ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তিন তালাক বাতিল নিয়ে ভাবনা ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের

তিন বার ‘তালাক’ বললে বিবাহ বিচ্ছেদ হবে কিনা তা নিয়ে মামলা দায়ের করতে চলেছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। গত মাসে শরীয়তি আইনের অধীন এই নির্দেশের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা সায়রা বানু। তারপরই এ বিষয়ে উদ্যোগ সুপ্রিম কোর্টের।

১৯৮৫ সালে শাহবানু যখন আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তখন শরীয়তি আইনের ক্ষেত্রে নিয়মে ছাড় দিয়েই ইতি টেনেছিল কেন্দ্র। এবার উদ্যোগ নিলেন আদালত নিজেই। তাই হয়তো বদলে যাবে আগের আইন। এবার সায়রা বানুর প্রেক্ষিতে সুয়ো মোটো দায়ের করেছেন সর্বোচ্চ আদালত। আদৌ এই আইনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে।

উল্টোদিকে এই প্রস্তাবের বিরু‌দ্ধে সরব হয়েছে মুসলিম পার্সোনাল ল’বোর্ড। তাদের অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের এই পদক্ষেপ অসাংবিধানিক। আইনজীবী জাফরইয়াব জিলানি জানিয়েছেন, এই মামলায় অন্যতম বিবাদী হিসাবে মুসলিম ল’বোর্ডকে মেনে নিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। সায়রা বানুর দাবির প্রেক্ষিতে তাদের কী বক্তব্য তাও এবার শুনবেন আদালত।

তবে ১৯৮৫ সালে পাঁচ সন্তানের মা ৬২ বছর বয়সী শাহবানুর প্রশ্ন নিয়ে বেকায়দায় পড়েছিল তৎকালীন রাজীব গান্ধী সরকার। শেষ পর্যন্ত শরীয়তি আইনকে ব্যতিক্রম হিসাবে রেখেই মামলায় সিদ্ধান্ত হয়। শাহবানুকে দেওয়া তার স্বামীর তালাক বহাল থাকে। ত্রিশ বছর পরে ফের মাথাচাড়া দিল সেই বিতর্ক।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

তিন তালাক বাতিল নিয়ে ভাবনা ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের

আপডেট টাইম : ০৪:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ এপ্রিল ২০১৬

তিন বার ‘তালাক’ বললে বিবাহ বিচ্ছেদ হবে কিনা তা নিয়ে মামলা দায়ের করতে চলেছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। গত মাসে শরীয়তি আইনের অধীন এই নির্দেশের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা সায়রা বানু। তারপরই এ বিষয়ে উদ্যোগ সুপ্রিম কোর্টের।

১৯৮৫ সালে শাহবানু যখন আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তখন শরীয়তি আইনের ক্ষেত্রে নিয়মে ছাড় দিয়েই ইতি টেনেছিল কেন্দ্র। এবার উদ্যোগ নিলেন আদালত নিজেই। তাই হয়তো বদলে যাবে আগের আইন। এবার সায়রা বানুর প্রেক্ষিতে সুয়ো মোটো দায়ের করেছেন সর্বোচ্চ আদালত। আদৌ এই আইনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে।

উল্টোদিকে এই প্রস্তাবের বিরু‌দ্ধে সরব হয়েছে মুসলিম পার্সোনাল ল’বোর্ড। তাদের অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের এই পদক্ষেপ অসাংবিধানিক। আইনজীবী জাফরইয়াব জিলানি জানিয়েছেন, এই মামলায় অন্যতম বিবাদী হিসাবে মুসলিম ল’বোর্ডকে মেনে নিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। সায়রা বানুর দাবির প্রেক্ষিতে তাদের কী বক্তব্য তাও এবার শুনবেন আদালত।

তবে ১৯৮৫ সালে পাঁচ সন্তানের মা ৬২ বছর বয়সী শাহবানুর প্রশ্ন নিয়ে বেকায়দায় পড়েছিল তৎকালীন রাজীব গান্ধী সরকার। শেষ পর্যন্ত শরীয়তি আইনকে ব্যতিক্রম হিসাবে রেখেই মামলায় সিদ্ধান্ত হয়। শাহবানুকে দেওয়া তার স্বামীর তালাক বহাল থাকে। ত্রিশ বছর পরে ফের মাথাচাড়া দিল সেই বিতর্ক।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন