রেলে উন্নয়নের নামে যে হরিলুট হয়েছে তা ভেসে উঠছে। রেলপথ নির্মাণ থেকে রেলওয়ে ব্রিজ-বিশ্বে ব্যয়ের দিক থেকে এগিয়ে বাংলাদেশ রেল। ‘উন্নয়ন’কে ঘিরে কোটি কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ উঠছে। যমুনা নদীর উপর ৪ দশমিক ৮০ কিলোমিটার ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু’ প্রকল্প নির্মাণে কিলোমিটারপ্রতি খরচ পড়েছে ৩ হাজার ৪৯৬ কোটি টাকা। এ প্রকল্প শুরুতে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়। পরে এ প্রকল্পে ব্যয় বাড়িয়ে বর্তমানে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকায় পৌঁছানো হয়েছে। এমন অস্বাভাবিক খরচ বিশ্বে সর্বোচ্চ। একই অবস্থা রেলপথ নির্মাণেও। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) মতে রেলের অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্তদের চিহ্নিত করে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করার এখনই উপযুক্ত সময়।
রেলে দুর্নীতির পাহাড়-এমন বাস্তবতায় দুদকে মামলা, অনুসন্ধানসহ সাবেক ৫ রেলপথমন্ত্রীর বিরুদ্ধে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। ইতোমধ্যে একজন গ্রেফতার হয়েছেন। মারা গেছেন একজন। বাকিরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। রেলওয়ে ব্রিজ নির্মাণ প্রকল্প ঘিরে হরিলুটের অনুসন্ধান-প্রকল্প গ্রহণ থেকে বাস্তবায়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত দেশীয়-আন্তর্জাতিক সংস্থা, ঠিকাদারদের সব তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। শুধু যমুনা নদীর উপর নয়, রূপসা, মেঘনা ও তিতাস নদীর উপরে নির্মিত রেলওয়ে ব্রিজের ব্যয়ও আকাশচুম্বী।
এদিকে রেল ব্রিজ নির্মাণে অস্বাভাবিক ব্যয়-অনিয়ম-দুর্নীতির খোঁজে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংককে (এডিবি) একটি প্রতিবেদন তৈরি করতে বলা হয়েছে। লুটপাটের সঙ্গে সম্পৃক্ত রেলের সাবেক মন্ত্রী, সচিব, পিডি-এমন কি ঠিকাদারদের আদ্যোপান্ত টেনে বের করতে সক্রিয় হয়ে উঠছেন মন্ত্রণালয়সংশ্লিষ্টরা। এমন অবস্থায় অনেক প্রকল্পের কাজ বন্ধ রয়েছে। অপরদিকে দুর্নীতিবাজরা নানা ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে অপরাধ ঢাকতে। গত ১৫ বছরে রেলে ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। চলমান রয়েছে আরও প্রায় পৌনে ২ লাখ কোটি টাকার প্রকল্প।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল বাকী যুগান্তরকে বলেন, ‘রেলে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ থেকে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ভয়াবহ অনিয়ম-দুর্নীতির চিত্র বেরিয়ে আসছে। রেলপথ, রেলওয়ে ব্রিজসহ নানা উন্নয়নে অস্বাভাবিক ব্যয় ধরা হয়েছে। অনেক প্রকল্পের ব্যয় বিশ্বের যে কোনো দেশের চেয়ে বেশি। ভয়ানক বিষয় হচ্ছে, সর্বোচ্চ ব্যয়ের-একেকটি প্রকল্পে একেক রকম ব্যয় ধরা হয়েছে। যমুনা রেল সেতুর ব্যয় বিশ্বে সর্বোচ্চ। এ নিয়ে আমরা বারবার বৈঠক করছি। সংশ্লিষ্টরা নানা যুক্তি দিয়ে পার পেতে চাচ্ছে। আমরা সর্বোচ্চ কঠোর হয়েছি। এসব প্রকল্প গ্রহণ থেকে বাস্তবায়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, ঠিকাদার কোম্পানি-সবাইকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে।’
আবদুল বাকী আরও বলেন, ‘ব্রিজ কিংবা রেলপথ নির্মাণ-এসব উন্নয়ন প্রকল্প ঘিরে যে অস্বাভাবিক ব্যয় ধরা হয়েছে সেই সবের নথিপত্র সংগ্রহ করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক হচ্ছে। আমরা স্পষ্ট তথ্য-উপাত্ত পাচ্ছি ভয়াবহ অনিয়ম-দুর্নীতির। ইতোমধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংককে (এডিবি) বলা হয়েছে, দেশে রেল ব্রিজ-রেলপথ নির্মাণে বিশ্বে সর্বোচ্চ ব্যয় কেন ধরা হয়েছে। সর্বোচ্চ ব্যয় ধরার কারণ কি, সব আদ্যোপান্ত বের করতে। এডিবি বলেছে, আগামী ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে তারা পূর্ণাঙ্গ একটি প্রতিবেদন জমা দেবে। অপরদিকে রেলের দুর্নীতি নিয়ে বর্তমান সরকার কঠোর অবস্থানে থেকে দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে কাজ করছে।’
