ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হঠাৎ বাড়ছে রসুনের দাম

বাজারে হঠাৎ করেই অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে চলেছে রসুনের দাম। প্রতি কেজিতে নিত্যপণ্যটির দাম বেড়েছে ৭০ টাকার বেশি। বিক্রেতারা বলছেন, এই দাম আরও বাড়তে পারে। তারা আশঙ্কা করছেন, রমজানকে সামনে রেখে রসুনের দাম ৩০০ টাকা কেজি পর্যন্ত হতে পারে।

রসুনের চাহিদার সিংহভাগ দেশেই উৎপাদিত হয়। তবে গত কয়েক বছরে চীন থেকে আমদানি করা বড় আকারের রসুন বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। তাই এ পণ্যের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে ক্রেতারা। যারা বেশ কিছুদিন পর বাজারে আসছেন তারা রসুনের দাম শুনে একপ্রকার আঁতকেই উঠছেন।

খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৭০ টাকা থেকে ২৮০ টাকায় এবং দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা থেকে ১৪০ টাকায়। অথচ গত শুক্রবার এসব বাজারে আমদানি করা প্রতি কেজি রসুন ২০০ টাকা থেকে ২২০ টাকায় এবং দেশি রসুন ৯০ টাকা থেকে ১২০ টাকা বিক্রি হয়েছে। মাত্র দু’দিনের ব্যবধানে দেশের খুচরা বাজারে আমদানি করা প্রতি কেজি রসুনের দাম ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা এবং প্রতি কেজি দেশি রসুন ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে।

শ্যামবাজারের পেঁয়াজ, রসুন ও আদা আমদানিকারক এক ব্যবসাহি বলেন, চায়না রসুনের সরবরাহ ও মজুদ কম। তবে, খুচরা দোকানিরা দামের দিক থেকে ভোক্তাদের ঠকাচ্ছেন। তবে খুচরা দোকানিরা এ অভিযোগ অস্বীকার করেন। তারা বলেন চীনা রসুনের সরবরাহে ঘাটতি থাকায় এই পরিস্থিতি। তাছাড়া দুই পাইকারি বাজারের দামে যথেষ্ট তফাতও পাওয়া গেছে। ভোক্তারা এ ব্যাপারে টিসিবির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

হঠাৎ বাড়ছে রসুনের দাম

আপডেট টাইম : ০৪:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ মে ২০১৬

বাজারে হঠাৎ করেই অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে চলেছে রসুনের দাম। প্রতি কেজিতে নিত্যপণ্যটির দাম বেড়েছে ৭০ টাকার বেশি। বিক্রেতারা বলছেন, এই দাম আরও বাড়তে পারে। তারা আশঙ্কা করছেন, রমজানকে সামনে রেখে রসুনের দাম ৩০০ টাকা কেজি পর্যন্ত হতে পারে।

রসুনের চাহিদার সিংহভাগ দেশেই উৎপাদিত হয়। তবে গত কয়েক বছরে চীন থেকে আমদানি করা বড় আকারের রসুন বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। তাই এ পণ্যের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে ক্রেতারা। যারা বেশ কিছুদিন পর বাজারে আসছেন তারা রসুনের দাম শুনে একপ্রকার আঁতকেই উঠছেন।

খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৭০ টাকা থেকে ২৮০ টাকায় এবং দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা থেকে ১৪০ টাকায়। অথচ গত শুক্রবার এসব বাজারে আমদানি করা প্রতি কেজি রসুন ২০০ টাকা থেকে ২২০ টাকায় এবং দেশি রসুন ৯০ টাকা থেকে ১২০ টাকা বিক্রি হয়েছে। মাত্র দু’দিনের ব্যবধানে দেশের খুচরা বাজারে আমদানি করা প্রতি কেজি রসুনের দাম ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা এবং প্রতি কেজি দেশি রসুন ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে।

শ্যামবাজারের পেঁয়াজ, রসুন ও আদা আমদানিকারক এক ব্যবসাহি বলেন, চায়না রসুনের সরবরাহ ও মজুদ কম। তবে, খুচরা দোকানিরা দামের দিক থেকে ভোক্তাদের ঠকাচ্ছেন। তবে খুচরা দোকানিরা এ অভিযোগ অস্বীকার করেন। তারা বলেন চীনা রসুনের সরবরাহে ঘাটতি থাকায় এই পরিস্থিতি। তাছাড়া দুই পাইকারি বাজারের দামে যথেষ্ট তফাতও পাওয়া গেছে। ভোক্তারা এ ব্যাপারে টিসিবির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।