ঢাকা , রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রিজার্ভ চুরি নিয়ে অর্থমন্ত্রীকে প্রশ্ন

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে প্রশ্নের মুখোমুখি করেছেন বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ।

এই রিজার্ভ চুরির দায় কে নেবে অর্থমন্ত্রীর কাছে জানতে চান বিরোধী দলীয় নেতা।

বুধবার সকালে জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন বিরোধী দলীয় এ নেতা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি হয়েছে, এ দায় কার, অর্থমন্ত্রী দয়া করে এর উত্তর দেবেন।

সরকারি ব্যাংক থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা লুট হয়ে গেছে। এটা কার সাহায্যে হয়েছে। এই টাকা ফিরিয়ে আনার কি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি হয়েছে এটা দেশের ইতিহাসে বিরল ঘটনা। এ টাকা দেশের জনগণের টাকা। এই টাকা ফিরিয়ে আনাতে কি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে আমরা জানি না। উনি (অর্থমন্ত্রী) কি এর উত্তর দেবেন।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের সমালোচনা করে বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। যদি বিশেষজ্ঞ না থাকে তাহলে এটা করা যাবে না।

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, এটা চালাবে কারা? এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে রাশিয়া সহায়তা দিচ্ছে। আমরা জানি, রাশিয়া চেরোনোবিল পারমাণবিক কেন্দ্রে দুর্ঘটনার কথা। সেখানে শ্মশান হয়ে গেছে, সেখানে মানুষ নেই।

রাশিয়া হয়তো ১০ বছর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালানোর সহায়তা দেবে, তারপর কি হবে? জাপানে সুনামির কারণে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে লিকেজ দেখা দিয়েছিলো। পরে তারা সেটা বন্ধ করে দিয়েছে।

বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, আমাদের এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে লিকেজ দেখা দিলে কে দেখবে? এটা হলে মানুষ আস্তে আস্তে মারা যাবে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বর্জ্য কোথায় রাখা হবে? এর জন্য কি কোনো চুক্তি করা হয়েছে? এ ধরনের কোনো চুক্তি না করলে রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা যাবে না।
এসময় শিক্ষার মান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিরোধী দলীয় নেতা।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

রিজার্ভ চুরি নিয়ে অর্থমন্ত্রীকে প্রশ্ন

আপডেট টাইম : ০৫:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জুন ২০১৬

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে প্রশ্নের মুখোমুখি করেছেন বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ।

এই রিজার্ভ চুরির দায় কে নেবে অর্থমন্ত্রীর কাছে জানতে চান বিরোধী দলীয় নেতা।

বুধবার সকালে জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন বিরোধী দলীয় এ নেতা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি হয়েছে, এ দায় কার, অর্থমন্ত্রী দয়া করে এর উত্তর দেবেন।

সরকারি ব্যাংক থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা লুট হয়ে গেছে। এটা কার সাহায্যে হয়েছে। এই টাকা ফিরিয়ে আনার কি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি হয়েছে এটা দেশের ইতিহাসে বিরল ঘটনা। এ টাকা দেশের জনগণের টাকা। এই টাকা ফিরিয়ে আনাতে কি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে আমরা জানি না। উনি (অর্থমন্ত্রী) কি এর উত্তর দেবেন।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের সমালোচনা করে বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। যদি বিশেষজ্ঞ না থাকে তাহলে এটা করা যাবে না।

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, এটা চালাবে কারা? এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে রাশিয়া সহায়তা দিচ্ছে। আমরা জানি, রাশিয়া চেরোনোবিল পারমাণবিক কেন্দ্রে দুর্ঘটনার কথা। সেখানে শ্মশান হয়ে গেছে, সেখানে মানুষ নেই।

রাশিয়া হয়তো ১০ বছর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালানোর সহায়তা দেবে, তারপর কি হবে? জাপানে সুনামির কারণে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে লিকেজ দেখা দিয়েছিলো। পরে তারা সেটা বন্ধ করে দিয়েছে।

বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, আমাদের এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে লিকেজ দেখা দিলে কে দেখবে? এটা হলে মানুষ আস্তে আস্তে মারা যাবে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বর্জ্য কোথায় রাখা হবে? এর জন্য কি কোনো চুক্তি করা হয়েছে? এ ধরনের কোনো চুক্তি না করলে রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা যাবে না।
এসময় শিক্ষার মান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিরোধী দলীয় নেতা।