মনোবল ফিরিয়ে বেসরকারি খাতকে চাঙ্গা করতে হবে
গত বছরের ৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ সংকটের অজুহাতে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। এরপর চলতি বছরের মার্চ মাসে অনির্দিষ্টকালের জন্য দ্বিতীয় দফায় নিষেধাজ্ঞা দেয়
খুচরা বাজারের বিক্রেতারা ভারত, পাকিস্তান, মায়ানমার ও মিসর থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ পাইকারি বাজার থেকে সংগ্রহ করে মিক্স করে বিক্রি করছেন প্রতি কেজি ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। ওই হিসাবে খুচরা বাজারে দাম আগের মতোই রয়েছে। দামের তেমন একটা হেরফের হয়নি।
প্রশাসনিক সংস্কার এবং আমলাতন্ত্রে পদোন্নতি
ব্যবসায়ীদের দাবি, ক্রেতাদের চাহিদা দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজের। এ দুই ধরনের পেঁয়াজের সরবরাহ খুবই কম। আর পাকিস্তান, মিসর ও মায়ানমারের পেঁয়াজ বেশি ব্যবহার করেন খাবার হোটেলে। মূলত ভারতীয় পণ্যটির সরবরাহ পর্যাপ্ত না হওয়ায় দাম তেমন একটা কমছে না।
খাতুনগঞ্জের মায়ের দোয়া ট্রেডিংয়ের কর্ণধার রনি বিশ্বাস কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘শুল্কছাড়ের পরও দাম কমছে না। কারণ ভারত থেকে বেশি দামে পণ্যটি সংগ্রহ করতে হচ্ছে আমাদের। মূলত উৎপাদনস্থলে দাম বাড়তি থাকায় শুল্কছাড়ের পরও দামের তেমন হেরফের হচ্ছে না। শুল্কহার না কমালে ভারতীয় পণ্যটির দাম আরো বেশি হতো।’ বর্ডার থেকে কত টাকা দিয়ে সংগ্রহ করছেন ভারতীয় পেঁয়াজ এমন প্রশ্ন করা হলে রনি বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা বর্ডার থেকে ৯২-৯৩ টাকায় সংগ্রহ করছি। এখন ১৩ টনের একটি ট্রাক ৩৫ হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে খাতুনগঞ্জে আনছি। অথচ আগে ভাড়া ছিল ২৮ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা। সব বাড়তি খরচ যোগ করে এখন ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি করছি সর্বোচ্চ ৯৮ টাকা কেজি।
চাক্তাই শিল্প ও ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসান খালেদ বলেন, শুল্কছাড়ের পর পাইকারিতে তিন টাকা পর্যন্ত কমলেও পেঁয়াজের দাম ৬০ টাকার নিচে আসার সম্ভাবনা নেই। কারণ এখন বাড়তি পরিবহন খরচ, শ্রমিকদের মজুরিও বাড়তি। এসব কারণে শুল্কছাড়ের পরও দাম কমছে না।
চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি ও পেঁয়াজের আড়তদার সোলায়মান বাদশা বলেন, বাজারে পাকিস্তান, মিসর ও মায়ানমারের পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে।