বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ ভারতে বন্যা পরিস্থিতি বিরাজ করায় পাকিস্তান ও মিসর থেকে সরকার পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। আজ বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারমূল্য নিয়ে এক পর্যালোচনা সভায় এ কথা জানানো হয়েছে।
সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে পেঁয়াজ ছাড়া সব পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রয়েছে। বাংলাদেশের পেঁয়াজের চাহিদা বছরে ২২ লাখ টন। অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদন হয় ১৮ লাখ টন। বাকি চার লাখ টন আমদানি করতে হয়।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এবার বাংলাদেশের মতো ভারতেও বন্যা হয়েছে। এতে অনেক পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে। তাই বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে পাকিস্তান ও মিসর থেকে আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
এ সময় সভায় উপস্থিত পেঁয়াজ আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা জানান, এ লক্ষ্যে এলসি করা হয়েছে। পেঁয়াজের প্রথম চালান চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে। এই পেঁয়াজ যদি শিগগিরই বহির্নোঙর থেকে খালাস করা যায়, তাহলে আসন্ন কোরবানির ঈদের আগে আর পেঁয়াজের দাম বাড়বে না। তবে খালাসে দেরি হলে দাম বেড়ে যাবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
এ কথা শুনে সভা চলাকালেই চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি দ্রুততম সময়ের মধ্যে পেঁয়াজ খালাসের নির্দেশনা দেন।
ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল বলেন, ‘এর আগে ২০১৫ সালে দেশে পেঁয়াজের সংকট দেখা দিয়েছিল। তখন পাকিন্তান ও মিসর থেকে আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা। আমদানি করা এই পেঁয়াজ দেশে আসামাত্রই ভারত অর্ধেক দামে পেঁয়াজ বাজারে ছেড়ে দেয়। এতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। এবার যেন ওই ধরনের কোনো ঘটনা না ঘটে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে মন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন তিনি।’
আরেক ব্যবসায়ী জহির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘যদি আরো ১৫/২০ দিন এসব পেঁয়াজ খালাস না হয়ে বহির্নোঙরে জাহাজে পড়ে থাকে, তাহলে ঈদের সময় পেঁয়াজের দাম আরো বাড়বে।’
এ সময় তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘সবার সমন্বিত উদ্যোগে আশা করা যাচ্ছে, পেঁয়াজের আর দাম বাড়বে না এবং কিছুদিনের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’
এ ছাড়া আজকের বৈঠকে পেঁয়াজ ছাড়া রসুন, আদা, গরম মসলা ইত্যাদির বাজারমূল্য নিয়ে আলোচনা করা হয়। বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ছাড়াও ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।