বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ পিঁয়াজের ঝাঁজে নাকাল ক্রেতারা। হঠাত্ করেই নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটির দাম বাড়ছে লাগামহীনভাবে। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি পিঁয়াজের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসেবেই গতকাল শুক্রবার দাম বাড়ার এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। তবে কাওরানবাজার ও নিউমার্কেটসহ কয়েকটি বাজারে সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দাম বেড়েছে আরো বেশি।
ব্যবসায়ীরা বলেছেন, সম্প্রতি জলাবদ্ধতায় চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের মজুদ কাঁচাপণ্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে পিঁয়াজের বাজারে। এ ছাড়া সামনেই কোরবানির ঈদ। ঈদকে সামনে রেখে চাহিদা বাড়ায় দাম বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটির।
গতকাল রাজধানীর বাজারগুলোতে, প্রতি কেজি দেশি পিঁয়াজ ৪২ থেকে ৪৮ টাকা ও আমদানিকৃত পিঁয়াজ ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি দেশি পিঁয়াজ ৩২ থেকে ৪৪ টাকা ও আমদানিকৃত পিঁয়াজ ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হয়।
কাওরানবাজারের পিঁয়াজ ব্যবসায়ী করিমউল্লাহ বলেন, হঠাত্ করেই পিঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। ঢাকার শ্যামবাজার ও চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের পাইকারী বাজারে পিঁয়াজের দাম বেড়েছে। তিনি বলেন, সারাদেশে টানা বৃষ্টি ও চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতায় খাতুনগঞ্জের মজুদ কাঁচাপণ্যের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পানিতে পিঁয়াজসহ অনেক কাঁচামাল পচে গেছে। এ ছাড়া টানা বৃষ্টিতে উত্পাদক পর্যায়ের কৃষকরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এজন্য পিঁয়াজের দাম বাড়েছে।
এদিকে পিঁয়াজের পাশাপাশি দাম বেড়েছে আদার। প্রতি কেজি আদায় মানভেদে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১৪০ টাকায়। আগের বাড়তি দর ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের সবজির মধ্যে করলা ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, আলু ২০ থেকে ২২ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৫০ টাকা, শিম ১০০ থেকে ১২০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কচুর লতি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা, পটল ও ঢেঁড়স ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, কাকরোল ৫০ টাকা; পেঁপে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, কচুরমুখী ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।