২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে বিড়ি ও সিগারেটসহ তামাকজাত পণ্যের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বৃহস্পতিবার সংসদে উত্থাপিত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট প্রতিবেদনে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সিগারেটের ওপর কর আদায়ের ক্ষেত্রে সরকার সিগারেটের মূল্যসীমা নির্ধারণ করে দেওয়ার রীতি প্রচলিত ছিল। যা বাজার অর্থনীতিতে কাম্য নয়।
তিনি বলেন, এখন সিগারেটের সর্বনিম্ন মূল্যই শুধু নির্ধারণ করা হবে। এবং সেটা ১৮ থেকে বৃদ্ধি করে ২৩ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করেন মন্ত্রী। এর সঙ্গে অন্য প্রস্তাব হলো, সম্পূরক শুল্ক হার ৪৮ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা এবং এর ঊর্ধ্বে যে দু’টি স্তরে সম্পূরক শুল্ক বিদ্যমান আছে সেটি ৬১ এবং ৬৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬২ ও ৬৪ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেন তিনি। বক্তব্যে তিনি বলেন, বিড়ির ভয়াবহতা সিগারেটের চেয়ে বেশি।
বর্তমানে ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকার বিড়ির বাজারজাত মূল্য হলো ৭ টাকা ৬ পয়সা আর ফিল্টারযুক্ত ২০ শলাকার প্রতি প্যাকেটের মূল্য হলো ৭ টাকা ৯৮ পয়সা।
দুই ধরনের বিড়ির ক্ষেত্রে বিদ্যমান সম্পূরক শুল্ক হার যথাক্রমে ২৫ ও ৩০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশে বৃদ্ধি করার প্রস্তাব করেন তিনি। এছাড়াও ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকার প্যাকেটের দাম হবে সাড়ে ১০ টাকা আর ফিল্টারযুক্ত ২০ শলাকার প্যাকেটের দাম হবে ১২ টাকা।
অর্থমন্ত্রী জানান, বিড়ি-সিগারেটের মতোই আরেকটি ভয়াবহ পণ্য জর্দা ও গুল। জর্দা ও গুলের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে এ পণ্য দু’টির ওপর বিদ্যমান সম্পূরক শুল্ক হার ৬০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ১০০ শতাংশে নির্ধারণের প্রস্তাব করেন তিনি।
আগে যেখানে ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকার এক প্যাকেট বিড়ির দাম ছিল সাত টাকা ছয় পয়সা, সেখানে তা বাড়িয়ে ১০ টাকা ৫০ পয়সা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া ফিল্টারযুক্ত ২০ শলাকার প্রতি প্যাকেটের দাম ছিল সাত টাকা ৯৮ পয়সা। নতুন বাজেটে তা ১২ টাকার বেশি পড়বে।
গত বছরের বাজেটেও এক দফা সিগারেটের দাম বাড়ানো হয়। সর্বনিম্ন ১০ শলাকার এক প্যাকেট সিগারেটের দাম ১৫ থেকে ১৬ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে করা হয় ১৮ টাকা। বিড়ির দামও বেড়েছিল প্যাকেটপ্রতি এক টাকার কিছু বেশি।