ঢাকা , শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মালয়েশিয়ায় পাচারের শিকার শিশুসহ ১৩৭ অভিবাসীকে উদ্ধার

মালয়েশিয়ায় পাচারের শিকার শিশুসহ ১৩৭ অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।  শনিবার সিনার হারিয়ানে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির রয়্যাল মালয়েশিয়ান পুলিশ (পিডিআরএম) পরিচালিত মানব পাচারের অপরাধের বিরুদ্ধে অপারেশন পিন্টাস মেগা শ্রম শোষণের শিকার শিশুসহ ১৩৭ বিদেশিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।

বুকিত আমান ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টের (জেএসজে) ডি-৩ অ্যান্টি-ট্রাফিকিং ইন পার্সনস অ্যান্ড মাইগ্র্যান্ট স্মাগলিং ডিভিশন (এটিপসম) দ্বারা পরিচালিত অভিযানে ৩৯৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রধান সহকারী পরিচালক ডি-৩ বুকিত আমান, সিনিয়র সহকারী কমিশনার সোফিয়ান স্যান্টং এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এ বছরের সামগ্রিক পাচারবিরোধী অপরাধ অভিযান দুটি ধাপে সারাদেশে পরিচালিত হয়েছিল। তার মতে, জানুয়ারিতে প্রথম দফায় সফলভাবে ৪২টি অভিযান চালানো হয় এবং দেশি-বিদেশি নাগরিক জড়িত ২৮৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় মোট ৬৪ জনকে।

সোফিয়ান যোগ করেন, গত জুনে দ্বিতীয় ধাপে ৩৩টি অভিযান রেকর্ড করা হয়েছে।  ১১৩ জন দেশি এবং বিদেশি নাগরিককে গ্রেফতার এবং ৭৩ জনকে উদ্ধার করে। এর মধ্যে ২৫ জন পুরুষ, ২৬ জন নারী ও ২২ জন কিশোর রয়েছে।

উদ্ধার করা সকল জাতীয়তার অবস্থা সম্পর্কে মন্তব্য করে সোফিয়ান বলেন, সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মিয়ানমারের নাগরিক- যারা ৩৫ জন, তারপরে থাইল্যান্ডের ২৫ এবং ইন্দোনেশিয়ার ২৩ জন।

বাকিদের মধ্যে বাংলাদেশের ১৭ জন, ফিলিপাইনের ৯, মালয়েশিয়ার ৮, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম ও চীনের ৫ জন করে, রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠী ৩ এবং দুজন নেপালি রয়েছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

মালয়েশিয়ায় পাচারের শিকার শিশুসহ ১৩৭ অভিবাসীকে উদ্ধার

আপডেট টাইম : ১২:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৪

মালয়েশিয়ায় পাচারের শিকার শিশুসহ ১৩৭ অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।  শনিবার সিনার হারিয়ানে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির রয়্যাল মালয়েশিয়ান পুলিশ (পিডিআরএম) পরিচালিত মানব পাচারের অপরাধের বিরুদ্ধে অপারেশন পিন্টাস মেগা শ্রম শোষণের শিকার শিশুসহ ১৩৭ বিদেশিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।

বুকিত আমান ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টের (জেএসজে) ডি-৩ অ্যান্টি-ট্রাফিকিং ইন পার্সনস অ্যান্ড মাইগ্র্যান্ট স্মাগলিং ডিভিশন (এটিপসম) দ্বারা পরিচালিত অভিযানে ৩৯৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রধান সহকারী পরিচালক ডি-৩ বুকিত আমান, সিনিয়র সহকারী কমিশনার সোফিয়ান স্যান্টং এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এ বছরের সামগ্রিক পাচারবিরোধী অপরাধ অভিযান দুটি ধাপে সারাদেশে পরিচালিত হয়েছিল। তার মতে, জানুয়ারিতে প্রথম দফায় সফলভাবে ৪২টি অভিযান চালানো হয় এবং দেশি-বিদেশি নাগরিক জড়িত ২৮৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় মোট ৬৪ জনকে।

সোফিয়ান যোগ করেন, গত জুনে দ্বিতীয় ধাপে ৩৩টি অভিযান রেকর্ড করা হয়েছে।  ১১৩ জন দেশি এবং বিদেশি নাগরিককে গ্রেফতার এবং ৭৩ জনকে উদ্ধার করে। এর মধ্যে ২৫ জন পুরুষ, ২৬ জন নারী ও ২২ জন কিশোর রয়েছে।

উদ্ধার করা সকল জাতীয়তার অবস্থা সম্পর্কে মন্তব্য করে সোফিয়ান বলেন, সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মিয়ানমারের নাগরিক- যারা ৩৫ জন, তারপরে থাইল্যান্ডের ২৫ এবং ইন্দোনেশিয়ার ২৩ জন।

বাকিদের মধ্যে বাংলাদেশের ১৭ জন, ফিলিপাইনের ৯, মালয়েশিয়ার ৮, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম ও চীনের ৫ জন করে, রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠী ৩ এবং দুজন নেপালি রয়েছে।