ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাজেট নয়, বাজারে পড়েছে রমজানের প্রভাব

আজ শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজারে জাতীয় বাজেটের প্রভাব না পড়লেও পড়েছে রমজানের প্রভাব। বাজারে বেড়েছে খাসির মাংস, বেগুন, ও টমোট এবং চিনির দাম।

গতসপ্তাহে খাসির মাংস বিক্রি হয়েছে ৬০০টাকায় এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকায় । যদিও সিটি কর্পোরেশন থেকে রমজান উপলক্ষে খাসির মাংসের দাম ৫৭০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। বেগুন ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, চিনি ৩ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায় । আর টমেটোর দাম ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে  বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায় ।

সবজি বিক্রেতা শাহজাহান মিয়া পূর্বপশ্চিমকে বলেন, আগামীকাল টমোটে কিনতে হবে প্রতি কেজি ৬০ টাকা দামে এবং রোজার মধ্যে সেটা ১০০ টাকা পর্যন্ত যেতে পারে ।

রাজধানীর মিরপুর১০  কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা  গেছে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়। আকার ভেদে দেশি মুরগি কেজি প্রতিবিক্রি হচ্ছে ৩৩০ থেকে ৩৪৫ টাকায়।

পাকিস্তানি মুরগির পিস ২৭০ টাকা থেকে ২৮০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছ।

এ সম্পর্কে  ক্রেতা ও বিক্রেতারা রমজানকেই দুষলেন । তারা বলেন, রমজান আসলে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা সেটার সুযোগ নিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেয়। আর সরকারের বাজারে তদারকি থাকালে এই  অসাধু ব্যবসায়ীরা সেই  সুযোগ পেত না। খাসির মাংস ও

মুরগির দাম বাড়লেইও আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে গরুর  মাংস ৪২০ টাকায়।

এছাড়া অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পেঁয়াজ, রসুন, ডাল, ছোলা, কাঁচা মরিচ, সবজি, মাছ, সয়াবিন তেলসহগত সপ্তাহের দামে বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ (দেশি) বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা থেকে ৪৫ টাকা, প্রতিকেজি রসুন দেশি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা থেকে ১৩০ টাকায়, আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা থেকে ২৩০ টাকায়,কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০ টাকায়  গত সপ্তাহে  একই দামে বিক্রি হয় ।

মিরপুর ১০ কাঁচা বাজারে বাজার করতে আসা  হাসিবুর

রহমান নামে এক ক্রেতা বলেন, আজ বাজারে খাসি মাংস মুরগির দাম ছাড়াও কিছু কিছু সবজির দাম বেড়েছে। রোজা শুরু হলে কী হবে কে জানে? সরকার যদি প্রশাসনের লোক দিয়ে রোজার মধ্যে মাঝে মাঝে বাজার তদারকি না করে তাহলে বাজারে জিনিসপত্রের দাম আরও বেড়ে যাবে। যা আমাদের মতো মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের মানুষের জন্য কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

এ সপ্তাহেও বাজারে বেশিরভাগ সবজি দাম

স্থিতিশীল। ঢেঁড়স ৩০ টাকা, ঝিঙা ৩০ টাকা, পটল ৩০টাকা, সব ধরনের শাক ২০ থেকে ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া (ফালি) ৩০ টাকা, ধনেপাতা ১২০টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, শসা জাতভেদে ৩০ থেকে ৪০টাকা, করলা ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে  কাঁকরোল ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়। খুচরাবাজারে প্রতিটি কপি ২৫ থেকে ৩০টাকায় এবং ছোট লাউ ৪০ টাকায়বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে বিভিন্ন ধরনের ডালের দাম বেড়ে অপরিবর্তিত রয়েছে। খুচরা বাজারে আমদানি করা বড় দানার মসুর ডাল ১০০ টাকাথেকে ১১৫ টাকায় বিক্রি হয়। দেশি মসুর ডাল প্রতিকেজি বিক্রি হয় ১৩০ টাকা থেকে ১৫০ টাকায়। প্রতিকেজি ছোলা বিক্রি হয় ৯০ থেকে ১১০ টাকায়।

গত সপ্তাহের দামে বিক্রি হচ্ছেমাছ। ইলিশ মাছ জোড়া ২ হাজার টাকা, শিং ৬০০ টাকা,  বাইন মাছ (বড়) ৭০০, রুই মাছ (ছোট) ২৫০টাকা, রুই (বড়) ৩২০ টাকা কেজি। ছোট কাতলা ৩০০ টাকা ও বড় ৩৫০ টাকা কেজি। চিংড়ি (ছোট) ৫০০ টাকা কেজি। তেলাপিয়া ২২০ থেকে ২৪০টাকা কেজি।

বাজারে সয়াবিন তেলের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারে প্রতিকেজি খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হয় ৮০ টাকায়।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