যমুনা নদীর উপর ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু’ নির্মাণের শুরু ২০১৬ সালে। শুরুতে এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা। পরে এ প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে বর্তমানে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। ৪ দশমিক ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতুর নির্মাণ ব্যয় নিয়ে দেশ-বিদেশে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। তথ্যে উঠে আসছে, ভারত, চীন, পাকিস্তানসহ উন্নত দেশগুলোয় নির্মিত রেলওয়ে ব্রিজের চেয়ে যমুনা নদীর উপর নির্মিত ব্রিজের ব্যয় সব দেশের উপরে। বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু রেল সেতু রয়েছে ভারতে। ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরে চেনাব নদীতে নির্মিত রেল সেতুটির উচ্চতা ৩৬৯ মিটার। ১ দশমিক ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এ রেল সেতু নির্মাণে মোট খরচ হয়েছে ১ হাজার ১৯৮ কোটি রুপি। অর্থাৎ এ সেতুটির কিলোমিটারপ্রতি নির্মাণ ব্যয় হয় বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ।
এদিকে চীনের সাংহাই-চ্যাংজিয়ান রেলপথে প্রায় ১১ কিলোমিটার রেল সেতু রয়েছে। এ সেতুটি নির্মাণ ব্যয় হয় বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা। হিসাব অনুযায়ী চীনের এ রেল সেতুটি নির্মাণে কিলোমিটারপ্রতি খরচ হয় প্রায় ১ হাজার ৬১৯ কোটি টাকা। বিশ্বব্যাংকের তথ্যানুসারে চীনে ডাবল লাইনের রেল সেতু নির্মাণে কিলোমিটারপ্রতি গড় ব্যয় এক হাজার কোটি টাকারও কম। চীনের জিজিয়াং রেলপথে নির্মিত ‘জিজিয়াং’ রেলওয়ে ব্রিজের কিলোমিটারপ্রতি নির্মাণ ব্যয় হয় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা। জাপান রেলপথের বিভিন্ন রুটে উন্নতমানের রেলওয়ে ব্রিজ নির্মাণে কিলোমিটারপ্রতি খরচ হয় ১৬ মিলিয়ন ইয়েন।
রেলপথ মন্ত্রণালয় ও রেলওয়ে পরিকল্পনা দপ্তর সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ রেলওয়েতে ব্রিজ নির্মাণে সবচেয়ে বেশি ব্যয় ধরা হয়েছে যমুনা নদীতে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুতে। এছাড়া রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ২য় ভৈরব রেল সেতু (৯০৯ মিটার) এবং ২য় তিতাস রেল সেতু (২২০ মিটার) নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা। এ দুটি সেতু নির্মাণ করে ভারতীয় একটি ঠিকাদার কোম্পানি। পশ্চিমাঞ্চল রেলের রূপসা রেল সেতু নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। রূপসা রেল সেতুর দৈর্ঘ্য ৭১৬.৮০ মিটার।
এদিকে রেলওয়ে পরিকল্পনা দপ্তর সূত্র বলছে, বিগত সরকার বিদায়ের মাস তিনেক আগে নতুন করে অন্তত ৪৬টি উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের একটি ছক তৈরি করে মন্ত্রণালয়। এ পরিকল্পনায় নতুন রেলপথ নির্মাণসহ রেলওয়ে ব্রিজের ওপর জোর দেওয়া হয়। ওই দপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, নতুন রেল পথ নির্মাণ এবং নতুন রেলওয়ে ব্রিজ ও পুরাতন রেলওয়ে ব্রিজ সংস্কারের দিকে রেলপথমন্ত্রী, সচিব ও সংশ্লিষ্টদের আগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি। ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, রেলওয়ের ইঞ্জিন, কোচ এবং রোলিং স্টক ক্রয়ে আগ্রহ দেখাতেন না সংশ্লিষ্টরা। রোলিং স্টক ক্রয়সংক্রান্ত একেকটি প্রকল্পে সর্বসাকুল্যে ব্যয় ধরা হয় ১০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকা। অপরদিকে নতুন রেলপথ ও ব্রিজ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ২ হাজার থেকে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ যত বেশি ব্যয়, ততই লাভ সংশ্লিষ্টদের-যোগ করেন ওই কর্মকর্তা। বিগত সরকার রেলে যে পরিমাণ প্রকল্প গ্রহণ-বাস্তবায়নে বরাদ্দ দিয়েছে ও ঋণ এনেছে-এর একটি বড় অংশ লুটপাট করেছে। এমন কোনো প্রকল্প নেই, যে প্রকল্পগুলোর ব্যয় ও সময় বাড়িয়ে দ্বিগুণের বেশি টাকা যুক্ত করা হয়নি।
‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু’ প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, ‘এ প্রকল্পটি জাইকার অর্থায়নে নির্মিত হচ্ছে। প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুটি প্যাকেজের মাধ্যমে জাপানের ওবাইসি, টোআ করপোরেশন ও জেইসি (ওটিজে) জয়েন্ট ভেঞ্চার নামের ৫টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।’
আল ফাত্তাহ আরও বলেন, ‘এ প্রকল্পে বিশ্বের সর্বোচ্চ ব্যয় হচ্ছে কিনা জানি না-তবে যমুনা নদীর উপর এ সেতু নির্মাণে ব্যয় বেশি এর বিভিন্ন কারণও রয়েছে। প্রতিটি সরঞ্জাম ক্রয় থেকে শুরু করে প্রকল্প বাস্তবায়নে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন অনেক বেশি। এটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির রেলওয়ে ব্রিজ। এ সেতুতে স্টিল-পাইপ-শিট-পাইলের ভিত্তি, আবহাওয়া উপযোগী স্টিল, লাইনচ্যুত যাতে না হয় সেজন্য বিশেষ গার্ডের মতো নতুন প্রযুক্তি বাংলাদেশে প্রথমবার ব্যবহার করা হচ্ছে। এ সেতুতে কখনোই রং করতে হবে না। এর রক্ষণাবেক্ষণ খরচ প্রায় শূন্য।’ কিন্তু এ সেতু নির্মাণে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ব্যয় কেন এমন প্রশ্নের উত্তরে আল ফাত্তাহ বলেন, ‘এ প্রকল্প যথাযথ নিয়মেই গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’
এ প্রসঙ্গে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান যুগান্তরকে বলেন, বিগত ১৫ বছরে যোগাযোগ খাতের সওজে প্রায় ৫১ হাজার কোটি টাকা লোপাটের ঘটনা ঘটেছে। রেলেও অনিয়ম-দুর্নীতি অহরহ হচ্ছে। এ মন্ত্রণালয়ে ১০টি খাতে দুর্নীতি হচ্ছে-এ বিষয়ে আমরা ১০টি পয়েন্টও দিয়েছিলাম। রেলপথ-ব্রিজ নির্মাণে বিশ্বের সর্বোচ্চ ব্যয় ধরে লুটপাটের অভিযোগগুলো সামনে আসছে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসব অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করবে-এমনটা সাধারণ মানুষও চাচ্ছে। রেলে উন্নয়নের নামে যে লুটপাট হয়েছে-লুটতরাজদের চিহ্নিত করে শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারলে, ছাত্র-জনতার এ অর্জন এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতিশ্রুতি ব্যর্থতায় পরিণত হবে।’
ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, রেলের লুটপাটেও রাজনৈতিক-আমলান্ত্রাতিক শক্তি রয়েছে। তিন শ্রেণির সমন্বিত একটি চক্র উন্নয়নের নামে অস্বাভাবিক ব্যয় দেখিয়ে এসব অর্থ লোপাট করেছে। এর মধ্যে রেলপথমন্ত্রী, সচিব, প্রভাবশালী রাজনীতিক ব্যক্তি ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যুক্ত। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলো এসব দুর্নীতিবাজদের হয়ে কাজ করে। ঋণ গ্রহণেও অর্থ লুটপাটের ছক আগেই তৈরি করা থাকে। এখনই উপযুক্ত সময়, রেলপথ-ব্রিজ নির্মাণে অস্বাভাবিক ব্যয় কেন? উন্নয়নের নামে ব্যয় বাড়িয়ে যারা লুটতরাজ করেছে, তাদের শনাক্ত করে শাস্তি নিশ্চিত করা। নতুবা ছাত্র-জনতাসহ দেশের সাধারণ মানুষ যে সংস্কার চাচ্ছেন-তা পূরণ হবে না।’
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এম শামসুল হক যুগান্তরকে বলেন, জাপান, চীন কিংবা ভারত এসব দেশ যখন ঋণ দিয়ে তাদের দেশের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান দিয়ে কাজ বাস্তবায়ন করে, তখন নানা প্রশ্ন থেকেই যায়। এদের ঋণে কিংবা ঠিকাদারের নির্ধারিত শর্ত থাকে, তাতে হেলদি কম্পিটিশন থাকে না। তাছাড়া খরচ কমানোর জন্য পুনঃদরপত্র আহ্বানেরও কোনো সুযোগ থাকে না। তাদের কঠিন শর্ত মেনেই ঋণ নেওয়া হয়। নিশ্চয় লুটতরাজকারীরা ছক এঁকেই প্রকল্পগুলো গ্রহণ করে। এজন্য জিটুজি ব্যবস্থাপনা থেকে সংশ্লিষ্ট লুটপাটকারীরা বের হয়ে আসতে চায় না। রেলপথ ও ব্রিজ নির্মাণে অস্বাভাবিক ও বিশ্বে সর্বোচ্চ ব্যয় মানেই লুটপাটের উন্নয়ন।