রেতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, ইতালি, স্পেন ও শ্রীলঙ্কা।

অপরদিকে রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারতের উত্তরাঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে পাঞ্জাব ও হরিয়ানাসহ কয়েকটি রাজ্যে রোপণ করা ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে অনেক এলাকার কৃষককে পুনরায় ধান রোপণ করতে হয়েছে। এতে উৎপাদন ঘাটতির আশঙ্কায় চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে ভারত।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার বিশ্ববাপী খাদ্যের দামে অস্থিরতার শঙ্কা

আপডেট টাইম : ০৪:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুলাই ২০২৩

চাল রপ্তানিতে এবার নিষেধাজ্ঞা দিল রাশিয়া। দেশটির অভ্যন্তরীণ বাজার স্তিতিশীল রাখার লক্ষ্যে ‘অস্থায়ীভাবে’ এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার কারণ হিসেবে এমনটাই জানিয়েছে দেশটির সরকার।

শনিবার (২৯ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এমন খবর জানিয়েছে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি। এরআগে উৎপাদন ঘাটতির আশঙ্কায় চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে ভারত।

তখন আইএমএফ বলেছিল এ ধরণের বিশ্ববাপী খাদ্যের দামের অস্থিরতা সৃষ্টি করবে।ঠিক সেই সময় রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা সমস্যাকে আরো প্রকট করবে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার (২৬ জুলাই) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সরকারের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়, অভ্যন্তরীণ বাজারকে স্থিতিশীল রাখতে চাল রপ্তানি চলতি বছরের শেষ নাগাদ বাতিল করা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ধান ও প্রক্রিয়াকৃত চাল রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার। চলতি ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। উল্লিখিত সময়ের মধ্যে কয়েকটা দেশ বাদে বিশ্বের প্রায় সব দেশের চাল রপ্তানি বন্ধ থাকবে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, তবে ইউরোশিয়ান ইকনোমিক ইউনিয়নভুক্ত দেশ আর্মেনিয়া, বেলারুস, কাজাখস্তান ও কিরগিজস্তানের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। অপরদিকে মানবিক বা ত্রাণ সহায়তায় বিদেশে চাল সরবরাহ করা যাবে বলে জানানো হয়েছে।

এর আগে গত ২০ জুলাই চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ চাল রপ্তানিকারক দেশ ভারত। নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে বলা হয়, অভ্যন্তরীণ বাজারে সরবরাহ বাড়াতে এবং আসন্ন উৎসব মৌসুমে চালের খুচরা দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাসমতী ছাড়া অন্য সব ধরনের চাল রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।

এই নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। ভারতের এই সিদ্ধান্ত বিশ্ব খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব ফেলবে বলে জানায় সংস্থাটি।

এদিকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ভারত ৪ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলারের চাল (বাসমতী ছাড়া অন্য সব ধরনের সাদা চাল) রপ্তানি করেছে, যার পরিমাণ গত বছর ছিল ২ দশমিক ৬২ মিলিয়ন ডলার। ভারতের চালের বড় ক্রেতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, ইতালি, স্পেন ও শ্রীলঙ্কা।

অপরদিকে রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারতের উত্তরাঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে পাঞ্জাব ও হরিয়ানাসহ কয়েকটি রাজ্যে রোপণ করা ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে অনেক এলাকার কৃষককে পুনরায় ধান রোপণ করতে হয়েছে। এতে উৎপাদন ঘাটতির আশঙ্কায় চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে ভারত।