বাজেট নয়, বাজারে পড়েছে রমজানের প্রভাব

আপডেট টাইম : ০৩:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জুন ২০১৬

আজ শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজারে জাতীয় বাজেটের প্রভাব না পড়লেও পড়েছে রমজানের প্রভাব। বাজারে বেড়েছে খাসির মাংস, বেগুন, ও টমোট এবং চিনির দাম।

গতসপ্তাহে খাসির মাংস বিক্রি হয়েছে ৬০০টাকায় এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকায় । যদিও সিটি কর্পোরেশন থেকে রমজান উপলক্ষে খাসির মাংসের দাম ৫৭০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। বেগুন ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, চিনি ৩ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায় । আর টমেটোর দাম ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে  বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায় ।

সবজি বিক্রেতা শাহজাহান মিয়া পূর্বপশ্চিমকে বলেন, আগামীকাল টমোটে কিনতে হবে প্রতি কেজি ৬০ টাকা দামে এবং রোজার মধ্যে সেটা ১০০ টাকা পর্যন্ত যেতে পারে ।

রাজধানীর মিরপুর১০  কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা  গেছে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়। আকার ভেদে দেশি মুরগি কেজি প্রতিবিক্রি হচ্ছে ৩৩০ থেকে ৩৪৫ টাকায়।

পাকিস্তানি মুরগির পিস ২৭০ টাকা থেকে ২৮০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছ।

এ সম্পর্কে  ক্রেতা ও বিক্রেতারা রমজানকেই দুষলেন । তারা বলেন, রমজান আসলে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা সেটার সুযোগ নিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেয়। আর সরকারের বাজারে তদারকি থাকালে এই  অসাধু ব্যবসায়ীরা সেই  সুযোগ পেত না। খাসির মাংস ও

মুরগির দাম বাড়লেইও আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে গরুর  মাংস ৪২০ টাকায়।

এছাড়া অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পেঁয়াজ, রসুন, ডাল, ছোলা, কাঁচা মরিচ, সবজি, মাছ, সয়াবিন তেলসহগত সপ্তাহের দামে বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ (দেশি) বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা থেকে ৪৫ টাকা, প্রতিকেজি রসুন দেশি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা থেকে ১৩০ টাকায়, আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা থেকে ২৩০ টাকায়,কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০ টাকায়  গত সপ্তাহে  একই দামে বিক্রি হয় ।

মিরপুর ১০ কাঁচা বাজারে বাজার করতে আসা  হাসিবুর

রহমান নামে এক ক্রেতা বলেন, আজ বাজারে খাসি মাংস মুরগির দাম ছাড়াও কিছু কিছু সবজির দাম বেড়েছে। রোজা শুরু হলে কী হবে কে জানে? সরকার যদি প্রশাসনের লোক দিয়ে রোজার মধ্যে মাঝে মাঝে বাজার তদারকি না করে তাহলে বাজারে জিনিসপত্রের দাম আরও বেড়ে যাবে। যা আমাদের মতো মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের মানুষের জন্য কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

এ সপ্তাহেও বাজারে বেশিরভাগ সবজি দাম

স্থিতিশীল। ঢেঁড়স ৩০ টাকা, ঝিঙা ৩০ টাকা, পটল ৩০টাকা, সব ধরনের শাক ২০ থেকে ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া (ফালি) ৩০ টাকা, ধনেপাতা ১২০টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, শসা জাতভেদে ৩০ থেকে ৪০টাকা, করলা ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে  কাঁকরোল ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়। খুচরাবাজারে প্রতিটি কপি ২৫ থেকে ৩০টাকায় এবং ছোট লাউ ৪০ টাকায়বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে বিভিন্ন ধরনের ডালের দাম বেড়ে অপরিবর্তিত রয়েছে। খুচরা বাজারে আমদানি করা বড় দানার মসুর ডাল ১০০ টাকাথেকে ১১৫ টাকায় বিক্রি হয়। দেশি মসুর ডাল প্রতিকেজি বিক্রি হয় ১৩০ টাকা থেকে ১৫০ টাকায়। প্রতিকেজি ছোলা বিক্রি হয় ৯০ থেকে ১১০ টাকায়।

গত সপ্তাহের দামে বিক্রি হচ্ছেমাছ। ইলিশ মাছ জোড়া ২ হাজার টাকা, শিং ৬০০ টাকা,  বাইন মাছ (বড়) ৭০০, রুই মাছ (ছোট) ২৫০টাকা, রুই (বড়) ৩২০ টাকা কেজি। ছোট কাতলা ৩০০ টাকা ও বড় ৩৫০ টাকা কেজি। চিংড়ি (ছোট) ৫০০ টাকা কেজি। তেলাপিয়া ২২০ থেকে ২৪০টাকা কেজি।

বাজারে সয়াবিন তেলের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারে প্রতিকেজি খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হয় ৮০ টাকায়।