ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১টি কারণে বাংলাদেশকে একশ’ কোটি ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক

কারণ আগামী দুই বছর পুষ্টিখাতে বাংলাদেশকে অতিরিক্ত এক বিলিয়ন বা একশ’ কোটি ডলার সহায়তা দেয়ার কথা জানিয়েছেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম।

সোমবার সকাল ৯টায় সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে বৈঠক করেন বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট। সকাল ১০টায় বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান জিম ইয়ং কিম।

বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচন সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করে বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন সহায়তায় পাশে থাকবে বিশ্বব্যাংক। কিম বলেন, বিশ্বব্যাংকের


যে তহবিল থেকে বিভিন্ন দেশকে সহায়তা দেয়া হয় তার আকার ৫০ শতাংশ বাড়ছে। ফলে বাংলাদেশের সহায়তা পাওয়ার পরিমাণও বাড়বে।

বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশ গত ৩০ বছরে দারিদ্র্য বিমোচনে অভাবনীয় সাফল্য দেখিয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার সন্তোষজনক তবে প্রবৃদ্ধি আরও বাড়াতে হবে। আগামীতে দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা, জলবায়ু ও পুষ্টিখাতে খাতে বাংলাদেশকে আরও সহায়তার আশ্বাস দেন কিম।

সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, কয়েকটি ইস্যুতে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশের দূরত্ব ছিল। বর্তমানে প্রেসিডেন্টের সহযোগিতায় তা দূর হয়ে যাচ্ছে। পদ্মাসেতু ছাড়া অন্য যে প্রকল্পগুলো ছিল সেই প্রকল্পগুলো চলমান আছে এবং সেখানে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নও বহাল রয়েছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় বাংলাদেশের দারিদ্রের হারকে শূন্য শতাংশে নামিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের সহায়তা অব্যাহত থাকলে এটা সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
৩ দিনের সফরে রোববার বিকালে ঢাকা পৌঁছান বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম। মঙ্গলবার বিকালে তার ওয়াশিংটনে ফেরার কথা রয়েছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

১টি কারণে বাংলাদেশকে একশ’ কোটি ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক

আপডেট টাইম : ০৩:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ অক্টোবর ২০১৬

কারণ আগামী দুই বছর পুষ্টিখাতে বাংলাদেশকে অতিরিক্ত এক বিলিয়ন বা একশ’ কোটি ডলার সহায়তা দেয়ার কথা জানিয়েছেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম।

সোমবার সকাল ৯টায় সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে বৈঠক করেন বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট। সকাল ১০টায় বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান জিম ইয়ং কিম।

বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচন সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করে বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন সহায়তায় পাশে থাকবে বিশ্বব্যাংক। কিম বলেন, বিশ্বব্যাংকের


যে তহবিল থেকে বিভিন্ন দেশকে সহায়তা দেয়া হয় তার আকার ৫০ শতাংশ বাড়ছে। ফলে বাংলাদেশের সহায়তা পাওয়ার পরিমাণও বাড়বে।

বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশ গত ৩০ বছরে দারিদ্র্য বিমোচনে অভাবনীয় সাফল্য দেখিয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার সন্তোষজনক তবে প্রবৃদ্ধি আরও বাড়াতে হবে। আগামীতে দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা, জলবায়ু ও পুষ্টিখাতে খাতে বাংলাদেশকে আরও সহায়তার আশ্বাস দেন কিম।

সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, কয়েকটি ইস্যুতে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশের দূরত্ব ছিল। বর্তমানে প্রেসিডেন্টের সহযোগিতায় তা দূর হয়ে যাচ্ছে। পদ্মাসেতু ছাড়া অন্য যে প্রকল্পগুলো ছিল সেই প্রকল্পগুলো চলমান আছে এবং সেখানে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নও বহাল রয়েছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় বাংলাদেশের দারিদ্রের হারকে শূন্য শতাংশে নামিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের সহায়তা অব্যাহত থাকলে এটা সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
৩ দিনের সফরে রোববার বিকালে ঢাকা পৌঁছান বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম। মঙ্গলবার বিকালে তার ওয়াশিংটনে ফেরার কথা রয়েছে।